
চড়ূইছানা টুইয়ের আজ মনটা কেমন যেন উদাস উদাস লাগছে, লাগতেই পারে। প্রতিদিন কারও মনতো আর এক রকম থাকে না। আজ তার ভীষণ উড়তে মন চাইছে। এই যে সাতসকালে তার মা-বাবা, ভাইবোন, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই উড়ে চলে গেল। ওদের কত মজা, উড়ে উড়ে কত জায়গায় যেতে পারে। নদী-সাগর, ফুল, মাঠ-ক্ষেত, কতো কিছু দেখতে পারে। আর টুই পারে না। পারবে কীভাবে, টুইতো খুব ছোট। ওড়ার মতো বয়স হয়নি। তবে মা বলেছেন, ও খুব তাড়াতাড়ি উড়তে পারবে। কিন্তু টুইয়ের যেন আর তর সইছে না।
কি হলো টুই? চুপচাপ বসে আছ। মন খারাপ?
অচেনা কারও ডাকে পেছনে ফিরে তাকায় টুই।
হ্যাঁ আমার মন খারাপ। কিন্তু তুমি জানলে কীভাবে?
তুমিই বা কে?
আমাকে চিনতে পারছ না? আমি বেগুনি রোদ্দুর। দেখো না কেমন করে তোমার ঘর আলো করে বসে আছি।
টুই গাছের ডালে খড়কুটো দিয়ে বানানো বাসাটার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে, বাসাটি বেগুনি রোদ্দুরে ভরে গেছে।
তাই তো দেখছি। তা তুমি এখানে কেন বলো তো, বেগুনি রোদ্দুর? আমি এসেছি তোমার মন ভালো করতে। সবার মন ভালো করাই আমার কাজ।
তুমি পারবে আমি যা চাই তা করতে?
অবশ্যই পারবো?
তাহলে আমাকে নিয়ে চলো নদী, পাহাড়, বন, ঘাসফুল আর প্রজাপতিদের কাছে। আমি উড়তে চাই।
আচ্ছা চলো।
টুই বেগুনি রোদ্দুরের পিঠে ভর করে উড়তে থাকে মহা আনন্দে।
উড়তে উড়তে ওরা চলে আসে একটি ডোবার কাছে। ডোবার পাশে একটি ব্যাঙ বসে রোদ পোহাচ্ছিলো।
তাকে শিকার করতে পেছনে এক সাপ ওত পেতে আছে, তা ব্যাঙটি মোটেও খেয়াল করেনি। কিন্তু টুই তা ঠিকই বুঝতে পারে। ব্যাঙকে বাঁচাতে সে টুপ করে সাপের পিঠে একটি ঠোকর বসিয়ে দেয়। প্রচণ্ড রাগে সাপ পেছনের দিকে ফেরে।
ততোক্ষণে ব্যাঙ বুঝতে পেরে লাফ দেয় ডোবায় আর টুইও উড়ে চলে যায় বেগুনি রোদ্দুরের সঙ্গে।
বাহ্ টুই, তুমি তো দারুণ একটা কাজ করলে। বেগুনি রোদ্দুরের বাহবা পেয়ে খুব খুশি হয় টুই।
তারা আবার উড়তে শুরু করে। উড়তে উড়তে হঠাৎ দেখে, এক বিশাল মাকড়সার জালে আটকা পড়েছে একটি কালো পিঁপড়া।
চড়ূইছানা আমাকে একটু সাহায্য করবে? পিঁপড়ার কাতর কণ্ঠে টুইয়ের বুকের ভেতর কেমন যেন চিনচিন করে ওঠে।
সে বেগুনি রোদ্দুরের পিঠে ভর করে ঠোঁট দিয়ে কুটকুট করে মাকড়সার জাল কেটে ফেলে নিমেষেই। মুক্ত হয়ে কালো পিঁপড়া তাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যায়।
টুইয়ের মন খুব ভালো হয়ে যায়। কাউকে উপকার করতে পারলে মন এতটা ভালো হতে পারে সে আগে জানতো না।
আবার তারা উড়তে থাকে। উড়তে উড়তে হঠাৎ দেখতে পায় এক ঝোপে একটি ডাহুকছানা চুপচাপ বসে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার মন খারাপ। টুই ডাহুকের পাশে গিয়ে বসে।
কী হয়েছে ডাহুকছানা? তোমার মন খারাপ?
দেখতেই তো পাচ্ছে মন খারাপ। আবার জিজ্ঞেস করার দরকারটা কী?
দরকার তো অবশ্যই আছে। আমারও মন খারাপ ছিলো। এখন বেগুনি রোদ্দুরের সঙ্গে উড়তে উড়তে মনটা ভালো হয়ে গেছে।
তোমার তো বেগুনি রোদ্দুর আছে, আমার তো নেই। আমার মন ভালো হবে কী করে?
তুমি আসবে আমাদের সঙ্গে? এসে দেখো উড়তে কেমন মজা।
টুইয়ের কথায় খুশি হয়ে যায় ডাহুকছানা। ঝটপট উঠে পড়ে বেগুনি রোদ্দুরের পিঠে।
উড়তে থাকে ওরা মনের আনন্দে। কিছুদূর যেতেই হঠাৎ দমকা হাওয়া। বেগুনি রোদ্দুরের পিঠ থেকে পড়ে যেতে থাকে টুই।
বাঁচাও। আমাকে বাঁচাও। চিৎকার করে ওঠে টুই।
কী হয়েছে টুই? স্বপ্ন দেখছো? এই তো আমরা এসে গেছি। দেখো কতো খাবার এনেছি তোমার জন্য।
টুই চোখ মেলে দেখে, সে বাসায়ই। মন খারাপ করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলো টের পায়নি। মায়ের ডাকেই তার ঘুম ভাঙলো। সে মনে মনে ভাবলো, আহা স্বপ্ন এতো সুন্দর হয়? হ
কি হলো টুই? চুপচাপ বসে আছ। মন খারাপ?
অচেনা কারও ডাকে পেছনে ফিরে তাকায় টুই।
হ্যাঁ আমার মন খারাপ। কিন্তু তুমি জানলে কীভাবে?
তুমিই বা কে?
আমাকে চিনতে পারছ না? আমি বেগুনি রোদ্দুর। দেখো না কেমন করে তোমার ঘর আলো করে বসে আছি।
টুই গাছের ডালে খড়কুটো দিয়ে বানানো বাসাটার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে, বাসাটি বেগুনি রোদ্দুরে ভরে গেছে।
তাই তো দেখছি। তা তুমি এখানে কেন বলো তো, বেগুনি রোদ্দুর? আমি এসেছি তোমার মন ভালো করতে। সবার মন ভালো করাই আমার কাজ।
তুমি পারবে আমি যা চাই তা করতে?
অবশ্যই পারবো?
তাহলে আমাকে নিয়ে চলো নদী, পাহাড়, বন, ঘাসফুল আর প্রজাপতিদের কাছে। আমি উড়তে চাই।
আচ্ছা চলো।
টুই বেগুনি রোদ্দুরের পিঠে ভর করে উড়তে থাকে মহা আনন্দে।
উড়তে উড়তে ওরা চলে আসে একটি ডোবার কাছে। ডোবার পাশে একটি ব্যাঙ বসে রোদ পোহাচ্ছিলো।
তাকে শিকার করতে পেছনে এক সাপ ওত পেতে আছে, তা ব্যাঙটি মোটেও খেয়াল করেনি। কিন্তু টুই তা ঠিকই বুঝতে পারে। ব্যাঙকে বাঁচাতে সে টুপ করে সাপের পিঠে একটি ঠোকর বসিয়ে দেয়। প্রচণ্ড রাগে সাপ পেছনের দিকে ফেরে।
ততোক্ষণে ব্যাঙ বুঝতে পেরে লাফ দেয় ডোবায় আর টুইও উড়ে চলে যায় বেগুনি রোদ্দুরের সঙ্গে।
বাহ্ টুই, তুমি তো দারুণ একটা কাজ করলে। বেগুনি রোদ্দুরের বাহবা পেয়ে খুব খুশি হয় টুই।
তারা আবার উড়তে শুরু করে। উড়তে উড়তে হঠাৎ দেখে, এক বিশাল মাকড়সার জালে আটকা পড়েছে একটি কালো পিঁপড়া।
চড়ূইছানা আমাকে একটু সাহায্য করবে? পিঁপড়ার কাতর কণ্ঠে টুইয়ের বুকের ভেতর কেমন যেন চিনচিন করে ওঠে।
সে বেগুনি রোদ্দুরের পিঠে ভর করে ঠোঁট দিয়ে কুটকুট করে মাকড়সার জাল কেটে ফেলে নিমেষেই। মুক্ত হয়ে কালো পিঁপড়া তাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যায়।
টুইয়ের মন খুব ভালো হয়ে যায়। কাউকে উপকার করতে পারলে মন এতটা ভালো হতে পারে সে আগে জানতো না।
আবার তারা উড়তে থাকে। উড়তে উড়তে হঠাৎ দেখতে পায় এক ঝোপে একটি ডাহুকছানা চুপচাপ বসে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার মন খারাপ। টুই ডাহুকের পাশে গিয়ে বসে।
কী হয়েছে ডাহুকছানা? তোমার মন খারাপ?
দেখতেই তো পাচ্ছে মন খারাপ। আবার জিজ্ঞেস করার দরকারটা কী?
দরকার তো অবশ্যই আছে। আমারও মন খারাপ ছিলো। এখন বেগুনি রোদ্দুরের সঙ্গে উড়তে উড়তে মনটা ভালো হয়ে গেছে।
তোমার তো বেগুনি রোদ্দুর আছে, আমার তো নেই। আমার মন ভালো হবে কী করে?
তুমি আসবে আমাদের সঙ্গে? এসে দেখো উড়তে কেমন মজা।
টুইয়ের কথায় খুশি হয়ে যায় ডাহুকছানা। ঝটপট উঠে পড়ে বেগুনি রোদ্দুরের পিঠে।
উড়তে থাকে ওরা মনের আনন্দে। কিছুদূর যেতেই হঠাৎ দমকা হাওয়া। বেগুনি রোদ্দুরের পিঠ থেকে পড়ে যেতে থাকে টুই।
বাঁচাও। আমাকে বাঁচাও। চিৎকার করে ওঠে টুই।
কী হয়েছে টুই? স্বপ্ন দেখছো? এই তো আমরা এসে গেছি। দেখো কতো খাবার এনেছি তোমার জন্য।
টুই চোখ মেলে দেখে, সে বাসায়ই। মন খারাপ করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলো টের পায়নি। মায়ের ডাকেই তার ঘুম ভাঙলো। সে মনে মনে ভাবলো, আহা স্বপ্ন এতো সুন্দর হয়? হ
মন্তব্য করুন