
রবীন্দ্রনাথের গান– মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল ফাগুন দিনের স্রােতে।/ এসে হেসেই বলে, “যা ই যা ই যাই।”... এই পঙ্ক্তির ভেতরেই যেন ধরা পড়ে গেছে সমগ্র বিশ্বের দর্শন। যেন ভালো কোনো কিছুই এ পৃথিবীতে স্থায়ী হওয়ার জন্য আসেনি। যা কিছু ভালো সবকিছু যেন মুখ দেখিয়েই অন্তর্হিত হয়ে যাওয়ার জন্য অস্থির। কবিতাদেবীও তাই। আর তাকে ধরে রাখবার জন্যই কবির যত আহাজারি। কিন্তু সে ক্ষমতাও যেন কবি তথা মানুষের নেই।
তাই আমার যেন মনে হয় এ পৃথিবীর সবকিছু ভালো যেন অচিরেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার জন্য অস্থির। সকলেই যেন এক ঘূর্ণায়মান অস্থিরতার ভেতরে বিরাজ করছে। কারও জন্য কেউ সময় দিতে পারছে না। কারও বিশেষ প্রয়োজনে কারও থেমে যাওয়ার উপায় নেই। বা থেমে গেলেও যেন চলবে না। যেন চলমানতাই এ পৃথিবীর মূল দর্শন। মানুষের জীবনে তো বটেই, প্রকৃতিরও জীবনে। সেখানে ক্রমাগতভাবে ঘটে চলেছে রূপান্তর। এক ঋতু থেকে আরেক ঋতুর রূপান্তর। একটি মাত্র ঋতুতে প্রকৃতি নয় সন্তুষ্ট।
মানুষের অন্তর্নিহিত সত্তার ভেতরেও এই অস্থিরতা যেন বিদ্যমান। যেন ‘হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোনো খানে’। মগ্নচৈতন্যের রূপায়ণে মানুষ যেন তাই দিশেহারা। তাই মানুষের জীবনেও যেন কোনো থিতু নেই। সেখানে ক্রমাগত পরিবর্তন, ক্রমাগত ওঠাপড়া, ক্রমাগতই চলছে ভাঙচুর।
অথবা এমন হতে পারে যে প্রকৃতি স্থবিরতা ভালোবাসে না। স্থবিরতা চলমান নয়। চলমান হতে পারে না। কারণ স্থবিরতার সে সাধ্য নেই। স্থবিরতার কোনো সৌন্দর্য নেই। চলমানতাই সৌন্দর্য।
তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মানুষ এই চলমানতার ভেতরে সুন্দর কিছু ধরে রাখতে পারে না। আকাঙ্ক্ষিত কিছু ধরে রাখতে মানুষের সাধ্য নেই। চলমান পৃথিবীতে কোনো ভালোবাসা, কোনো সৌন্দর্য, কোনো প্রেম, কোনো আকাঙ্ক্ষা মানুষ সারাজীবন ধরে রাখতে পারে না। এমনকি মানুষ ধরে রাখতে পারে না তার শৈশব, যৌবন বা যৌবনের আকাঙ্ক্ষাসমূহ। সবকিছুর যেন বদল ঘটে যায়। যে বদল মানুষ মন থেকে হয়তো চায় না। তবুও দফায় দফায় বদল ঘটে।
এমনকি কবিও ধরে রাখতে পারেন না তাঁর মাধবীকে, যে মাধবী তাঁর কাব্যপ্রেয়সী, যে মাধবীর আগমনের আশায় তাঁর দিনযাপন। যে মাধবী তাঁর আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। যাকে আত্মার ভেতরে টেনে নিতে তাঁর দিনরাতের সাধ্যসাধনা। হ্যাঁ, সে মাধবী অনেক সাধ্যসাধনার পর আসে বটে, কিন্তু যেন চোখের পলকে সে আবার ‘যাই’ হয়ে যায়। আবার সরে যায়। সে যেমন হঠাৎ আসে আবার মুহূর্তেই দূরে চলে যায়। কবিকে ফেলে রেখে যায় রুক্ষ নিষ্ঠুর কঠিন পৃথিবীতে। কবি আর তাঁর কবিতার ফুল ফোটাতে পারেন না।
তার ফিরে আসার স্বপ্নে কেটে যায় কবির আক্ষেপিত জীবন। আবার কবে আসবে মাধবী তাঁর কবিতার পসরা নিয়ে? আবার কবে তিনি গুছিয়ে তুলবেন তাঁর কবিতার পঙ্ক্তিগুলি সযতনে?
রবীন্দ্রনাথের অনুরণনে কবি রফিক আজাদ যেন অনুতাপ করে বলেন, ‘তোমার অনুপস্থিতি করুণ বেদনাময়, বড় বেশি মারাত্মক বাজে বুকের ভেতরে কী যে ক্রন্দনের মত্ত কলরোলে।’
তাই মাধবীর হঠাৎ বিদায় কবিকে করে তোলে বেদনাবিধুর।
কিন্ত তবু তিনি হারান না আশা। তবু তাঁর মনে হয় কখনওবা আবার ফিরে আসবেন তাঁর কাব্যলক্ষ্মী, কারণ ‘রোমশ বালুকাবেলা খেলা করে রৌদ্রদগ্ধ তটে; অস্তিত্বের দূরতম দ্বীপে এই দুঃসহ নির্জনে, কেবল তোমার জন্যে বসে আছি উন্মুখ আগ্রহে–’ [কবিতা : মাধবী এসেই বলে– যাই, রফিক আজাদ]
কবির মতো যেন মানুষও তার আশা নিয়ে এ ধরার ধুলায় বেঁচে থাকে। মানুষ তার ভাঙাচোরা জীবন নিয়েও, হতাশা নিয়েও, ধস নিয়েও প্রতিদিন চোখ খুলে দেখতে চায় ছাদের কার্নিসে বসে থাকা ছোট্ট একটি চড়ুই। দেখতে চায় পাঁচিলের ধার ঘেঁষে বেড়ে ওঠা গন্ধরাজের চারা। সে তার জীবনের ধারাবাহিকতার কোনো পরিবর্তন চায় না।
তবু মানুষ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে তার সুবর্ণ শৈশব, তেজালো যৌবন, জ্ঞানসম্পন্ন বার্ধক্য এবং সেই সাথে কানে শোনে মৃত্যুর পদধ্বনি; যা সে প্রতিনিয়ত কানে শুনতে পায়, তবু কি এক একগুঁয়েমি জেদে বা দুর্বিনীত আশায় সে তা গ্রাহ্য করে না। সে তা না শোনার ভান করে ভাঙাচোরা জীবনের কাঁথায় বুনে তোলে নতুন সব ফোঁড়, নতুন সব আশার ফোঁড়। সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সে মনে মনে গেঁথে তোলে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সে বয়স ভুলে যায়, সে সংসার ভুলে যায়, সে তার স্বপ্নকে শুধু ধরে রাখতে চায়।
কারণ, আশার অতীত মানুষ হয় আশাবাদী। স্বপ্নের অতীত মানুষ হয় স্বপ্নবাদী।
কবি সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুশয্যায় যেন আমিও এ রকমেরই একটি প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছিলাম।
তিনি মৃত্যুর আগাম সংবাদ কানে শুনে যেন বেশি করে সৃজনশীল হয়ে উঠেছিলেন। মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেও যেন তিনি না দেখার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি মৃত্যুর দশ দিন আগেও প্রতিদিন একটি করে কবিতা, একটি করে গল্প বুনে চলতেন। যেমন গ্রিক মিথোলজির পেনেলপি বুনে চলতেন তাঁর কাঁথা, ইচ্ছে করে সময় ক্ষেপণের জন্য, রাজসভায় তাঁর দেহলোভী পাষণ্ড মানুষগুলোর হাত এড়াবার জন্য। যুদ্ধ শেষে স্বামীর দেশে ফিরে আসবার জন্য।
যে মানুষগুলো ছিল পেনেলপির জীবনে মৃত্যুর প্রতীক।
তেমনি মৃত্যুর মাত্র একটি দিন আগেও সৈয়দ হক লেখেন তাঁর শেষ ধ্রুপদি গল্পটি। যেটি পড়লে চোখ ভিজে যায়, চোখ ভেসে যায়। মানুষেরই তো চোখ। সে চোখ নির্বিকার থেকে কত আর কষ্ট ধারণ করতে পারে!
মৃত্যর আগে পাঁচটি মাস সৈয়দ হক ক্রমাগত বলে চলেছিলেন তাঁর আত্মকথা। তাঁর ছেলেবেলা, তাঁর ছেলেবেলার প্রেম, একটু বড় হয়েই সোনার হরিণ ধরার লোভে বিদেশ পালানো, দেড় বছর পর তাঁর দেশে ফিরে আসা, তারপর সরাসরি সাহিত্যের আঙিনায় পা রাখা।
আত্মকথনের সাথে সাথে তিনি লিখে চলেছিলেন কবিতা, একের পর এক কবিতা, সেই সঙ্গে পড়ে চলা ধ্রুপদি কিছু সাহিত্য, মাত্র তেরো দিনের মাথায় অনুবাদ শেষ করে ফেলা হ্যামলেট। আর মাঝে মাঝে একটি আক্ষেপ, সেটি বাংলার কবি মাইকেল মধুসূদনের জন্য। আহা, মঞ্জু, আমি যদি আর একটু সময় পেতাম তাহলে মাইকেলকে নিয়ে লিখে যেতাম একটি নাটক। এ রকমের নাটক আগে কখনও লেখা হয়নি। এই মানুষটিকে তাঁর কাল একেবারে বুঝতে পারেনি, মঞ্জু।
মৃত্যুর পরোয়ানা পেয়ে তাই এক মুহূর্ত যেন তিনি সময় নষ্ট করতে চাননি। মৃত্যুর আগের সেই পাঁচটি মাস ছিল তাঁর অপরিসীম পরিশ্রমের মাস।
মৃত্যুর মাত্র একদিন আগেও সৈয়দ হক লেখেন তাঁর শেষ ধ্রুপদি গল্পটি, শেষ ধ্রুপদি কবিতাটি।
আরও তিনি লিখতে চেয়েছিলেন। আরও অনেক গল্প ও কবিতা। যেন মৃত্যুদূতের হাত এড়াবার জন্য এই ছিল তাঁর শেষ যুদ্ধ। কাব্যলক্ষ্মীর কাঁথার আড়ালে দাঁড়িয়ে থেকে মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াই।
পরদিন শেষশয্যা আইসিইউতে যাওয়ার আগেও তিনি গুছিয়ে তোলেন তাঁর অ্যাটাশে কেস। গুছিয়ে তোলেন বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার পাওয়া সব টাকা। তাঁর ভেতরে যত্ন করে তিনি রেখে দেন তাঁর উপহার পাওয়া ছোট্ট একটি ল্যাপটপ। বারবার করে বলেন, ‘সাবধানে রেখো। আমি আইসিইউ থেকে ফিরে এসেই আবার হাতে নেব! আমার মাথার ভেতরে নতুন একটি প্লট এসেছে!’
অথচ তার একদিন বাদেই তিনি পাড়ি দেন অজানার উদ্দেশ্যে। মাথার ভেতরে নতুন সেই প্লটটিকে সঙ্গে নিয়ে। আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথাটা একবারও মনে না রেখে! আমাকে এই শ্বাপদসংকুল পৃথিবীতে একাকী ফেলে রেখে! এত বড় নিষ্ঠুরতা আর কী হতে পারে? আমি তো তাঁর সঙ্গে ভালো করে ঘরও করতে পারলাম না। আমার পঞ্চাশ বছরের ঘরসংসার যেন এ পৃথিবীর বুকে মাত্র পাঁচ দিনের ঘরসংসার হয়ে থাকল!
কেন এ রকম মনে হলো? পঞ্চাশ বছরের বিবাহিত জীবন তো কালের হিসাবে কম দীর্ঘ নয়? তবু এ কথাই মনে হলো। তার মানে কি এই দয়িতের বিদায় সর্বদাই সময়ের হিসাব গিলে ফেলে? সময় সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়, সময় কালের অতলে হারিয়ে ছোট্ট হয়ে যায়?
আক্ষেপ থেকে গেল। এ জীবন নিয়ে আমার আক্ষেপ থেকে গেল। এ যেন কবিরই কবিতার অংশ হয়ে গেল। ‘মাধবী এসেই বলে: যাই।’
আহ্ মাধবী, কেন তুমি এসেই চলে যাও? তোমার কি হতভাগ্য কবির জন্য একফোঁটাও মমতা হয় না? তুমি তাঁর রক্ত জল করা পরিশ্রম চোখে দেখ না? তুমি কি দেখ না মাত্র একটি কবিতার পঙ্ক্তির জন্য কবির দিনের পর দিন রাত জেগে থাকা? তার হৃদয়ের অশ্রু টসটস করে তোমার পায়ের ওপরে পড়ে। তোমার কি মায়া হয় না, হে দেবী?
না, মায়া হয় না। আর মায়া হয় না বলেই তো কবির অপেক্ষার শেষ নেই।
এতসব কিছু বলার পরেও মূল কথাটা বলা থেকে যায়। আর সেটি হলো মানুষের আয়ুদীর্ঘ জীবন। মূলত আমরা শেষমেশ তো মানুষের জীবন নিয়েই কথা বলছি। যে মুহূর্তে একটি জীবন এ ধরার আঙিনায় মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে, ঠিক তার পরমুহূর্তটি থেকে জীবন বলতে থাকে– যাই, যাই, চলে যাই! অর্থাৎ তার যেন আর অপেক্ষা করবার সময় নেই। জন্মের মুহূর্ত থেকেই যেন অজানার পাখায় ভর দিয়ে সে উড়তে থাকে বাতাসে। এ ধরার কাজ যেন সে কোনোরকমে শেষ করতে পারলেই উড়াল দেবে অচেনার দিকে। জাগতিক দেরি যেন সে মুহূর্তমাত্র সহ্য করতে পারে না। ক্রমাগত সে অধৈর্য হয়ে দুলতে থাকে। দুলতে দুলতে সে যেন চলে যায় নীলিমার দিকে। নীলিমার বিলীনতার দিকে, যেন জন্মেই সে তার মূল অস্তিত্বের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ধীরে, ধীরে, ধীরে। এক শূন্য থেকে আরেক শূন্যে।
প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে।
আর মানুষেরা যেন কবির অভিলাষ নিজেদের বুকে ধারণ করেই ‘খণ্ডিত ব্রিজের মতো নতমুখে তোমার প্রতিই নীরবে দাঁড়িয়ে আছি।’
এই তবে হয় এত মূল্যবান মানবজীবন? এই তবে মানুষের অভীপ্সিত বাসনা, কামনা, বিদ্যা, সংগীত, কাব্যকথা?
এই জীবন তাহলে কী? যে জীবন ক্রমাগত বলে, যাই, যাই, যাই?
এবং সেই সাথে জীবনের অর্জিত সবকিছু?
কবি তাই যেন অনুযোগ করেই শেষমেশ বলে ওঠেন, ‘তোমার স্বভাব নয় স্থিরতায়– অস্থির, অধীর–’
এতসব কথা ও কাহিনির পরেও সময় কেটে যায়। সময় প্রবহমান। সময় কারও সুখ-দুঃখ, পাওয়া-না পাওয়াকে পরোয়া করে না।
যে রোদ-সকালের কথা মানুষ কোনোদিন ভুলবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে, বিস্মৃতির পথ ধরে তাও একসময় স্মৃতিপট থেকে মুছে যায়। যে পাখি, যে ফুল, যে প্রিয় মুখ সে জীবনে ভুলবে না মনে করে, একসময় তাও হারিয়ে যায় স্মৃতির খেয়া ধরে।
সময়ের পথ ধরে সবকিছু ক্রমে ক্রমে ধূসর হতে থাকে, দূরে সরে যেতে থাকে, কালের ধুলোয় আচ্ছন্ন হতে থাকে। আচ্ছন্ন হতে থাকে মানুষের উপার্জিত যাবতীয় সম্পদ, তার প্রেম ও ভালোবাসা, তার শোক ও ব্যর্থতা, তার সবলতা ও দুর্বলতা, শুধু তার মূল সুরটুকু কালের হৃদয়ে গচ্ছিত থাকে।
ভবিষ্যতের মানুষ তাদের সময় হলে কখনও সেসব কীর্তিগাথা স্মরণ করে, কখনওবা করতে তারা ভুলে যায়। কারণ, মানুষ মূলতই বিস্মৃতিপরায়ণ।
তবে মানবের ক্রমাগত অগ্রসর হবার প্রক্রিয়ায় এই বিস্মৃতিরও বড় প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে এখানে বলতে হয়, ‘জীবন হইতে প্রতিদিন অনেক ভুলিয়া, অনেক ফেলিয়া, অনেক বিলাইয়া তবে আমরা অগ্রসর হইতে পারি। ... প্রত্যেক কথা, প্রত্যেক ভাব, প্রত্যেক ঘটনার উপর যে ব্যক্তি বুক দিয়া চাপিয়া পড়ে সে অতি হতভাগ্য।’
এর চেয়ে বড় কথা, এর চেয়ে মহৎ কথা আর কী হতে পারে? এজন্যই তো বারবার করে আমাদের রবীন্দ্রনাথের কাছেই ফিরতে হয়।
আবার তাঁরই মুখ থেকে অমৃতের বাণীর মতোই শুনতে হয়–
‘সুখের আশা আঁকড়ে লয়ে
মরিস নে তুই ভয়ে ভয়ে
জীবনকে তোর ভরে নিতে
মরণ আঘাত খেতেই হবে।’
তাহলে জীবন এভাবেই যেতে থাকুক এবং সেই সঙ্গে জীবন-সংলগ্ন সবকিছু।
আমরা সকলে তাহলে এই ক্ষণস্থায়ী জীবনেরই জয়গান গাই। আর জীবন ক্ষণস্থায়ী বলেই না জীবন সবকিছু মিলিয়ে এত সুন্দর!
মন্তব্য করুন