একটি হত্যা সমাধানের রহস্য কী? আপনি যদি নিক এবং অড্রে স্পিটজকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা হয়তো বলবেন, এটি পুরোনো দিনের বৈবাহিক ঝগড়া। তবে এ জুটির মাধ্যমে ঠিক চার বছর আগেই দর্শক বুঝতে পেরেছিলেন মার্ডার মিস্ট্রি ছবির প্রথম কিস্তির মাধ্যমে। জনপ্রিয় তারকা অ্যাডাম স্যান্ডলার ও জেনিফার অ্যানিস্টন আগের মতোই মার্ডার মিস্ট্রি ২-তেও অপরাধ তদন্ত করে সমাধানকারী দম্পতির ভূমিকায় দেখা যাবে। জেরেমি গ্যারেলিক পরিচালিত ছবির প্রকাশিত টেলরের একটি দৃশ্যে দেখা মেলে মানি হেইস্ট ভিলেনখ্যাত আর্তুরো রেমানকে।

সব মিলিয়ে দারুণ এক গল্পের দৃশ্যায়ন হতে চলেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হচ্ছে। যার মধ্য দিয়ে আগামীকাল দর্শকের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে। চার বছর পর আবার দর্শক মাতাতে আসছে মার্ডার মিস্ট্রির সিক্যুয়াল মার্ডার মিস্ট্রি টু।

কুশীলবদের চেহারায় কিছু পরিবর্তন থাকলেও থাকছে গল্পের মিল। মার্ডার মিস্ট্রির দুর্দান্ত সব সিকোয়েন্সের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁদের জন্য এটি যুক্ত করবে অসাধারণ সব অভিজ্ঞতা। অ্যাকশন, রহস্য, রোমান্টিক কিংবা কমেডি যে বিভাগেই বিবেচনা করা হবে, আমার মনে হয় সেই বিভাগেই জায়গা করে নেবে মার্ডার মিস্ট্রির দ্বিতীয় কিস্তি মার্ডার মিস্ট্রি টু। ছবির নামটা যেমন ঠিক বিপরীত এর শুরুটা। কোনো সুখী দম্পতির আনন্দ ভ্রমণ বন্ধু মহারাজার (আদিল আখতার) বিয়ে উদযাপনের জন্য।

একটি মনোমুগ্ধ করা ব্যক্তিগত দ্বীপে আমন্ত্রণে বন্ধুর বিয়েতে অংশ নিতে তাঁরা যখন অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হন, তখনই ঘটে অঘটন। বন্ধু মহারাজাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায় কেউ। কিন্তু মহারাজার বেশে ছিলেন অন্য কেউ। কিন্তু কেন? কেনই বা তাকে হত্যা করার চেষ্টা? কে সেই অপরাধী? সেই  প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তাড়া করেন নিক ও অড্রে দম্পতি। হত্যাকারী অতিথিদের মধ্যে কেউ একজন। তাঁরা দু’জনই এখন একটি প্রাইভেট এজেন্সির গোয়েন্দা।

তাঁদের আনন্দ ভ্রমণ রূপ নেয় অপরাধী খুঁজে বের করা আর বন্ধুকে বাঁচানো মিশনে। টান টান গল্পের অভিজ্ঞতা পেতে হলে আপনাকে দেখতে হবে পুরো ছবিটি।

বিষয় : মার্ডার মিস্ট্রি বৈবাহিক ঝগড়া

মন্তব্য করুন