অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের বয়ঃসন্ধিকালে বিশেষ নজর দিতে হবে। বয়ঃসন্ধিকাল আসার আগে থেকেই একজন ছেলে বা মেয়েসন্তানকে নানা মাধ্যমে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে যে, তার দেহ আর মনের কিছু পরিবর্তন আসবে। কাউকে গল্পের মাধ্যমে, কাউকে ছবি ব্যবহার করে শারীরিক পরিবর্তনগুলো বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। নারী-পুরুষের দৈহিক পার্থক্যগুলো তার সক্ষমতা অনুযায়ী বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে।

তাদের শারীরিক আর মানসিক নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোর নাম শেখাতে হবে। সেগুলো অন্যরা যাতে স্পর্শ করতে না পারে, সে জন্য ‘মন্দ স্পর্শ’, ‘ভালো স্পর্শ’ বিষয়গুলো বারবার বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে।

বয়ঃসন্ধিকালে কিছু বিশেষ পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। বিশেষ করে পিরিয়ডের দিনগুলোতে মেয়েশিশুকে নিজের যত্ন আর পরিচ্ছন্ন থাকার কৌশল শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্তর্বাস পরিচ্ছন্ন রাখার অভ্যাস ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই শেখাতে হবে। মা-বাবা নিরাপদ মনে করলে তদারকি করে তাদের দাড়িগোঁফসহ শরীরের নানা স্থানের চুল কাটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

সক্ষমতা আর বুদ্ধিমত্তা অনুযায়ী ছেলে ও মেয়ে শিশুকে বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই যৌনজ্ঞান প্রদান করতে হবে। ঋতুচক্র, হস্তমৈথুন বা সংবেদনশীল শব্দ ব্যবহারে তাকে যৌক্তিক জ্ঞান প্রদান করতে হবে। এগুলো তাকে নিরাপত্তা দেবে, বিব্রতকর আচরণ করা থেকে দূরে রাখবে।

বয়ঃসন্ধিকালে অনেক সময় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছেলেমেয়ে আগ্রাসী আচরণ করে। এ সমস্যাটা হতে পারে তার অনিরাপত্তা থেকে। কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে। v