গপ্পো
বৃষ্টি ও মন খারাপের কথা

মেশকাতুন নাহার স্নেহা
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
আষাঢ় শেষে শ্রাবণ এলো। তবু তেমন বৃষ্টির দেখা না পেয়ে দাদাভাই সেদিন বললেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে, বুঝলি? আমিও ভেবে দেখলাম; তাই তো। সে যাক দাদাভাইয়ের কথা শেষ না হতেই আমার চোখ পড়লো বাড়ির সামনের আমগাছে। গাছটায় একটা মৌচাক হয়েছে। কী আশ্চর্য, রোজ এই গাছের নিচ দিয়ে চলাফেরা করি অথচ কখনও চোখে পড়েনি মৌচাকটি। মৌচাকজুড়ে রাজ্যের মৌমাছি। এর আগে কখনও মৌচাক দেখিনি। দেখিনি এত্তো এত্তো মৌমাছিও।
ভাবলাম, এই জন্য ভয়ে অনেকে আমাদের বাড়ি আসা ছেড়ে দিয়েছে? এখন থেকে খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে আমিও বের হবো না। বলা তো যায় না, কখন তাড়া করে মৌমাছি!
এক দিন পর বাবা এক লোক ডেকে নিয়ে এলেন বাড়িতে, মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য। লোকটি খুব কৌশলে মধু সংগ্রহ করলো। মধুগুলো খেতে খুব মজা। এর কিছুদিন পর বৃষ্টি শুরু হলো, খুব বৃষ্টি। তারপর এক রাতে খুব ঝড় হলো। সেই ঝড়ে মৌমাছিগুলো কোথায় যেনো উড়ে গেলো। এতোদিন কিছুটা ভয় পেলেও তাদের না দেখে আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। কোথায় গেলো তারা? কেমন আছে এখন? বৃষ্টিতে কী করে পাখিরা?
বয়স : ২+৩+৩ বছর; দ্বিতীয় শ্রেণি, শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াখালী
- বিষয় :
- গপ্পো
- বৃষ্টি ও মন খারাপের কথা