মানুষের কেন ডানা হয় না– এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান উৎসবের বিচারক বললেন, মানুষের ডানা থাকার কারণ শারীরিক গঠন ও ভর। ডানা থাকলেও মানুষের শরীরের গঠন পৃথিবীর অভিকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে বাতাসে ভেসে থাকার উপযোগী নয়। তবে ওড়ার জন্য মানুষ ঠিকই আবিষ্কার করে নিয়েছে উড়োজাহাজ। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলমাঠে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও শুনছিল মনোযোগ দিয়ে। এমনই মজার ও সৃজনশীল সব প্রশ্নে আনন্দের আসর বসেছিল গত ১৮ মার্চ বিডিবিএ-সমকাল জীববিজ্ঞান উৎসবের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্বে। শিক্ষকরাও এসব প্রশ্নের উত্তর সহজভাবে বুঝিয়ে দেন শিক্ষার্থীদের।

এ ছাড়া নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, আলোচনা অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিডিবিএ-সমকাল জীববিজ্ঞান উৎসবের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষত পুরস্কার বিতরণী উৎসবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উচ্ছ্বাসে কলেজিয়েট স্কুল প্রাঙ্গণ মুখর হয়েছিল।

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলমাঠে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও জীববিজ্ঞান উৎসব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দা রুম্মান আকতার সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি অধ্যাপক ড. এ এম মাসুদুল আজাদ চৌধুরী, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী, বিডিবিও-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির অর্থ সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা এবং একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান সারোয়ার সুমন এবং জীববিজ্ঞান উৎসব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ মাহমুদ।

উৎসবে বিভাগের ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে তিন ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্বে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে ২৫২ শিক্ষার্থী। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৪২ জন। প্রশ্নোত্তর পর্বে সেরা পাঁচ প্রশ্নকারীকেও পুরস্কৃত করা হয়। সেরা প্রতিষ্ঠান হয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের আহমাদ আবদুল্লাহ, মাধ্যমিকের শাহীন আনজিজ এবং জুনিয়রের জাওয়াদ বিন ইয়াছার। চ্যাম্পিয়ন ৪২ শিক্ষার্থী হলো– উচ্চ মাধ্যমিকে আহমাদ আবদুল্লাহ জামি, আবদুল্লা আল নাহিয়ান, সাইদ ইফতেকার সালাম, কঙ্খমিতা ভৌমিক, সৌম্য দাশ ও মোহতাসিম ফাহিম; মাধ্যমিকে শাহীন আনজিজ, কাজী সাদিয়া মুনতাহা, ফাতেমা তুন নুহা, জেরিন তাসনিম , সুদীপ বড়ুয়া, অপূর্ব চৌধুরী, উপমা রায়, রাইসা ফাবিয়া জান্নাত, মোশারাত নাওয়ার, শৈবাল চৌধুরী, তানহা তাজরীয়া, নাফিউল ইসলাম ফাইয়াজ, সুকৃত দে, নানজিবা হোসাইন, সৃষ্টি ভট্টাচার্য, সানজিদ অপূর্ব, সুবাহ ইমরোজ ও তাহলিল মফিজ; জুনিয়র ক্যাটাগরিতে জাওয়াদ বিন ইয়াছা, রাজদীপ নাথ, অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য, তাসবিরুল জান্নাত, শিজিয়া চক্রবর্তী, সানজিদা করিম, ফুয়াদ হোসাইন, নাবিলা নিশাত সামিন, তাহাসিন হোসাইন, অরুনিমা সিনহা, হাসিব হিসাম, হুমায়রা ইসনাত, ফাহবিন সুরাহ সোহা, অঙ্কিতা ঘোষ, অনিন্দিতা চৌধুরী, রুবাইদা আজিজ, জেবা মাহমুদা ও মেহরাজ হাসনাইন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি