- ফিচার
- কৃষিতে ভর্তুকি ও নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখুন
সেমিনারে বক্তারা
কৃষিতে ভর্তুকি ও নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখুন

প্রতীকী ছবি
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখা যেতে পারে। তবে এ জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিট খাদ্য আমদানিকারক উন্নয়নশীল দেশের (এনএফআইডিসি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া ডব্লিউটিওর নিয়মকানুনের সঙ্গে সংগতি রেখে রপ্তানি সহায়তা স্কিম তৈরি করা উচিত।
রোববার রাজধানীর এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রজেক্ট যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
কৃষি খাতে এলডিসি উত্তরণের প্রভাব বিষয়ে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও মান বাড়ানো সম্ভব হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো ক্রমেই প্রত্যাহার হলে তা আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানোর একটি জোর আকাঙ্ক্ষা তৈরি করবে।
কৃষি খাতের অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারের নীতি ধারাবাহিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এনএফআইডিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার করা হলে বিদেশের অনেক বাজারে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ বাড়তে পারে। শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পের দক্ষতা বাড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট খরচ কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে কৃষিপণ্যের জন্য প্রদত্ত সহায়তার পরিমাণ যেহেতু ডব্লিউটিও নির্ধারিত সীমার মধ্যে রয়েছে, সেহেতু উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে কৃষি ভর্তুকি প্রদান কোনো সমস্যা হবে না। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদানে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে সমস্যা হতে পারে। তাই এ ধরনের ভর্তুকি আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে শ্রেণিবদ্ধ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন