- ফিচার
- জ্বর হলেই পরীক্ষার পরামর্শ চিকিৎসকদের
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে
জ্বর হলেই পরীক্ষার পরামর্শ চিকিৎসকদের

দেশে চলতি বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪১ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ১১২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে নতুন করে এই রোগে কারও মৃত্যু হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এড়াতে জ্বর হলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতে বলা হয়েছে, নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১২৮ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। অন্যান্য জেলার ১৩ জন। সারাদেশে বর্তমানে ৩৯৭ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৪৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৫২ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৯ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৬০৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৭২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮৬৯ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ২৫২ এবং ঢাকার বাইরের ৬১৭ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চেঞ্জিং প্যাটার্ন অব ডেঙ্গু সিনড্রম’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চিকিৎসকরা বলেন, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এড়াতে জ্বর হলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। রোগ প্রতিরোধে এডিস মশা নিধন, ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণের পাশাপাশি রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়লে পর্যাপ্ত পানি জাতীয় খাবার এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সময়ে অ্যাসপিরিন জাতীয় ও ব্যথার ওষুধ বন্ধ রাখতে হবে। বমি, পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শরীরের কোথাও রক্তপাত হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি গান আছে, ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়, সাদা সাদা ফোঁটা দেখে এডিস মশা চেনা যায়। এই মশা চিনতে হবে। এটি ডেঙ্গুর জন্য দায়ী। এ মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, জ্বর হলে প্রয়োজন ছাড়া অযথা বাড়তি পরীক্ষা এবং বারবার পরীক্ষা যেন না দেওয়া হয়। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্লাটিলেট কমে গেলেই রক্ত দিতে হবে এ ধারণাও ভুল। আবার রক্ত দেওয়া যাবেই না এটাও ঠিক না। প্রকৃত সমস্যা শনাক্ত করে অবস্থা বুঝে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন