আল আমিন। পঞ্চগড়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়দের কাছে আলোর ফেরিওয়ালা নামে পেয়েছেন পরিচিতি। নিজ উদ্যোগে আল আমিন তাঁর গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পূর্ব শিকারপুর গ্রামে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার গড়ে তুলেছেন। যেখানে বিনামূল্যে বই পড়তে পারেন যে কেউ। এ ছাড়া তিনি পঞ্চগড় শহরের সাতটি স্যালুনে স্যালুন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এসব পাঠাগারে অপেক্ষমাণ গ্রাহক বিনামূল্যে বই পড়া ও বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনে গড়ে তুলেছেন বিন্দু স্টেশন পাঠাগার। যেখানে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বই ও পত্রিকা পড়তে পারেন। এ ছাড়া পঞ্চগড় চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ে সততা স্কুল পাঠাগার গড়ে তোলেন। এ পাঠাগার শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মাস শেষে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বই ও গাছ উপহার দেওয়া হয়। এতে স্কুলপড়ূয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস, নৈতিকতা এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
স্কুল পাঠাগার ও স্যালুন পাঠাগারের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, 'কোনো কাজই খুব সহজে করা যায় না। এ কাজ শুরু করতেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে আমাকে। এখন অনেকেই কাজ করছেন আমার সঙ্গে। আমাদের স্কুল পাঠাগারে ১২১ জন নিয়মিত স্কুলশিক্ষার্থী বই পড়ে। ২০২২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের স্মরণে ২১টি স্যালুন পাঠাগার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েও বইস্বল্পতায় মাত্র সাতটি পাঠাগার করতে সমর্থ হই। আমাদের স্যালুন পাঠাগারে বর্তমানে ৯০০ বই রয়েছে, যা একটি সমৃদ্ধ পাঠাগারের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বইয়ের সংখ্যার সঙ্গে পাঠাগারের সংখ্যাও বাড়াতে। স্থানীয় অনেকেই এগিয়ে আসছেন এবং আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন। সামনের দিনগুলোতে এ উদ্যোগ আশা করি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারব।' া