- ফিচার
- ১০ হাজার অর্কিডের সমারোহ
১০ হাজার অর্কিডের সমারোহ

অর্কিডই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। ১০ কাঠা জায়গাজুড়ে প্রায় ৫৮৯ প্রজাতির ১০ হাজারেরও বেশি অর্কিড তাঁর সংগ্রহে। মাসে অর্কিড বিক্রি করে লাভ হয় ৩০ হাজার টাকা। দেশে বাণিজ্যিকভাবে অর্কিড বাগান করে হাতেগোনা যে কয়েকজন সফলতার মুখ দেখেছেন তাঁদেরই একজন মোহাম্মদ নুরুল হক রানা।
ছোটবেলা থেকেই বাগান করেন রানা। শখ করেই কিছু অর্কিড বাগানে তুলেছিলেন। পরে এক রকম এর প্রেমেই পড়ে যান। রানা বলেন, 'বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে। অন্যের কাছে আছে, কিন্তু আমার কাছে সে প্রজাতির অর্কিড নেই। এমনটা দেখলে জেদ চেপে যায়। সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করি।' নার্সারি, অনলাইন, এমনকি প্রকৃতি থেকে তিনি অর্কিড সংগ্রহ করেছেন। ঠকেছেনও অনেক। তবু থেমে থাকেনি বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড সংগ্রহ। অবশ্য অর্কিড বিশ্বের গাছপালার মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম পরিবার। জানা যায়, অর্কিডের বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের মতো। অর্কিড প্রজাতিগুলো একে অপরের থেকে অনেক বেশি পৃথক। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির অর্কিড যাঁদের সংগ্রহে রয়েছে রানা তাঁদের মধ্যে একজন। দু'জন সহায়ক তাঁর অর্কিডগুলো দেখভাল করেন। রাজধানীর কদমতলী থানার রায়েরবাগের খানকা শরিফ এলাকায় রানার বাগান। এখানে যেমন অর্কিডপ্রেমীরা কিনতে আসেন। দেখতেও আসেন অনেকে। অর্কিডের এমন বৃহত্তর আয়োজন নজর কেড়েছে অনেকের।
দেশ থেকে অর্কিডের নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে রানা বলেন, 'নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার জন্য অর্কিড বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি তাই অর্কিড সংগ্রহ করে অধিক পরিমাণে চারা উৎপাদন করছি। যেন কোনো প্রজাতিই ষোলআনা বিলুপ্ত না হয়।' ২০১৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে অর্কিডের উৎপাদন শুরু করার মাত্র ছয় মাসের মাথায় তিনি লাভের মুখ দেখেন। ভারত, মিয়ানমার থেকে তিনি অর্কিড আমদানি করেন। তবে উৎপাদন এবং অনেক প্রজাতি সংরক্ষণে তাঁর আগ্রহ বেশি। রানার এ অর্কিড সাম্রাজ্যে একেকটি অর্কিড ৩০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। রানা ফেসবুকে অর্কিড সম্পর্কিত তিনটি গ্রুপের অ্যাডমিন। তাঁর পেজের নাম অর্কিড সোর্স। পেজের মাধ্যমে তিনি অনলাইনে বিক্রি করেন। রানা গাছ ভালোবাসেন। ভালোবাসাটাই তাঁর কাছে প্রধান। যে কারণে অনেক প্রজাতির অর্কিড বেশি দাম দিয়ে তিনি সংগ্রহ করেছেন।
রানা বলেন, 'ভালো লাগলেই সব অর্কিড আপনার থাকতে হবে- এমন মনোভাব বাদ দিতে হবে। সামান্য কিছু দেশি অর্কিড সংগ্রহ করে সেগুলোর যত্ন নিন। যদি বাঁচাতে পারেন তবেই অর্কিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন। বর্ষাকাল অর্কিড বৃদ্ধির জন্য খুব উপযুক্ত সময়। তেমনি অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অর্কিডের পাতায় পানি জমে ছত্রাকের আক্রমণে মারা যেতে পারে, তাই অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাবধানে রাখতে হবে। বর্ষাকাল শেষ হলে অর্কিডকে খাবার দিতে হয়। শুধু পানিতে অর্কিড বেঁচে থাকবে; তবে খুব একটা বৃদ্ধি পাবে না, ফুলও হতে দেরি হবে। ফুলের পরিমাণ কমে যাবে। যতটুকু যত্ন নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব ততটুকুই অর্কিড রাখুন আপনার সংগ্রহে।' রানা আরও জানান, অর্কিডের প্রধান রোগ হচ্ছে পচন ধরা। এই পচন ধরা বন্ধ করতে হলে ১৫ দিন পর পর ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করে দিতে হয়। টানা ২-৩ দিন বৃষ্টি হলেও বৃষ্টি শেষে ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করা জরুরি। অন্য সময় ১৫ দিন পরপর ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করতে হয়।
বাংলাদেশে অর্কিড উৎপাদন করে তা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তবে এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে মনে করেন রানা। তিনি অর্কিডের প্রজাতির সংখ্যা আরও বাড়াবেন। আরও মানুষকে অর্কিডপ্রেমী হতে সাহায্য করবেন- এটাই তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। া
ছোটবেলা থেকেই বাগান করেন রানা। শখ করেই কিছু অর্কিড বাগানে তুলেছিলেন। পরে এক রকম এর প্রেমেই পড়ে যান। রানা বলেন, 'বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে। অন্যের কাছে আছে, কিন্তু আমার কাছে সে প্রজাতির অর্কিড নেই। এমনটা দেখলে জেদ চেপে যায়। সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করি।' নার্সারি, অনলাইন, এমনকি প্রকৃতি থেকে তিনি অর্কিড সংগ্রহ করেছেন। ঠকেছেনও অনেক। তবু থেমে থাকেনি বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড সংগ্রহ। অবশ্য অর্কিড বিশ্বের গাছপালার মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম পরিবার। জানা যায়, অর্কিডের বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের মতো। অর্কিড প্রজাতিগুলো একে অপরের থেকে অনেক বেশি পৃথক। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির অর্কিড যাঁদের সংগ্রহে রয়েছে রানা তাঁদের মধ্যে একজন। দু'জন সহায়ক তাঁর অর্কিডগুলো দেখভাল করেন। রাজধানীর কদমতলী থানার রায়েরবাগের খানকা শরিফ এলাকায় রানার বাগান। এখানে যেমন অর্কিডপ্রেমীরা কিনতে আসেন। দেখতেও আসেন অনেকে। অর্কিডের এমন বৃহত্তর আয়োজন নজর কেড়েছে অনেকের।
দেশ থেকে অর্কিডের নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে রানা বলেন, 'নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার জন্য অর্কিড বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি তাই অর্কিড সংগ্রহ করে অধিক পরিমাণে চারা উৎপাদন করছি। যেন কোনো প্রজাতিই ষোলআনা বিলুপ্ত না হয়।' ২০১৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে অর্কিডের উৎপাদন শুরু করার মাত্র ছয় মাসের মাথায় তিনি লাভের মুখ দেখেন। ভারত, মিয়ানমার থেকে তিনি অর্কিড আমদানি করেন। তবে উৎপাদন এবং অনেক প্রজাতি সংরক্ষণে তাঁর আগ্রহ বেশি। রানার এ অর্কিড সাম্রাজ্যে একেকটি অর্কিড ৩০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। রানা ফেসবুকে অর্কিড সম্পর্কিত তিনটি গ্রুপের অ্যাডমিন। তাঁর পেজের নাম অর্কিড সোর্স। পেজের মাধ্যমে তিনি অনলাইনে বিক্রি করেন। রানা গাছ ভালোবাসেন। ভালোবাসাটাই তাঁর কাছে প্রধান। যে কারণে অনেক প্রজাতির অর্কিড বেশি দাম দিয়ে তিনি সংগ্রহ করেছেন।
রানা বলেন, 'ভালো লাগলেই সব অর্কিড আপনার থাকতে হবে- এমন মনোভাব বাদ দিতে হবে। সামান্য কিছু দেশি অর্কিড সংগ্রহ করে সেগুলোর যত্ন নিন। যদি বাঁচাতে পারেন তবেই অর্কিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন। বর্ষাকাল অর্কিড বৃদ্ধির জন্য খুব উপযুক্ত সময়। তেমনি অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অর্কিডের পাতায় পানি জমে ছত্রাকের আক্রমণে মারা যেতে পারে, তাই অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাবধানে রাখতে হবে। বর্ষাকাল শেষ হলে অর্কিডকে খাবার দিতে হয়। শুধু পানিতে অর্কিড বেঁচে থাকবে; তবে খুব একটা বৃদ্ধি পাবে না, ফুলও হতে দেরি হবে। ফুলের পরিমাণ কমে যাবে। যতটুকু যত্ন নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব ততটুকুই অর্কিড রাখুন আপনার সংগ্রহে।' রানা আরও জানান, অর্কিডের প্রধান রোগ হচ্ছে পচন ধরা। এই পচন ধরা বন্ধ করতে হলে ১৫ দিন পর পর ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করে দিতে হয়। টানা ২-৩ দিন বৃষ্টি হলেও বৃষ্টি শেষে ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করা জরুরি। অন্য সময় ১৫ দিন পরপর ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করতে হয়।
বাংলাদেশে অর্কিড উৎপাদন করে তা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তবে এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে মনে করেন রানা। তিনি অর্কিডের প্রজাতির সংখ্যা আরও বাড়াবেন। আরও মানুষকে অর্কিডপ্রেমী হতে সাহায্য করবেন- এটাই তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। া
মন্তব্য করুন