২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসটা একাত্তর সালের আগে ছিলো না। থাকবে কেমন করে? তখন আমরা স্বাধীনভাবে চলতেই পারতাম না। তারও আগে আমরা আমাদের এই বাংলা ভাষায় কথা বলতে গেলেও বাধা আসতো। আমাদের যারা কথা বলতে দিতে চাইতো না, যারা আমাদের ইচ্ছে মতো চলতে-ফিরতে দিতো না– তারা কিন্তু  আমাদের দেশের কেউ ছিলো না। অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো তারা পাকিস্তান থেকে এমনটা শুরু করেছিলো আমাদের সঙ্গে। তারা আরও বলে কী! বাংলাদেশটাকে পাকিস্তান বানিয়ে রাখবে। আচ্ছা, তোমাদের ঘরটা যদি কেউ এসে জোর করে নিয়ে যেতে চায়, তখন কী করবে তোমরা? নিশ্চয় ঘরটার জন্য খুব মন খারাপ করবে। আর ঘরটা যারা নিয়ে যেতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বড়রা মানে তোমাদের বাবা-ভাইয়ারা ঘুরে দাঁড়াবে। ঠিক তেমনি আমাদের এই বাংলাদেশটাকে যারা নিজেদের করে নিতে চেয়েছিলো, তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে একেবারে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলো আমাদের বাবা-ভাইয়াসহ বড়রা। দেশটাকে ধরে রাখতে অনেকেই যুদ্ধে গেলো। তারা প্রায় ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিলো শত্রুদের সঙ্গে। আমাদের দেশটাকে যারা নিয়ে যেতে চেয়েছিলো সেই পাকিস্তানিরা এক সময় লেজগুটিয়ে পালালো।
এদিকে আমাদের দেশটার তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। অনেক যোদ্ধা বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাদের মায়েরা-বাবারা, পুঁচকে বাবুরা মন খারাপ করে যোদ্ধাদের জন্য বসে রইলো। বসে রইলো তো রইলোই, যোদ্ধারা আর ফিরে এলো না!
বলি, ফিরবে কেমন করে? তারা তো আমাদের লাল সূর্যটার ভেতর ঢুকে গেলো! আর তাদের জন্য মন খারাপ করে বসে থাকা বাবা-মা আর পুঁচকেরা সূর্যের চারদিকের সবুজ হয়ে গেলো। এই লাল আর সবুজ মিলে হয়ে গেলো আমাদের পতাকা। একাত্তর সালে এই পতাকাটা আকাশে পত পত করে উড়তে শুরু করলো। পতাকা উড়তে শুরু করা মানেই তো স্বাধীনতা। মানে আমরা আমাদের দেশটা ফিরে পেয়ে গেলাম। আর বীর যোদ্ধাদের জন্য স্মৃতিসৌধ বানিয়ে নিলাম। তাতে ফুল দিতে শুরু করলাম। স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বীর যোদ্ধাদের বীরত্বের কথা ভাবতে থাকি। এমন করেই স্বাধীনতা এলো আর এমন করেই এলো স্মৃতিসৌধটা।
তো আর একদিন পরেই আসছে স্বাধীনতা দিবস। এই  দিবসটায় নিশ্চয়ই বেশ মজা করেই কাটাবে তোমরা!

বিষয় : বিশেষ কিছু

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন