সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে সমাবেশ কিংবা গণসংযোগও করছেন।

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সভায় বক্তব্য দেওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে। আজ রোববার নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তাঁকে নোটিশ দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সিলেট অফিসে হাজির হয়ে তাঁকে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর মিরাবাজারে নৌকার নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি বা সরকারের সুবিধাভোগী ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। সিকৃবির রেজিস্ট্রার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

এদিকে সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই গণসংযোগ, সমাবেশ ও শোডাউন করছেন। আজ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানকে দরগাহ গেট এলাকায় এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে শাহপরান এলাকায় সমাবেশে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিঞা জানান, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মেয়র পদে আরও দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

মেয়র পদে রোববার আরও দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালাহ উদ্দিন রিমন। এ নিয়ে মেয়র পদে সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন। এ ছাড়া ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩১০ ও সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডে ৮১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র তুলেছেন।

মেয়র পদে তিনজন দলীয় ও চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মেয়র পদে দলীয় অন্য দুই প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান। অপর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন আবদুল হানিফ, আব্দুল মান্নান খান ও সামছুন নুর তালুকদার।