সাংগঠনিক চর্চায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুহৃদের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে অতিথি ও সুহৃদদের উচ্ছ্বাস
--
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০
সাংগঠনিক চর্চার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হলো অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুহৃদ সমাবেশের প্রথম বর্ষপূর্তি উৎসব। সাংগঠনিক আলোচনা, পথশিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দেয়ালিকা প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুহৃদরা পালন করেন দিনটি
শারমিন আকতার তারুণ্য মানে না কোনো নিষেধ-বাধা। তারুণ্যের উদ্দামতা সাগর পাড়ি দেওয়ার মতো দুঃসাহস যেমন রাখে, ঠিক তেমনি এ বয়সে হিমালয় পর্বত জয় করার মতো তেজ রাখে। জল, স্থল, আকাশ, মহাকাশ, পর্বত কোথায় নেই তারুণ্যের ছাপ। যেখানেই চোখ পড়বে সেখানেই তারুণ্যের জয়গান দৃশ্যমান। অসম্ভবকে সম্ভব করতে ঝুঁকি নিতে পারার বয়স তারুণ্য; হুটহাট আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠার সময় তারুণ্য। এমনই এক তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মেতে ছিল অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুহৃদ সমাবেশ। দিনটি ছিল ১ অক্টোবর রোবরার। প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপনে আনন্দ-উল্লাসে জমেছিল উৎসব। কয়েকদিন ধরে সুহৃদরা কাজ করছেন উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে। তবে সেদিন সকাল থেকেই সুহৃদরা জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে। সবার অপেক্ষা অনুষ্ঠান শুরুর। অনেকে আবার অনেকদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে এমন আয়োজনে এসে উচ্ছ্বসিত-আনন্দিত। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা, দেয়ালিকা উপস্থাপন, ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী, দরিদ্র শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, কেক কাটা, সংবাদপত্র পাঠসহ মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সুহৃদরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। আলোচক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ সাইকিয়াট্রিক কেয়ারের সাইকোথেরাপিস্ট ও সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সিলর শায়খ লোহানী, মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টারের সাইকোলজিস্ট আতিয়া আক্তার উপমা, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব ও সমকালের সহযোগী সম্পাদক শেখ রোকন, ইয়ুথনেটে সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপক ফারাবী হাফিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডাস্ট সমকাল সুহৃদের প্রধান উপদেষ্টা ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন আকতার। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কামরান চৌধুরী, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভাগীয় প্রধান ও কোঅর্ডিনেটররা। আলোচক শায়খ লোহানী অনুষ্ঠানে বলেন, তরুণ প্রজন্ম আমাদের সামনে পথ দেখাবে, তাই তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারলেই আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।
অন্যতম আলোচক ফারাবী হাফিজ বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান ও মোক্ষম হাতিয়ার হলো আত্মবিশ্বাস ও উপস্থাপনা। নিজেকে উপস্থাপন ও মেলে ধরার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে পারে।
বিশেষ আলোচক শেখ রোকন শিক্ষার্থীদের নদীময় শুভেচ্ছা জানিয়ে নদীনালা-খালবিলসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ে জ্ঞান আহরণ এবং এগুলো রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরিবেশকর্মী সোহানুর রহমান বলেন, বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় পর্যায়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ও তাদের জ্ঞানের আলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারব।
অনুষ্ঠানে দরিদ্র শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুহৃদদের দেয়ালিকা উপস্থাপন অনেক বেশি আন্দোলিত করেছে সুহৃদদের। কেক কাটা এবং অতিথিদের সম্মাননা দেওয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি হয় অনুষ্ঠানের।
উপদেষ্টা সুহৃদ সমাবেশ, এডাস্ট
- বিষয় :
- এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়