নাক ছিলো না ভদ্রলোকের চোখ দিয়ে নেয় শ্বাস
ভাবছো আমি মিথ্যে বলি? করছো অবিশ্বাস?
যখনই তার নাক গজালো তখন দেখি এ-কী
নাক দিয়ে কী ধান ভানে সে, নাক তো দেখি ঢেঁকি।
এবার বলি ঠোঁটের কথা, মালবাহি রেলগাড়ি
চিবুকে নয়, ঠোঁটের ওপর সাপের মতো দাড়ি।
পা দুটো নয় লম্বা মোটেই চাকার মতো গোল
তাক ধিনা ধিন বাদ্য বাজে গাল দুটো তার ঢোল।
হাতের তালু পাপড়ি মেলে ওইখানে দুই চোখ
পেটের ওপর ছুরির মতো ধারালো দশ নোখ।
কষ্ট পেলে নাভি থেকে গড়িয়ে পড়ে জল
চুলগুলো তার স্রোতস্বিনী হাসছে কী উচ্ছল।
কান দিয়ে সে সাঁতার কাটে ছাদের যমুনায়
জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে সন্ধ্যায়।
যখনই তার সঙ্গে দেখা বুদ্ধি পাকায় জট
ছুঁচোর পিঠে যাচ্ছে চড়ে লোকটি কী উদ্ভট!