হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী
বিশেষ কিছু

স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা– হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী
আশিক মুস্তাফা
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮:৩১ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ০০:৩১
হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী- কী; পরিচিত মনে হচ্ছে এই শিরোনাম? হবেই তো। তোমরা তো একেকজন মহাপণ্ডিত! তা পণ্ডিত মশাইদের বলি, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের এই অনবদ্য রচনা তোমাদের কেন বাঙালির বহুকালেরই পরিচিত। এ গল্প লোকে বহুকাল ধরে জানে-চেনে। দেখার ছিল উপস্থাপনা। সেখানে মাত করলেন রাজধানীর স্কলাসটিকা স্কুলের নাটক, নৃত্য ও সংগীত ক্লাবের শিক্ষার্থীরা। উত্তরা সিনিয়র শাখার এসটিএম মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয় ২০ অক্টোবর।
দর্শকদের সামনে বর্তমান সমাজের যেন আয়না ধরালেন এইটুকুন পিচ্চিকাচ্চি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রূপকথার মোড়কে ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’-তে উঠে এলো টুকরো টুকরো বাস্তবের ছবি। নাটকের শুরুতে বোম্বেগড় রাজ্য ছিলো হাসিখুশিই। পরে সেখানে আসেন গবুচন্দ্র। ‘ঘড়িদার’ থেকে শুরু করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, এরপর মন্ত্রী হওয়ার রাস্তা কেমন করে সাফ করলো গবু, সেই উত্তর পাওয়া যায় নাটকের পরতে পরতে। কেমন
করেই বা রাজা-রানীকে বশ করলো গবু মন্ত্রী, তাও এক রহস্যে মোড়া। যার উত্তর রয়েছে এই নাটকে।
দর্শকের মনে কষ্টের একটা বেলুন ফুটিয়ে যায় যেন পুরোনো মন্ত্রীর অবসরের দৃশ্য। যেন এক প্রবীণ নক্ষত্র পতন। ব্যাকগ্রাউন্ডে বিশাদের সুর। এখানে পুরোনো মন্ত্রীর প্রশ্ন যেন আইকনিক– ‘বিকাশ! বাচ্চাগুলি নিতে পারবে তো নিশ্বাস?’ এছাড়া যখনই রাজা জাগে তাঁর প্রজা পালনে, মন্ত্রী সেঁটে দেয় রঙিন চশমা। পাশাপাশি ‘পোশাক দেখে মানুষ চেনার’ গল্পও রয়েছে এই নাটকে।
নাটকের নির্দেশনায় ছিলেন স্কলাসটিকা স্কুলের ড্রামা ক্লাবের সদস্যরা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কাজী তৌফিক ইসলাম ইমন। সংগীত পরিচালনা করেন গাজী মান্নাফ এবং নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুক। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মাশরুর মাহতাব, মাহরু আওয়াল, সামিয়া তাসনিম, শৈলী পারমিতা নীলপদ্ম, অর্ণব কুমার কুণ্ডু, শেফা বিনতে শফিক, ওরিয়ন ভট্টাচার্য, জাফির শাহেদ ও ফাহিম আহম্মেদ।
ফড়িং বন্ধুরা, তোমাদের স্কুলেও আয়োজন করতে পারো এমন মজার নাটকের। আর আমাদের ডেকো। আমরা ঠিক ঠিক চলো আসবো!