কাকতলীয়, পোয়েট্রি হাউজে দুই বাড়ি অথবা এক বাড়িতে
যুক্তাক্ষর হয়ে থাকি, জেগে থাকি, ঘুমাই
আমাদের স্বর্গীয় দূতাবাসের সানরুফে চমৎকার চাঁদ উঠলে
অর্ধেক জোছনা মাসুদ খানের।
যুগল ব্যাকইয়ার্ডে ম্যাপল পাতা ঝরে নামতার মতো
জোড়ায় জোড়ায়।
যমজ ব্যাকইয়ার্ডে দুই বাংলার সীমান্ত; সামারে আমরা ব্যাডমিন্টন খেলি,
শীতে যৌথ জলাশয়ে তুষার জমলে আমরা বরফে চাষ করি
বাংলা কবিতা।
কোরবানির মাংসের মতো ভাগাভাগি করি পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দখিন,
সমান্তরাল বণ্টন করি ২৬টি বর্ণমালা, ১৩টি ১৩টি করে।
কিন্ত কাঠবিড়ালিগুলো আমাদের এজমালিক।
পয়েট্রি হাউজের মতো আমাদের জন্মদিনতারিখও প্রতিবেশী,
সত্তর-আশি দশকের মতো পাশাপাশি,
যৌথ যাপন, উদযাপন, অজস্র আনন্দ। চিয়ার্স!
২
বর্ষায় ব্রহ্মপুত্রে দেখেছি- ‘তৃষ্ণার্ত জলপরী’
খালি গলায় আমরা গান গেয়েছি- ‘নদীকূলে করি বাস’।
সেই ফেলে আসা নদী, নেই।
ফেলে আসা স্মৃতির শহরে আমরা খালি গায়ে, খালি পায়ে হেঁটেছি।
আমাদের অক্ষত পদচিহ্ন থেকে বহু বৃক্ষের জন্ম হয়েছে,
সেই বৃক্ষ সংরক্ষণ করতে পারেনি পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
নতুন শহরে নতুন পায়ে হাঁটি, নতুন বাড়ির সান রুফে নতুন চাঁদ।
শুধু আমাদের পুরাতন জীবনের গন্তব্য বলাকাবাহী ঐ বাংলাদেশ বিমান।
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২৩ । ০০:০০ । প্রিন্ট সংস্করণ
মন্তব্য করুন