উড়তে তো মানা নেই; প্রত্নযুগ খুঁড়ে আদি পাখিকুলের ডানায় মেলেনি
কোনো যতিচিহ্নের ছাপ, জানা গেল উত্তরাধুনিক এক পাখিবিশারদের
অভিসন্দর্ভে। আকাশও শানিয়েছে তার আমন্ত্রণের ভাষা; আর পাখি
শিকারিরাও মুক্তবাজার অর্থনীতিটার বড় বেশি সমর্থক। তাই তো
পয়স্থিবিলেও পাখিশিকারির আস্তানা জ্যামিতিক সূত্রকেই মেনে চলে;
আজকাল গ্রীষ্মমণ্ডলের শিকারিরাও বিবিধ উষ্ণতা ভালোবাসে
শীতে অশীতে। আসে বসে উড়ে যায় তাজা পাখি-চঞ্চুতে রঙিন
খুদকুঁড়ো, মুগ্ধ উপার্জন। আর ধনুকের কি অভাব অর্জুন প্রভাবিত
এই বিলজ তল্লাটে! উষ্ণতাই বা বলো কোন্ পালকের স্থায়ী মীরাস?

ফলে পর্ণমোচী সংক্রমণ ছুঁয়ে ফেলে শেষমেশ উন্মুক্ত পক্ষপুটের পুঁজি;
ষড়ঋতুর মিছিল– এত যে আবিষ্কার তবু ঠেকে না কোনো শাসনেই।
ফলে তো শিকারিরা চলে যায় ঘড়িয়ালডাঙার বিল ছেড়ে হাওরে বাঁওড়ে।
আর উত্তরের বিহঙ্গীরা কি করে চিনবে বলো পশ্চিমের সুদক্ষ ব্যাধকে?
এদিকে সেদিনের আলোড়িত পাখি করতোয়ায় তীরছোঁয়া অশ্বত্থের
ডালে বসে মাথা কোটে– কেন যে ফোটে না ডিম? তবে কি উষ্ণতা
বাধাহীন আকাশেও কোনো নিন্দনীয় প্রতিসূত্রের দাস ছিল!– আজও?

   

বিষয় : পদাবলি

মন্তব্য করুন