
দেশভাগের বিষয়টা যদি একবার কোনো লেখকের ভেতরে ঢুকে যায়, তখন তা থেকে বের হওয়া কঠিন। এটা একরকম ব্যাধির মতো, বাস্তব ও হ্যালুসিনেশনের মধ্যে পড়ে যাওয়ার মতো। দেশভাগের সময় আমার বয়স ছিল দুই বছর। একটু বড় হওয়ার পর থেকেই দেশভাগের ক্ষত আমাকে বিদ্ধ করেছে। আমার চিন্তাগুলো এর মধ্য দিয়ে ভিন্নভাবে বিকশিত হয়েছে।
তখন আমি স্কুলে পড়ি। দেশভাগের পর আমাদের গ্রামের অনেক হিন্দু জনগোষ্ঠীর পরিবার পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়। তবে সেই পরিত্যক্ত কাঠামোটা ছিল। বাড়ির পাশেই ছিল সেসব বাড়ি। সোয়া কিলোমিটার দূরে হবে হয়তো। আমি মাঝে মাঝে ওই কাঠামোগুলো দেখতে যেতাম। তখন স্কুল ছুটি থাকত রোববারে। বন্ধের দিনগুলোতেই সেখানে যাওয়া হতো। সেখানকার মাটি যেন ছোট ছোট টিলা। পরিত্যক্ত বাসস্থানগুলো আছে, মানুষগুলো নেই। আমার মনে তখন প্রশ্ন জাগতে শুরু করে– মানুষগুলো গেল কোথায়?
আমাদের বাড়ি ছিল নরসিংদী জেলার ঘোড়াশালে। গ্রামের নাম খানেপুর। আমাদের পরিবার ছিল প্রভাবশালী। অনেক জমিজমা ছিল। সার কারখানা হওয়ার সময় সব জমি নিয়ে নেওয়া হয়। অবশ্য আমাদের ক্ষতিপূরণের টাকা শোধ করা হয়েছিল। তবে সেই থেকে আমার নামে এ পৃথিবীতে কোনো জমি নেই। দেশভাগের পর আমাদের এলাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুব বেশি পরিমাণে ভিটেমাটি ত্যাগ করেনি। ষাটের দশকে যখন সার কারখানার জন্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হলেন, তখন অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে গেলেন। আমাদের এলাকায় দাঙ্গা না হলেও ভয় জাগানিয়া পরিবেশ ছিল। আমাদের পরিবার দেশ ছেড়েছে অবশ্য শিল্পায়নের কারণে। পুঁজিবাদের কারখানা স্থাপনের কারণে। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি কিছুটা বদলে যায়। সে সময় ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে আমাদের পরিবার ভারতে চলে যায়। অথবা বলা যায়, চলে যেতে বাধ্য হয়। আমি চলে আসি ঢাকায়। পড়াশোনা শেষে নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজে বহু বছর শিক্ষকতা করেছি।
স্কুলে পড়ার সময়ই আমার শিল্প-সাহিত্যের বোধ তৈরি হয়। শীতলক্ষ্যার পাড় ধরে হেঁটে হেঁটে আমরা স্কুলে যেতাম। আবার বর্ষায় যখন নদীর পাড় ডুবে যেত, তখন গ্রামের ভেতর দিয়ে স্কুলে যেতাম। তখন আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। দেখলাম যে, নদীর পাড়ে একটা মরদেহ পোড়ানো হচ্ছে। নদীর পাড়েই ছিল শ্মশান। আমি বিস্মিত হয়ে দেখলাম, আমাদের সঙ্গেই পড়ত মুন্নি নামের একটি মেয়ে, তার মরদেহ পোড়ানো হচ্ছে। কলেরায় ওর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল আর সোমবার দেখলাম তার মরদেহ। তখনকার সময়ে আমাদের সঙ্গে যে মেয়েরা পড়ত, তাদের চিনলেও কোনো কথা হতো না। হঠাৎ করে মনে হলো– যে মেয়েটা মরে গেল, তার সঙ্গে তো আমি কখনও কথাও বলিনি। মৃত্যু নিয়ে শিশুমনে যে কৌতূহল সেটিই আমাকে বারবার ভাবিয়েছে। পরদিন বৃষ্টি হলো। মুন্নির ছাইভস্মগুলো বৃষ্টির পানিতে নদীর পাড়ে নেমে আসে। সেগুলো মাড়িয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হচ্ছিল। আমি সহপাঠীদের বললাম, এটা তো মুন্নির শরীর তা কীভাবে মাড়িয়ে পার হবো? শেষে লাফিয়ে পার হলাম। মানুষ, মানুষের জীবন নিয়ে বোধ হয় সেই থেকে একটা আলাদা সংবেদনশীলতা কাজ করত। যা পরে শিল্প-সাহিত্যের বোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
দেশভাগ প্রশ্নে আমার মনে হয়, যে পরিস্থিতি তখন তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে দেশভাগ হওয়াটাই ছিল অবধারিত। এ ক্ষেত্রে ১৯৪৭ সালের আগের ঘটনাপ্রবাহ দেখা জরুরি। ততদিনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), হিন্দু মহাসভা খুবই শক্তিশালী। কংগ্রেসেও তাদের প্রভাব ছিল। মূলত রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতি এমন হলো যে, আর একসঙ্গে থাকা যাচ্ছে না। এটা অনেকটা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব হয়, যে সমাধান অযোগ্য দ্বন্দ্বের নিশ্চিত ফল বিয়েবিচ্ছেদ– সেদিকেই এগিয়েছে অবিভক্ত ভারত। আমাদের দেশের লোকজন তেমন পড়াশোনা জানত না। রাজনীতিবিদরা তাদের সহজেই ধর্মের নামে প্রভাবিত করতে সক্ষম হন। দেশভাগ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।
ধর্মের নামে কুসংস্কার– ভীষণ ভয়ংকর। হিন্দু বর্ণবাদ ভয়ংকর জিনিস। ছোটবেলায় মনে আছে, আমাদের পরিবার ছিল সবর্ণ। বাড়ির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা গেছে নদীর পাড় ঘেঁষে। সেদিক থেকে একটি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শ্মশানের দিকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মড়া পোড়াতে যাওয়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই ‘হরি বোল, বোল হরি’ ধ্বনি দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের বাড়ির পাশে জটলা বেঁধে লোকজন বলাবলি করছিল– মড়াটা কার? একজন আমার মাকে জিজ্ঞেস করলেন– মড়ার জাত কী? মা অবজ্ঞার সুরে বললেন, নিম্ন জাত, নমঃশূদ্র হবে আর কী! একজন পুরোনো আমলের গ্রাম্য নারী, যার জাত-ধর্ম সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই, তিনি এমন কথা কেন বললেন? কারণ, এমন বর্ণবাদী চিন্তা তিনি জন্মসূত্রে বহন করেছেন। তখন আমি এ বিষয়টা বুঝতাম না। তবে এসব অবজ্ঞাকে সঠিকও মনে করতাম না। পরে বড় হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম– ‘মা, মড়া দেখে এসব কেন বলেছিলে?’ জবাবে মা বললেন, ‘জানি না রে, বাবা। কিছু বুঝে তো এটা বলিনি।’ কার্যত এটা ওই বর্ণবাদী সংস্কৃতির অংশ।
আরেকটা ঘটনা বলি। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ভাত খাচ্ছি না। বাড়িতে জিজ্ঞেস করল, ‘খাচ্ছি না কেন? বললাম, খেয়েছি। কোথায় খেয়েছিস?’
আমাদের সঙ্গে এক হিন্দু ছেলে পড়ত, সাহা সম্প্রদায়ের। সাহারা আমাদের তুলনায় ‘উঁচু বর্ণের’ না। আমি বললাম, সাহাদের বাড়িতে খেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার কাকা বললেন, ‘জাত গেছে তোর।’ আমায় ঘাড়ে ধরে তুলসী তলায় নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে, তুলসী ভিজিয়ে পানি খাওয়ানো হলো। বইগুলোকেও পরিশুদ্ধ করা হলো। আমার সারা শরীর তখন কাঁপছিল। নিজের মধ্যে এক ধরনের অপরাধবোধও কাজ করছিল। অথচ আমি বুঝতামই না জিনিসটা কী। এটাই হিন্দু বর্ণবাদ। হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব পরিপক্ব হওয়ার বহু আগে থেকে এটাই চলে এসেছে এ সমাজে। ফলে এরপর হিন্দু-মুসলমান সংঘাত আবশ্যকই ছিল। যে কারণে দেশভাগ হতোই। বর্ণবাদ দেশভাগ ইস্যুতে মারাত্মকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে হিন্দু-মুসলমান প্রশ্নে। কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিবেশ উন্নত নয়। সেখানে একটা সাংস্কৃতিক ভাঙন আছে। এখানে অনেক জেলার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক সংঘাত রয়েছে। ধর্ম এক হলেও ভাষা, সংস্কৃতির ভিন্নতা এক নতুন ভাঙনের সৃষ্টি করে। যারা দেশ ছেড়ে কলকাতায় বা তার আশপাশে গেছে, তাদের অবস্থা ভালো নয়। আমি দেখেছি, দেশভাগের সময় বা এর পরে যারা ওই পাড়ে গিয়েছেন, তাদের অনেকেই অস্তিত্বহীন হয়ে গেছেন। কেউ কেউ ভালো অবস্থায় আসতে পারলেও, বেশির ভাগেরই অবস্থা হলো– তাঁরা, বা তাঁদের তৃতীয় প্রজন্ম এখনও টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত।
৮০ ও ৯০-এর দশকে দেশভাগ বিষয়ে আমার চিন্তাগুলো আরও পোক্ত হয়। তখনই দেশভাগ নিয়ে ভাবনা আমার উপন্যাসে প্রাধান্য পায়। ‘জন্ম জন্মান্তর’ উপন্যাসটি নব্বই দশকে হাক্কানী পাবলিশার্স থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি মূলত আমার নিজের জীবনের কথা।
আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। সেখানে একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক দেশের চিন্তা কাজ করেছে। অথচ স্বাধীনতার এত বছর পর দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা হলো। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যখন দাঙ্গা শুরু হলো, তখন মনে হলো আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, ১৯৭১ সালে মানুষ পৃথক দেশ গড়ার জন্য তৈরি ছিল; কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য তৈরি ছিল না। পরবর্তী সময়েও মানুষকে সেভাবে গড়ে তোলা হয়নি। চীনে যেমন বিপ্লবের পর মানুষের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়েছিল, তেমনটা বাংলাদেশ বা ভারতে হয়নি। একটা পরিস্থিতির কারণে আমরা পাকিস্তান থেকে ভেঙে চলে গেলাম কিন্তু ভেতর থেকে তো পাকিস্তানই রয়ে গেলাম। ধর্মের প্রশ্নে পাকিস্তান তৈরি হলো, গণতন্ত্রের প্রশ্নে বাংলাদেশ হলো। কিন্তু সেই গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত ছিল না।
তবে এর পরও আমি সাম্প্রদায়িক হইনি। মুসলিম বিদ্বেষের উস্কানি ছিল সব সময়ই; কিন্তু আমি সে পথে পা বাড়াইনি। আমি এখানকার বিহারিদের নিয়ে ‘মোহাজের’ উপন্যাস লিখেছি। যে বিহারিরা জেনেভা ক্যাম্পে আটকা পড়ে আছে, তাঁরা কারা? তাঁরা আমার লোক। আমার মতোই গৃহহীন, দেশহীন, নাগরিকত্বহীন লোক। ১৯৭১ সালে সব বিহারি রাজাকার ছিল না। এটা ‘জন্ম জন্মান্তর’ উপন্যাসেরই দ্বিতীয় ধাপ বলা যেতে পারে।
‘জন্ম জন্মান্তর’ উপন্যাসে পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে প্রাচীনকাল থেকে এ সময় পর্যন্ত এক বিস্তর প্রেক্ষাপট উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় পরিসরে ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও আমি পুনর্জন্মে বিশ্বাসী নই। এই চিন্তা আমার মধ্যে এসেছে ভারতে এক জাদুঘরে গিয়ে। মেয়েকে নিয়ে যখন আমি মুম্বাই গেলাম, তখন ওই জাদুঘরে গেলাম। সেখানে আমাদের পূর্বজদের ফসিল রয়েছে, আন্দামানে পাওয়া। তা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি এ উপন্যাস প্রাচীনকাল থেকে শুরু করব।
আমি স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছি। সেখানে স্ত্রীকে রেখে আমি ঢাকায় এসে শিক্ষকতা করতাম। কিছুদিন পরপর কয়েক দিনের জন্য সেখানে যেতাম। মুহূর্তেই যেন সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। আবার ফেরার তাড়া। অপেক্ষা। আবার ক্ষণিকের সান্নিধ্য। স্ত্রীর সঙ্গে মিলন যেন আদিভৌতিক কোনো বিষয়। হ্যালুসিনেশনের মতো। মাথায় থাকে সকালে উঠে আমাকে ট্রেন ধরতে হবে। ট্রেনের পর দুইবার বাস বদলে ফিরতে হবে ঢাকায়। স্ত্রী-সন্তানকে রেখে যাওয়ার চাপ। আবার কবে দেখা হয় কি না হয়। স্ত্রীর বিষণ্ণ মুখ। তবু স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হতে হচ্ছে। এটা কোনো মিলন বা সম্ভোগই নয়। এখানে এক জটিল মানসিক খেলা রয়েছে। উপন্যাসে প্রধান চরিত্রের মৃত্যু হয় ভারত-বাংলাদেশের মাঝে নো ম্যানস ল্যান্ডে। তাঁর পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে পেট্রাপোলে। দুই দেশ তার মরদেহ একজন আরেকজনের দিকে ঠেলতে থাকে। সেই কিশোর বয়সে যখন সে গৃহহীন হয়েছে, নাগরিকত্বহীন হয়েছে, মৃত্যুর সময়ও সে ছিল দেশহীন।
দেশ না, মানুষ ভাগ হয়ে যায়। একদল লোক মার্কিন দূতাবাসের সামনে; আরেক দল লোক ভারতীয় ভিসার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের অর্ধশতক পেরিয়ে গেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। বড় বড় অট্টালিকা হয়েছে; কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণে মানুষের অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ভারতের একই সংকট। এটা হলো মূলত পুঁজিবাদের সংকট। পুঁজিবাদ যে মানুষকে পথ দেখাতে পারে না। এটা এই সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
এ অবস্থার জন্য আমি কোনো ব্যক্তিকে দায়ী করি না। এর জন্য দায়ী এই পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থা। সোভিয়েতের পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। তারা যা ইচ্ছা তা-ই করেছে। ততদিনে সমাজতান্ত্রিক চীনও আর নেই। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তবে সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ নিজের অস্তিত্বের স্বার্থে দুই সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশ রাশিয়া ও চীনকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। মার্কিন আধিপত্য আর আগের মতো থাকছে না। এখন এক নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। এখন যুদ্ধ চলছে সেয়ানে সেয়ানে আর তা দীর্ঘ সময় ধরে চলবে।
বিষয় : প্রচ্ছদ হরিপদ দত্ত দেশ ভাগ
মন্তব্য করুন