সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অসংখ্য কন্টেন্টের মধ্যে ভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কন্টেন্ট বানান অনেকে। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনও মিটবে আবার বিনোদনও থাকবে এমন খুব কমই দেখা যায়। তবে এমনই ব্যতিক্রমী কন্টেন্ট দেখা যায় ‘গলুস রিভিউ’-তে। এই পেজের স্বত্ত্বাধিকারী তাপসী দাস।

জানা যায়, তাপসী নিজের ছোট ছেলে গলুর ইচ্ছাতেই তৈরি করেন ফেসবুক পেজটি। ২০২১ সালের মার্চ থেকেই শুরু হয় যাত্রা। উদ্দেশ্য- মানুষকে বিনোদন দেওয়া। তবে কন্টেন্টের মূল বিষয়গুলো থাকে রান্না বিষয়ক। ফেসবুকের পাশাপাশি ইউটিউবেও এই চ্যানেলের আছে ৩ লক্ষাধিক সাবসক্রাইবার।

তাপসী জানান, কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি কোনো স্ক্রিপ্ট ছাড়াই স্বতস্ফুর্তভাবেই ভাবেই করেন, ফলে কন্টেন্টগুলো হয় আরও বেশি প্রাণবন্ত। তবে কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি সর্বদা মাথায় রাখেন কন্টেন্ট এর কোয়ালিটি বা বিশেষত্ব বজায় রাখার।

তিনি বলেন, ‘সংসার সামলে আমার কন্টেন্ট তৈরি করতে মোটেও বেগ পেতে হয় না। কারণ, আমার কন্টেন্ট এর একটা বড় অংশ হলো আমার সংসার, আমি মূলত আমার কন্টেন্ট এ মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনযাত্রা তুলে ধরার চেষ্টা করি, যেখানে আমার পরিবার আমাকে সবসময় সাহায্য করে।’

তাপসী আরও বলেন, একটি কন্টেন্ট প্রকাশের পর অনেক ক্ষেত্রে বাজে বা কটু মন্তব্য এবং সমালোচনার মুখোমুখি হলেও তিনি সেগুলো স্বাভাবিক ভাবেই নেন। তিনি এসব বাজে কমেন্ট এবং সমালোচনা দুটোই থেকে নিজেকে আরও ভালো ভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পান। প্রথম প্রথম মেনে নিতে খারাপ লাগলেও, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে। শুধু মানুষকে বিনোদন দিয়েই এই কন্টেন্ট নির্মাতা মাস গেলে ইনকাম করছেন ১ থেকে ২ হাজার ইউএস ডলার। আর এই ইনকামের একটা অংশ দিয়ে তারা অসহায় মানুষের ইচ্ছেপূরণ করে থাকেন নানাভাবে তাদের সাহায্য করে। 

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সমানভাবে জনপ্রিয় তাপসী দাসের কন্টেন্ট। গতানুগতিক কন্টেন্টের ধারাকে পাল্টে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। তাপসী দাসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- একটা রেস্টুরেন্ট করবেন যার নাম হবে ‘গলুস কিচেন’।