বুদ্ধপূর্ণিমাসহ টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। গত বৃহস্পতিবার বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটি থাকায় সকাল থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামে। যা শুক্রবারও অব্যাহত ছিল। যদিও হোটেল-মোটেলগুলোর রুম শতভাগ বুকিং হয়নি। এর কারণ হিসেবে কুয়াকাটায় সৈকত ছাড়াও কম ভ্রমণ স্পট থাকার বিষয়টিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সকালে এসে রাতেই অনেক পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন। তবে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমুদ্রে ঢেউয়ের সঙ্গে জলকেলিতে মেতেছেন। অনেকে ঘুরছেন ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায়। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ উপভোগ করছেন। মিশ্রীপাড়া, লেম্বুরবন, গঙ্গামতী, ইলিশ পার্ক, লাল কাঁকড়ার চর, টেংরাগিরিসহ প্রতিটি ভ্রমণ স্পটেই ছিল প্রচুর পর্যটকের ভিড়। খুলনা থেকে আসা মো. মুরাদ বলেন, তিন দিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে এবার এলাম। চেয়েছিলাম দু-তিন দিন থাকব। কিন্তু এক দিনেই সব ভ্রমণ স্পট ঘোরা শেষ। তাই কাল ফিরে যাব। সৈকত ও সংলগ্ন এলাকায় আরও কয়েকটি ভ্রমণ স্পট চিহ্নিত বা তৈরির দাবি জানান তিনি। 

পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক আসেননি কুয়াকাটায়। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ছুটিতে প্রচুর পর্যটক এসেছেন, যা হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটন-সংশ্লিষ্ট সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোতালেব শরীফ বলেন, এখানে ১৭০টির বেশি আবাসিক হোটেল রয়েছে; যার ধারণক্ষমতা ২০ হাজারের বেশি। গত দু’দিনে আগত পর্যটকের সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হলেও হোটেল-মোটেলগুলোর শতভাগ রুম বুকিং হয়নি। কারণ পদ্মা সেতু হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক পর্যটক সকালে এসে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে ফিরে যাচ্ছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।