বর্ষার দুই ভাই। আষাঢ় ও শ্রাবণ। তারা দিনমান কেবল কাঁদে আর কাঁদে। মাঝে মাঝে কান্না কিছুতেই থামে না। এই কান্না শুনে পাশের বাড়ির বন্যা আপু ভয়ংকর রেগে গেলো। সে তখন মানুষের বাড়ি-ঘর, গরু-ছাগল, শস্যক্ষেত সব ভাসিয়ে নিলো, ডুবিয়ে দিলো। বর্ষা একবার রেগে দুই ভাইকে খুব বকলো। বাড়ির আশপাশের গাছগুলো কেটে ফেললো। এরপর আষাঢ়, শ্রাবণ কান্না বন্ধ করে দিলো। তারা গাছের ডালে, পাতায় ঘুরে ঘুরে কাঁদতো। এখন গাছ নেই।  তাদের দুই ভাইয়ের কান্নাও নেই! দেশ জুড়ে হাহাকার!

সবাই বর্ষার কাছে এলো। অনুরোধ করলো তার ভাইদের কান্নার জন্য। গরমে জীবন যায় যায়। গাছপালা, পশু-পাখি,  মানুষ সবার অবস্থা কাহিল।

বর্ষা বললো, আমার ভাইদের কান্নার জন্য গাছ লাগবে। তোমরা সব গাছ কেটে বড় বড় দালান তৈরি করেছো। এবার বুঝো কী সর্বনাশ করেছো।

সবাই মিলে তারপর গাছ লাগাতে শুরু করলো। একটুও খালি জমি রইলো না। প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠলো। গাছপালা হেসে উঠলো। বর্ষার দুই ভাই গাছের পাতায় নেচে নেচে কান্না শুরু করলো। আর প্রকৃতিতে নেমে এলো প্রশান্তি!

বিষয় : গল্প

মন্তব্য করুন