নাকের হাড় বাঁকা

৮০ শতাংশ মানুষেরই নাকের হাড় একটু বাঁকা। তবে এ রকম থাকলেই যে চিকিৎসা দরকার তা নয়। এ থেকে সমস্যা হলেই শুধু চিকিৎসা প্রয়োজন। নাকের হাড়টা যেদিকে বাঁকা, সেই পাশে শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হয়। নাক বন্ধ মনে হতে পারে। বাঁকা অংশে বাতাস চলাচলের পথ সরু থাকে। মাথাব্যথা, হাঁচি, সর্দি, গলায় অস্বস্তি এমনকি কানেও সমস্যা হতে পারে। শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে নাকের মধ্যখানের হাড় বা সেপটাম ও অন্যান্য হাড়ের বৃদ্ধি সামঞ্জস্য না থাকলেই এ সমস্যা দেখা দেয়। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত এই বৃদ্ধি চলে।
ছোটবেলায় কোনোভাবে নাকে আঘাত পেলে ঝুঁকি বাড়ে। হামাগুড়ি দেওয়ার সময়ই সাধারণত শিশুরা নাকে আঘাত পায়। তখন না হলেও পরে সমস্যা দেখা দেয়। নাকের হাড় বাঁকা হলেই শল্যচিকিৎসা অপরিহার্য নয়। হাড়টা কতখানি বাঁকা, তার ভিত্তিতে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন নির্ভর করে। যদি নাকের ছিদ্র প্রায় বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়, নাক দিয়ে রক্তপাত বা প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়, সে ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা লাগতে পারে। যদি বাঁকা হাড়ের সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, শল্যচিকিৎসায় সাময়িক উপকার হয়। কিন্তু সাত-আট মাস পর আবার নাক বন্ধ হতে শুরু করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পরিবর্তে অ্যালার্জি, সাইনাস ইত্যাদির চিকিৎসায়ও সুফল মিলতে
পারে।
[সাবেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
বারডেম]