সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। কয়েক মাস ধরে তাঁদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবকে শোকজ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ভুঞা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ওই শোকজ করা হয়।

আজ শোকজের চিঠি রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক আরেকটি চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। উভয় চিঠি পাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। তা ছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থানের বিষয়টি বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতিকে জানাতে বলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রেজিস্ট্রারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে সিকৃবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ভুঞা। এর পর থেকে রেজিস্ট্রার উপাচার্যের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। এমনকি তাঁদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ দেখা দেয়।

শোকজ চিঠিতে উপাচার্য উল্লেখ করেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অসহযোগিতা করে আসছেন, যা সিকৃবি আইন ২০০৬ ও কর্মচারী বিধির পরিপন্থি।

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে– ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় উপস্থিত না থাকা, রেজিস্ট্রার হিসেবে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা থাকলেও অনুপস্থিত থাকা, অফিসে যাতায়াতের বিষয়টি উপাচার্যকে অবগত না করা, না বলে অনুপস্থিত থাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন উপস্থাপন না করা, গুরুত্বপূর্ণ নথি উপস্থাপন না করা ইত্যাদি।

অপরদিকে ক্যাম্পাসে অবস্থানের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সিকৃবি আইন অনুযায়ী, রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাসে বাসা নিয়ে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেননি বদরুল ইসলাম। অথচ ক্যাম্পাসে খালি বাসা রয়েছে।