ঘোরাঘুরি
দাদাভাই নানাভাই আর মিলিটারি মিউজিয়াম

.
সাইফান তাসলিম বিন রফিক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:২১
আমাদের বাড়ির নাম– মিলিটারি ভিলা। সত্যি সত্যি! তাই বলে মিলিটারি মিউজিয়াম? সেটা আবার কি? আমাদের বাড়ি নিয়ে কেউ মিউজিয়াম বানিয়েছে নাকি? ওরে বাবা; এতো দেখছি সেনাবাহিনীর আড্ডাখানা! আমার দাদাভাই সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক চালাতেন। সবাই তাঁকে বলতো মিলিটারি। তাইতো আমাদের বাড়ির নামটাই মিলিটারি ভিলা। আমার নানাভাইও সেনাবাহিনীতে ছিলেন। নানাভাই যুদ্ধের সময় রেডিও দিয়ে খবর পাঠাতেন। আমার খুব ইচ্ছে সেনাবাহিনীর জিনিসপত্র দেখবো।
বাবা-মা আমাকে আর আমার ছোট ভাইকে একদিন মিলিটারি মিউজিয়াম দেখাতে ঢাকা নিয়ে গেলেন। আমরা সুন্দর একটা জাহাজ দেখলাম, কী সুন্দর মাঠ। আমার ছোট ভাই দৌড়াদৌড়ি শুর করলো, আমিও। আমার খুব ভালো লাগছিলো। ভেতরে অনেক রুম। সেখানে সেনাবাহিনীর অনেক জিনিসপত্র সাজানো। অনেক বন্দুক, ড্রেস, আর্মি জিপ, কামান, ট্যাঙ্ক। আরও অনেক কিছু, আমি চিনতেই পারলাম না। আমি বুঝতেই পারলাম না এটা নিচতলা নাকি দোতলা। নিচের দিকেও একটা সিঁড়ি আছে যে! আমরা সিঁড়ি দিয়ে নিচে গেলাম। দেখি, সেখানে নৌবাহিনীর জিনিসপত্র। সেখানে অনেককিছুর
মধ্যে আমার সাবমেরিনটা খুব ভালো লাগলো। সাবমেরিনের ভেতরে গিয়ে আমার মনে হলো সত্যি সত্যি আমি পানির নিচে চলে এসেছি। সব দেখে উপরে উঠে সিঁড়ি দিয়ে উপরের তলায় উঠলাম। সেখানে বিমানবাহিনীর সবকিছু সাজানো। এটাও আমার অনেক ভালো লাগলো। আমি যে বিমানবাহিনীর স্কুলেই পড়ি। আমার স্কুলের নাম বিএএফ শাহীন কলেজ, পাহাড় কাঞ্চনপুর। আমাদের স্কুলের ড্রেস এখন বিমানবাহিনীর ড্রেসের মতো হবে। এখানে বিমানবাহিনীর ড্রেস, টুপি আরও জিনিসপত্র সাজানো আছে। একটা বিমান ছিলো। আমি আর আমার ছোটভাই সাইহান বিমানে উঠলাম। বিমানের সিটটা কেমন যেন, আমার স্কুল ব্যাগ-এর মতো। দাদাভাই ও নানাভাইয়ের কাছে আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি অনেক। এখানে এসে আমি মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার বন্দুক, বিমান, জাহাজসহ আরও জিনিসপত্র দেখলাম। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী মুক্তিযুদ্ধ করে অনেক কষ্টে দেশ স্বাধীন করেছে। তাঁদের জন্য আমার কষ্ট হলো। তাঁদের মতো আমিও আমার বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি। সবারই দেশকে ভালোবাসা উচিত। সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়া উচিত! v
বয়স : ১+২+৩+৪ বছর; তৃতীয় শ্রেণি, বিএএফ শাহীন কলেজ, পাহাড় কাঞ্চনপুর, নলুয়া, সখীপুর, টাঙ্গাইল
- বিষয় :
- গল্প