ঢাকা সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিখুঁত ত্বকের এশীয় রহস্য

নিখুঁত ত্বকের এশীয় রহস্য

কে এন দেয়া

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৯:৩৫

একটা সময় ছিল, যখন সবাই হতে চাইতেন ইউরোপীয়দের মতো টকটকে ফর্সা। এখন দিন বদলেছে। ত্বকের রঙের বদলে সুস্থতা প্রাধান্য পাচ্ছে আর এদিক দিয়ে বরাবরই এশীয় ত্বকের কদর লক্ষণীয়।

জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে ইদানীং জাপানিজ, কোরিয়ান, চায়নিজ এবং ইন্ডিয়ান ত্বকের সৌন্দর্য এগিয়ে আছে। তাদের মতো নিখুঁত, মসৃণ, টানটান ত্বক আপনিও মনে মনে কামনা করেন হয়তোবা! তাদের ত্বকের সৌন্দর্যের পেছনে কী কী কারণ আছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ত্বক চাপড়ানো : শুনে অবাক হচ্ছেন? আসলেই কিন্তু কোরিয়ান নারীরা ত্বকের যত্নে এ কাজটি করেন খুব মনোযোগ দিয়ে। ময়েশ্চারাইজার, সিরাম বা সানস্ক্রিন মেখেই তারা ক্ষান্ত হন না; পণ্যটি যেন ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায় এবং ত্বকের রক্ত চলাচল যেন ভালো থাকে, তার জন্য পুরো মুখে হালকাভাবে চাপড়ে থাকেন তারা।

পলিশিং: ত্বকের যত্নে পলিশিং ব্যাপারটি আমাদের এদিকে তেমন একটা প্রচলিত না হলেও পূর্ব এবং মধ্য এশিয়ার নারীরা নিয়মিত স্কিন পলিশ করেন। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক পুনরুদ্ধারে পলিশ করানো হয়। এ ছাড়া ব্রণ, বলিরেখা কমিয়ে আনতেও তা বেশ কার্যকর। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে থাকে, কোনোভাবেই তাতে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তবে স্কিন পলিশিং উপকারী হতে পারে। তবে হ্যাঁ, একবার স্কিন পলিশ করানোর পরপরই হয়তো আপনি উপকার পাবেন না। পার্লারে ২-৩টি সেশন নেওয়ার পরই এর উপকারিতা দৃশ্যমান হবে। ক্লিনজার-টোনার-ময়েশ্চারাইজার ধাপে ধাপে ব্যবহার করাটা যেমন ইদানীং খুব প্রচলিত হয়ে এসেছে, স্কিন পলিশিংয়ের প্রচলনটাও হয়তো শিগগিরই বেশ ছড়িয়ে যাবে।

ফেসিয়াল : এই শব্দটি বেশ পরিচিত লাগছে, তাই না? ত্বককে একটু অতিরিক্ত যত্ন দিতে চাইলে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল বা নিদেনপক্ষে ম্যাসাজ করিয়ে নেওয়া, কোনো বড়সড় উপলক্ষ সামনে রেখে ফেসিয়াল করানোর প্রচলন আমাদের দেশে আছে অনেক আগে থেকেই। কোরিয়ান বা জাপানিদের মধ্যেও এমন এক ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। মাসে অন্তত একবার পার্লারে ফেসিয়াল করান তারা। এর পেছনে টাকা ঢালতেও কার্পণ্য করেন না মোটেই! প্রতি মাসে ফেসিয়াল করানোর ধৈর্য না থাকলে কয়েক মাস পরপর করিয়ে দেখতে পারেন। তাতেও উপকার হতে পারে অনেকটাই।

আকুপাংচার এবং আকুপ্রেশার: দুটি পদ্ধতিই চীনের অনেক পুরোনো প্রচলন। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ‘আকুপয়েন্ট’ প্রভাবিত করা হয়। বলা হয়ে থাকে, এ দুটি পদ্ধতি ত্বকের দাগ দূর করতে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে, এমনকি একজিমা এবং সোরিয়াসিসের উপসর্গ কমিয়ে আনতে উপকারী।

জেড রোলার ও গুয়া-শা: ইউটিউব বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপচর্চার ভিডিও দেখতে গিয়ে আপনি হয়তোবা রোলারের ব্যবহার খেয়াল করেছেন। কেউ কেউ হয়তো গুয়া-শা ব্যবহার হতেও দেখেছেন। সনাতনি রূপচর্চায় এ দুটি উপকরণ তৈরি হয়ে থাকে জেড নামের এক ধরনের সবুজাভ পাথর দিয়ে এবং বলা হয়ে থাকে, নিয়মিত এ রোলার এবং গুয়া-শা ব্যবহারে ম্যাসাজ করলে তারুণ্য ধরে রাখা কোনো ব্যাপারই নয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় বিভিন্নভাবে এ দুটো উপকরণ ব্যবহার করা হয়। তবে নতুন নতুন বলিরেখার উদ্ভব কমানো, ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের ফোলাভাব কমানো, ডাবল চিন দূর করা– এসব ক্ষেত্রে রোলার এবং গুয়া-শা কাজ করে খুব দ্রুত।

সাধারণ উপকরণ, অসাধারণ ফলাফল: একদম আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এশীয় রূপচর্চার কিছু অনুষঙ্গ; অথচ সেগুলোকে আমরা দেখেও দেখছি না। এর মাঝে রয়েছে চাল ভেজানো পানি, মুগ ডাল, গ্রিন টি, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি। এসব উপকরণের সাহায্যে তৈরি ফেস মাস্ক বা অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহারে ব্রণ, ছোপ ছোপ দাগ, র‍্যাশ, এমন সব ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করা খুবই সহজ। v সূত্র: স্টাইলক্রেজ, গ্ল্যামার ইউকে

আরও পড়ুন