![রামেন্দু মজুমদার [জন্ম : ৯ আগস্ট ১৯৪১]](https://samakal.com/uploads/2023/06/online/photos/Untitled-26-samakal-64821523aa80b.jpg)
রামেন্দু মজুমদার [জন্ম : ৯ আগস্ট ১৯৪১]
রামেন্দু মজুমদার (জন্ম ৯ আগস্ট ১৯৪১) খ্যাতিমান বাংলাদেশি অভিনেতা, মঞ্চ নির্দেশক ও নির্মাতা। তিনি ঢাকার মঞ্চনাটক আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্যক্তিত্বদের একজন। মঞ্চে অভিনয় করছেন ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। মঞ্চের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে তাঁকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
শৈশবের প্রথম স্মৃতি?
প্রথম স্মৃতি যা মনে পড়ে, স্কুলে বসার জায়গা নেই এ অজুহাতে স্কুল থেকে চলে এসেছিলাম।
শৈশব-কৈশোরের বন্ধু যারা–
অনেকের কথা নানান সময়ে মনে পড়ে। এ মুহূর্তে মনে পড়ছে প্রদীপ পাল, চৌধুরী খুরশীদ আলাম, আবু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, খলিলুর রহমান চৌধুরী প্রমুখের নাম।
যে ব্যক্তিগত ঘটনাটির প্রভাব আপনাকে নাটকে আকৃষ্ট করেছে?
অভিনয়ের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্বন্ধ। আমার বাবা, দাদাও অভিনয় করতেন। তাঁদের দেখে প্রথম উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
প্রথম মঞ্চ নাটকের স্মৃতি?
স্কুলে একবার সিরাজ-উদ-দৌলা নাটক মঞ্চায়িত হলো। আমি ওয়াটসের ভূমিকায় অভিনয় করলাম। যদিও মাত্র দুটি সংলাপ ছিল।
দেশে ও দেশের বাইরে প্রিয় নাট্যকার?
দেশের ভেতর প্রিয় নাট্যকারদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দ শামসুল হক, আবদুল্লাহ আল-মামুন, মামুনুর রশীদ, মনোজ মিত্র, ইয়াসমিন রেজা। বিদেশে শেকসপিয়র, আরও অনেকে।
যে বইগুলো বারবার পড়েছেন?
আমি কোনো বই বারবার পড়িনি।
যে লেখকের লেখা পড়ে ঈর্ষা বোধ হয়?
একজনের নাম বিশেষভাবে বলতে পারি। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এখন বন্ধু যারা?
এখনকার বন্ধুদের মাঝে রয়েছেন মফিদুল হক, আবদুস সেলিম, বাবুল বিশ্বাস, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, দেব প্রসাদ দেবনাথ প্রমুখ।
নাট্যকার অভিনয়শিল্পী ছাড়া আরও যা হতে পারতেন–
অভিনয়শিল্পী ছাড়া আমি রাজনীতিবিদ হতে পারতাম বলে কখনও মনে হয়, কখনওবা মনে হয় আইনজীবী হওয়ার সাধ্যও আমার ছিল।
প্রিয় সংগীতশিল্পী?
প্রিয় সংগীতশিল্পী অনেকেই। তাঁদের ভেতর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জয়তী চক্রবর্তী, শ্রীকান্ত আচার্য্য বিশেষ প্রিয়।
অন্যধারার প্রিয় শিল্পী?
অন্যধারা বলতে চিত্রশিল্পের ধারার কথা যদি বলি, সেক্ষেত্রে কাইয়ূম চৌধুরী, রফিকুন নবী আমার প্রিয় শিল্পী।
ব্যক্তিগত যে সীমাবদ্ধতা আপনাকে কষ্ট দেয়?
ইচ্ছে থাকলেও সবসময় অপ্রিয় সত্য কথা বলতে পারি না, এই সীমাবদ্ধতা আমাকে কষ্ট দেয়।
আপনার চরিত্রের শক্তিশালী দিক–
জীবনে যথাসাধ্য সততা অবলম্বনের চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস এটা আমার শক্তিশালী দিক।
প্রিয়জনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি শোনা অভিযোগ বাক্য–
“মাঝে মধ্যে ‘না’ বলতে শেখো!”
মানুষের ব্যক্তিত্ব যে দিকটা আপনাকে বেশি আকৃষ্ট করে তোলে–
মানুষের সত্যিকার বিনয় আমাকে আকৃষ্ট করে।
প্রিয় উদ্বৃতি
প্রিয় উদ্ধৃতি : সভ্যতার সংকটে লেখা রবীন্দ্রনাথের সেই উক্তি— মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।
এপিটাফে যা লেখা থাকতে পারে।
“আমি তোমাদেরই লোক।”
মন্তব্য করুন