ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ছড়া-কবিতা

ছড়া-কবিতা

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪ | ০৫:৫৮

ফা রু ক  ন ও য়া জ 
ভূতুড়ে এক মায়া

আমার কিছু সোনার মোহর ছিল
তাড়াহুড়োয় আনতে গেছি ভুলে; 
হারা রঙের সাধের জামাখানা
ভুল করে তা রেখে এলাম খুলে।

বইগুলো যা নিত্য আমার পাঠের
পাতায় পাতায় ময়ূর পালক রাখা;
ছড়িয়ে আছে মেঝের ওপর সেসব
যেগুলোতে আমার পরশ মাখা। 
 
রোদঝলমল দিনের শুরু হলে
কোত্থেকে যে আসতো কিছু অলি;
তাদের মধু-গুঞ্জরণের ভাষা 
ভেবে নিতাম সুরেরি অঞ্জলি।

লালচে ঠোঁটের একটা সবুজ পাখি
পুবজানালায় শিস দিতো রোজ ভোরে;
তার সে মেদুর শিসের ধ্বনি শুনে
চোখ মেলেছি থাকলে ঘুমের ঘোরে।

আমার একটা লেখার খাতা ছিল
অর্ধশত পদ্যি লেখা তাতে;
হয়নি তো শেষ শেষের কবিতাটি
খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেলাম রাতে।

আসতো দুটি রঙিন প্রজাপতি
আমার ঘরে ঠিক দুপুরের পরে;
বসতো গিয়ে কলমদানির ওপর
মনটা যেতো অচিনসুখে ভরে। 

শহরে সেই গলির শেষের বাড়ি
বাড়ি তো নয়, ভূতুড়ে এক মায়া;
নিদ্রা গেলে দেয়াল ফুড়ে যেন
বাড়িয়ে থাবা আসতো অপছায়া।

মধ্যরাতে নিশিকাকের ডাকে
শংকা এসে ভর করেছে মরার;
সব ফেলে তাই দোর খুলে হই বাহির
এ-ছাড়া আর কীইবা ছিল করার।


সারওয়ার-উল-ইসলাম 
রূপকথার ছড়া

তোমাদের    বাড়ির পাশে
ছোট এক    নদী আছে
নদীতে       ভাটার সময়
দুটি পাড়     ভরে মাছে।

দু’পাড়ে    কাদার ভেতর
মাছেরা     ছিটায় কাদা
তাজা মাছ   ধরার আশায়
ছুটে যান    তোমার দাদা।

আহারে    মাছের গল্প
মনে হয়    রূপকথা সব
মাছ এখন    যায় না পাওয়া
হয় না তো   মাছ উৎসব।


আ মী রু ল  ই স লা ম 
বঙ্গবন্ধু

টুঙ্গিপাড়ার রাজপুত্র বঙ্গবন্ধু নাম
বাংলাদেশের জনক তিনি তাঁর ছবি আঁকলাম।
বঙ্গবন্ধু মানে
আকাশ বাতাস জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
পাহাড় নদী জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
ফুল-পাখিরা জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
পদ্মা মেঘনা জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
গানের পাখি জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
কাঠের নৌকা জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
শীত-গ্রীষ্ম জানে।
বঙ্গবন্ধু মানে
বাংলা ভাষা জানে।

আমার পিতা তোমার পিতা
    বঙ্গবন্ধু নাম
রঙিন খাতায় ছবির পাতায়
    তাঁর ছবি আঁকলাম।
 

আরও পড়ুন

×