সৈকতের পাশ ঘেঁষে এই জাহাজভাঙায়-
গোধূলির সান্ধ্যগান
ভেসে আসার খানিক আগে-
হাওয়ায় উড়তে থাকা
তোমার অবাধ্য খোলা চুলে-
মরচেপড়া এই ডকইয়ার্ডে যেন
আছড়ে পড়ল এক তারাজ্বলা মার্মেইড!

সন্ধ্যার খানিক আগে- এই জাহাজভাঙায়-
তোমাকে আমার কেবলই
তাহিতির সরোবরে ভেসে থাকা
প্রেমিকার মতন লাগছিল

ভায়োলিন বাজাতে বাজাতে
জাহাজের ভাঙা ডেকে
তোমার একটা ছবি তুলতেই
সেটা ভীষণ ভিন্টেজ দেখাচ্ছিল

সৈকতের বালিতে ছিটকে থাকা
বাতিল তৈজস আর টুকরো ইস্পাতগুলোকে
মনে হচ্ছিল যেন ছড়ানো অ্যান্টিক

জাহাজভাঙায় ঘুরতে এসে-
সীতাকুণ্ড পার হয়ে ভাটিয়ারিতে-
সূর্যাস্তের শেষ আলোয়
তুমি আমার হাত ধরতেই
হাওয়ায় ভেসে এলো-
জাহাজ কাটতে গিয়ে
হাত হারানো শ্রমিকের চাপা স্বর!

তুমি আমাকে আলতো জড়িয়ে ধরতেই
হাওয়ায় মিশে গেল
জাহাজ কাটতে গিয়ে
পা হারানো শ্রমিকের গহিন গোঙানি!


বিষয় : পদাবলি

মন্তব্য করুন