যতটুকু দেখতে পারছিলাম, একটা জান্‌লার অর্ধেকটা পুরোটাই সাদা, আর দূরে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ের ছাদে কাপড় শুকানোর তারে ঝুলে আছে সম্ভবত দুটি মানুষ। আমার ভাবতে ভালো লাগল একটি ছেলে একটি মেয়ে : একজন আরেকজনকে ছুঁয়ে যাচ্ছে, দুলছে তারা বাতাসে; অনেক অনেক অনেকক্ষণ ধরে দুলল তারা- এক সময় একটা মানুষ হয়ে গেল। একটা মানুষ সাদা আকাশের ক্যানভাসে ঝুলে আছে তারে, এখন মনে হচ্ছে আর কোনো দোলা নেই, সেখানে বরং দাঁতে দাঁত চাপা সর্বস্ব নিংড়ানো আর্তনাদ আছে। আমি যেন কেমন- একবারও দেখছি না, বিল্ডিংটায় কত জ্যামিতি! তিন কোনা, চার কোনা, নানারকম ফর্ম। কত জান্‌লার ফ্রেম বানানোর ফন্দি সেখানে। সিমেন্ট আছে, বালু আছে, ইট-কংক্রিট আরও কত কী কাণ্ড আছে বিল্ডিংটায়! কেউ থাকে না সেখানে এখনও, অনেকগুলো পিলার দাঁড়িয়ে আছে। এর মাঝে গুনলাম, তিনটা বিমান উড়ে গেছে সাদা ক্যানভাসটা ধরে। বিমান কি আজ বেশি? সভ্যতাকে নিয়ে বিশ্রী কিছু ভাবার আগেই তিন-চারটা পাখিও উড়তে দেখলাম। এখন আর মানুষটা নেই, সেখানে একটা কালো দরজা, সাদা আকাশে দরজাটা দেখে লোভ হলো। কী সুন্দর দুলছে দরজাটা, কত পথ দেখাচ্ছে, কত উড়াল শেখাচ্ছে, কত রকম সুর পাঠাচ্ছে দরজাটা; জান্‌লার এপাশ থেকে ভাবছি দরজাটা দিয়ে আমি এই আকাশ ভেদ করে ওপাশে চলে যাব।

বিষয় : পদাবলি

মন্তব্য করুন