গপ্পো
আমার বৃষ্টি ধরা

জুনায়রা মাহাদিয়া
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
বৃষ্টি দেখলেই তা ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। ভিজতে ইচ্ছে করে। আসলে কেবল আমার নয়; বাবা-মায়েরও ইচ্ছে করে। বড় বলে তারা আমাদের কাছে মনের এই ইচ্ছেটার কথা বলতে পারেন না। বললে তাদের সঙ্গে যদি আমরাও বৃষ্টিতে ভেজার বায়না ধরি! সে যাক, আমি বাবা-মায়ের কথা মাথায় রেখেই ঠিক করেছি বৃষ্টিতে যখন-তখন ভিজবো না। বৃষ্টি দেখলেই তাতে নেমে পড়বো না। প্রয়োজনে তাদের বলবো যে, আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।
বড়দের অনুমতি নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবো। তোমরাও চাইলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারো। বৃষ্টির দিনে তো পথেঘাটে পানি জমে থাকে। এই পানিতেও হুটহাট করে নেমে পড়বো না। অনেক রোগের জীবাণু কিলবিল করে এসব পানিতে। বাইরে বের হওয়ার সময় মনে করে ছাতাটা নিয়ে বেরোবো। বাবা-মায়ের মনে না থাকলে আমি মনে করিয়ে দিই। তোমরাও মনে করিয়ে দিতে পারো। রেইনকোট থাকলে তা পরে বের হলে তো বৃষ্টির বাহাদুরি কূল করতে পারে না। একটু কাশি বা জ্বর হলে ডাক্তারের কাছে যাই। এখন তো আবার ডেঙ্গু বেড়েছে। তাই দেখো আবার, জ্বর-সর্দি নিয়ে ঘরে বসে থেকো না! গ্রামের বন্ধুরা, বৃষ্টি দিনে নদী খালে তেমন না নামাই ভালো।
কারণ এ সময় নদী আর খালের পানিতে স্রোত থাকে। যে কোনো বিপদ ঘটে যেতে পারে কিন্তু। বৃষ্টির সঙ্গে যদি ঝড় থাকে কিংবা বজ্রপাত হয়, তাহলে সেই বৃষ্টিতে ভিজতে যেও না; খবরদার! আর ভেজা পথে হাঁটার সময়ও সাবধান থেকো, যেনো পড়ে না যাও। যারা এখনও বৃষ্টিতে ভেজোনি; তারা জলদি করে ভিজে নাও। বর্ষা কিন্তু আর বেশিদিন থাকবে না!
বয়স : ২+৩+৪ বছর; তৃতীয় শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বনশ্রী, ঢাকা
- বিষয় :
- গপ্পো
- আমার বৃষ্টি ধরা