এক যে ছিলো বিড়াল। সেই বিড়ালটা মাছ বা পাখি যাই দেখতো তাই কুড়মুড় করে আগে আগে খেয়ে নিতো।

এবার আসি ছবির গল্পে। তোমরা ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই ভাবছো যে, বিড়ালের তাড়া খেয়েই এই ইঁদুরটি আকাশে উড়াল দিলো। আসলেই তাই। আমারও না তাই মনে হয়! এই উড়াল দেওয়া ইঁদুরকে দেখে আমার আরেকটি কথা মনে পড়ে গেলো। কথাটি খুলেই বলি, আমার এক বন্ধু সুযোগ পেলেই টেলিভিশনের সামনে বসে পড়তো। বসে কী দেখতো জানো? অনেকেই বুঝে ফেলেছো। হ্যাঁ তুমি যা ভেবেছো তাই। সে টিভি খুলেই কার্টুন নেটওয়ার্কে ‘টম অ্যান্ড জেরি’তে ডুব দিতো।  জানো, সে না জেরির চেয়ে টমকে বেশি পছন্দ করতো। তাই সে টমের মতো চালাকি এবং দুষ্টুমি করতো প্রায়ই। একদিন সে শ্রেণিকক্ষে টিফিনের সময় হঠাৎ জোরে বলে উঠলো, ‘বন্ধুরা, আমার দিকে তাকাও। তোমাদের এখন দেখাবো জেরির মুরগির হাঁটু নিয়ে পালানো আর হাঁটু খাওয়ার দৃশ্য।’ যেমন কথা তেমন কাজ। আমরা সবাই তার কাণ্ডে হো হো হেসে উঠি। তবে হাঁড়ে কামড় দিতে গিয়ে সে নিজের দাঁতই ভেঙে ফেললো। সেদিন থেকে বন্ধুটি বিড়াল ছেড়ে ইঁদুরকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। আর আমি তো আগে থেকেই ভালোবাসি ইঁদুরকে। ফড়িং মিয়ার ছাপানো ইঁদুরটার কথা বলছি আর কি!  

 বয়স ৬; কেজি ২, ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ধানমন্ডি, ঢাকা

বিষয় : গপ্পো

মন্তব্য করুন