- ফিচার
- মানুষের পাশে মানবিক পাঠশালা
মানুষের পাশে মানবিক পাঠশালা

মানবিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার মানবিক পাঠশালার স্বেচ্ছাসেবকরা
ইরানুল ইসলাম। পড়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এবং অসহায়, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুণ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মানবিক পাঠশালা। কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘মানবতার শুভেচ্ছাবার্তা’ স্লোগানে মাত্র ১৫ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটির বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।
এই স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের সৃজনশীল চিন্তা ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরই মধ্যে বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে সংগঠনটি। করোনাকালে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি ও মাস্ক বিতরণ, মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং লকডাউন চলাকালে নন-কভিড, প্রসূতি ও মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে যাতায়াত সেবা দেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এ ছাড়া প্রজেক্ট আলোকবর্তিকার মাধ্যমে আর্থিক সমস্যায় পড়াশোনা বন্ধ হওয়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে অধ্যয়ন; প্রজেক্ট আহারের আওতায় বিভিন্ন এতিমখানা ও বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে খাবার সরবরাহ করা হয়। অবহেলায় থাকা বিভিন্ন শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সংস্কারের কাজ করেন তাঁরা। আইনজীবীদের সমন্বয়ে প্রজেক্ট মানবিক ডেস্ক দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও বাল্যবিয়ে বন্ধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং অসহায় ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহয়তা প্রদান করে সংগঠনটি। সর্বসাধারণের জন্য গ্রন্থাগার ও সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে অধ্যয়নে বিদ্যালয় স্থাপনে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা।
সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে মানবিক পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ইরানুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক অনুপ্রেরণায় একদল স্বপ্নবাজ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সমুদ্র জনপদে মানবতার শুভেচ্ছাবার্তা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছি। এই কাজ আগামীতেও করে যেতে চাই।’
মন্তব্য করুন