
চোখ বন্ধ করে থাকতেই দেখেছো বাদুড়কে, তাই না? ফলে তোমাদের অনেকের মনে সন্দেহ আছে, বাদুড় আদৌ দেখতে পায় কিনা। কিন্তু সন্দেহকে পাশ কাটিয়ে যারা বিশ্বাস করতে শুরু করে দিয়েছো– বাদুড় চোখে দেখে না, তাদের বলছি সব বাদুড়ই কিন্তু দেখতে পায়।
অল্প আলোতে তুমি-আমি ঠিকমতো চোখে না দেখলেও এমন অনেক বাদুড় আছে, যারা তাতেও স্পষ্ট দেখে। ফলখেকো অনেক বাদুড়েরই আছে ইয়া বড় বড় চোখ। সেগুলো তাদের পথ দেখতে ও ফল খুঁজতে সাহায্য করে। তবে অন্যগুলো, বিশেষ করে যেগুলো রাতে পোকামাকড়ের সন্ধানে বের হয়– সেগুলোকে চোখের চেয়ে বেশি আস্থা রাখতে হয় কানের উপর। মানে, এই বাদুড়গুলো তাদের কান দিয়ে দেখে! এই পদ্ধতিটিকে ইংরেজিতে বলে ইকোলোকেশন। এক্ষেত্রে একটি বাদুড় তারা মুখ বা নাক দিয়ে অনেক উচ্চস্বরের একটা শব্দ করে। এই শব্দগুলো কাছাকাছি থাকা জিনিসপত্রে বাড়ি খেয়ে বাদুড়ের কাছে ফেরত আসে, আর বাদুড় সেগুলো তার কান দিয়ে পড়তে পারে! এতে করে সে কোনো জায়গা, দুরত্ব, আকার, বিকার ইত্যাদি বুঝতে পারে।
কখনো কখনো বাদুড়েরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্য বাদুড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আর যে বাদুড়গুলো ঠিকমতো চোখে দেখতে পায় না, তারা এই পদ্ধতিতে তাদের খাবার সংগ্রহ করে।
এখন নিশ্চয়ই ভাবছো, বাদুড়েরা যে শব্দ করে, সেগুলো আমরা শুনতে পাই না কেন? সেই শব্দগুলো এতটাই উচ্চমাত্রার থাকে যে, আমাদের কান সেগুলোকে বুঝে উঠতে পারে না। তবে তোমরা যদি কোনো বিজ্ঞানীর কাছ থেকে বাদুড় ধরার যন্ত্র নিয়ে আসতে পারো, তাহলে সেটি দিয়ে বাদুড়ের শব্দ শুনতে পারবে আর বাদুড়ের আজব দুনিয়ার অংশ হতে পারবে!
মন্তব্য করুন