বাঁধাকপিকে নিয়া আমার আনন্দ রয়েছে
তুমি যেভাবে ওই ক্লিন্ন শরীর ঢাকতে 
একটার পর একটা বস্ত্র পরো
তোমার সঙ্গে মিলিত হবার আগে
একটার পর একটা বস্ত্র আভরণ খুলতে যেয়ে
অনেক দূরে যাওয়ার মতন বিস্ময় লাগে

আমার ভিতরে তখন অভিমিশ্র আকাঙ্ক্ষা জাগে
যার কোনো সীমা-পরিসীমা নাই
অবশ্য বাঁধাকপির দেহের আবরণ উন্মুক্ত হলে
তার দেহটা হারিয়ে যায়
তখন বাঁধাকপিটা কোনো অর্থ বহন করে না

কিন্তু তোমার দেহের আবরণ খোলার পর 
আরও বেশি পরমার্থ জেগে ওঠে 
এইভাবে শীতের সবজি তখন একটি মেটাফর
এইভাবে বাঁধাকপি আসে কবিতার ভিতর।

বিষয় : পদাবলি

মন্তব্য করুন