- ফিচার
- গবেষণায় নতুন দিগন্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি
গবেষণায় নতুন দিগন্ত

সিইউআরএইচএস পার করেছে চারটি বছর
উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ নেই, এমন অনেক কথার চাউর আছে। কিন্তু এ পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আগের তুলনায় এখন আরও বেশি গবেষণামুখী হচ্ছে। তেমনিভাবে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা ও দিশারী হয়ে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস)।
কয়েকজন উদ্যমী তরুণ শিক্ষার্থীর হাতে গড়া ক্লাবটি সম্প্রতি চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশে তৃণমূল পর্যায়ে গবেষণা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে। ইতোমধ্যে পাড়ি দিয়েছে চারটি বছর। বিগত বছরগুলোতে নানা উদ্যোগ, কর্মসূচি, অর্জন এবং জাতীয় মঞ্চে পুরস্কার ও স্বীকৃতি নিয়ে একাকার হয়ে উঠেছে তরুণ গবেষকদের এই সংগঠন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কর্তৃপক্ষ একমাত্র সহযোগী হিসেবে সিইউআরএইচএসকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা ২০২৩। এখানে অংশ নিয়েছে চবির ৪০টি বিভাগ, ৩৫টি ল্যাবরেটরি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি-বেসরকারি আরও ২০টি প্রতিষ্ঠান। এবং গবেষণা কর্ম প্রদর্শনীর শেষে চট্টগ্রামের ৪০ জন সেরা গবেষককে পুরস্কৃত করা হয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে। এ ছাড়া গত বছর দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী, গবেষক ও গণিতবিদ অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মরণে দেশের প্রথমবারের মতো আয়োজিত জামাল নজরুল ইসলাম জাতীয় তরুণ গবেষক সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে সাড়া ফেলেছে সিইউআরএইচএস।
মূলত, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসম্মত গবেষণা প্রশিক্ষণ, দেশের বাইরে বিভিন্ন স্কলারশিপের তথ্য প্রদান এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছে সংগঠনটি। যাত্রা শুরুর পর প্রায় দুই বছরে ৩৫টির বেশি সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে সংগঠনটি। বিদেশের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও বৃত্তি সম্পর্কিত নানা তথ্যে ভরপুর ছিল সেসব সভা-সেমিনার। এসব অনুষ্ঠানে হাজির হন হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, টেক্সাস, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য গবেষকরা। বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার সদস্যের পরিবারে পরিণত হয়েছে সিইউআরএইচএস। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা তরুণ গবেষক তাকবীর হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা আন্তর্জাতিক গবেষণা সভা করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। তরুণদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আলোকবর্তিকা হিসেবে বিপ্লব সৃষ্টি করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বে স্থায়ী প্রভাব সৃষ্টির মাধ্যমে একটি উন্নত দেশ ও প্রজন্ম তৈরি করতে পারব।
মন্তব্য করুন