- ফিচার
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ঘটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ
আলোচনা সভায় বিশিষ্টজন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ঘটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় তোলা। ফাইল ছবি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসিত করার অপচেষ্টা হয়েছিল বলে মনে করেন বিশিষ্টজন। তাঁরা বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশে ফেরার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটে।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘আপনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ও শান্তির দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে নিবন্ধ উপস্থাপন করে ইতিহাসবিদ, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘সমাজে মধ্যবিত্তের কিছু বৃত্ত আছে, যেগুলো ছাপিয়ে মাত্র এক বছরে বঙ্গবন্ধু একটি জাতির নেতা হয়ে উঠেছিলেন। সাহস ও নেতৃত্বগুণে তাঁর সমসাময়িক সব রাজনীতিককে পেছনে ফেলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যেদিন দেশে ফেরেন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও এটি বুঝেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চাকা আবার সচল হবে। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। অর্থনীতি, রাস্তাঘাট, মানুষের মাথাপিছু আয়, সংবিধানসহ সবক্ষেত্রে তিনি অবদান রেখেছেন। বাবার মতোই প্রধানমন্ত্রী আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। দেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফেরাকে প্রকৃতি ও মানুষ সাদরে গ্রহণ করেন। সারা বাংলা ঘুরে মানুষের অধিকার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আবার পুনর্বাসন শেখ হাসিনাকে ইতিহাসে স্থান করে দিয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে রাজনীতি করছেন। তিনি ১৯৮১ সালে স্বদেশে ফিরে প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সামরিক শাসন থেকে মুক্তি দিতে এসেছি, আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে আসিনি।’ নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে তিনি বাবার পথেই হেঁটে যাচ্ছেন। এ সময় গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লালটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন