ছড়া কবিতা

প্রতীকী ছবি
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩:৩৬
ফা রু ক হো সে ন
উটকু এবং লুটকু
ইঁদুর ছানা উটকু লুটকু রাত কাটে এক গর্তে
ঘুম ভাঙলো একসঙ্গে সকালে এক শর্তে।
শর্ত হচ্ছে দুজন মিলে বনের ভেতর হাঁটবে
এবং দিনের কর্মপরিকল্পনাকে আাঁটবে।
কিন্তু যখন হাঁটতে যাবে তখন হলো দ্বন্দ্ব
মতের অমিল দুই ইঁদুরের প্রাতঃভ্রমণ বন্ধ।
উটকু যাবে পশ্চিমে আর লুটকু যাবে পূর্বে।
দুজন দুদিক উল্টোদিকে নিজের মতো ঘুরবে।
দুই ইঁদুরে পরস্পরের করলো শর্ত ভঙ্গ
মানলো না আর পরের প্রতি মায়ার অনুষঙ্গ।
মতের অমিল ঘুচিয়ে নিতে তাই নিলো সিদ্ধান্ত
মায়ের কাছে বলবে গিয়ে সবটা আদ্যোপান্ত।
মায়ের কথা শুনবে সবাই বলবে যেটাই করতে
হাঁটতে বললে হাঁটবে কিংবা পড়বে বললে পড়তে।
অন্তত এই কথায় দুজন এখন ঐক্যবদ্ধ
ইঁদুর ছানা লক্ষ্মী ছানা সত্যি অনবদ্য।
মায়ের কাছে ছুটলো উটকু লুটকু হন্তদন্ত
মা তখনও গভীর ঘুমে শান্ত পয়মন্ত।
কেমন করে ঘুম ভাঙাবে, মা যে ভীষণ ক্লান্ত
উটকু লুটকু বসলো গর্তে মায়ের পাশেই শান্ত।
মায়ের জন্য দুভাই ইঁদুর এখন ঐকমত্যে
মা যা বলেন শুনবে সেটাই ভাবছে বসে গর্তে।
উটকু লুটকু বুক মিলালো কোলাকুলির জন্য
চোখ খুলে মা ইঁদুর দেখলো তার ছানা অনন্য।
মা সু ম আ ও য়া ল
বাঘকে আমি ডরাই না
বাঘ আমাকে ‘ডড়াই’, আমি-
তাকে মোটেও ডরাই না,
বুকের ছাতি ফুলিয়ে হাঁটি
মনকে ভয়ে ভরায় না।
দিনে রাতে বাঘের সাথে
করছি রোজই ঠাট্টা,
হালুম হুলুম ডাকলে মাথায়
মারছি কষে গাট্টা।
নরম কোমল লেজটা দিয়ে
চুলকিয়ে নিই কানটা,
বাঘকে গেলাই মটর দানা
মুড়ির সাথে ফান্টা।
বাঘের পেটে সুড়সুড়ি দিই
নাকে ঢোকায় নস্যি,
হাঁ হাঁ আমি এমনই তো
একটুখানি দস্যি।
বাঘটা ভীষণ হাবা গোবা
নয় মোটেও পাজি সে,
ডিগবাজি দাও বললে দেবে
আনন্দে ডিগবাজি সে।
না নাচালে নাচে না,
না হাঁচালে হাঁচে না।
না ওঠালে ওঠে না,
না ছোটালে ছোটে না।
কামড়ে দেওয়ার জন্য বাঘু
কারো পিছু ভাগে না,
ভাবছো এ কী বাঘরে বাবা
মোটেও কেনো রাগে না!
পেলাস্টিকের বাঘ মামা সে
না জাগালে জাগে না,
ও ভালো খুব ওকে ছাড়া
কিছুই ভালো লাগে না।