ঢাকা সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ছড়া কবিতা

ছড়া কবিতা

.

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ০০:৩৬

মুকুল শাহরিয়ার 
স্বার্থহীন সঙ্গী

গোসল এবং ঘুম ছাড়া আর
যেটুক সময় বাকি–
খোকাবাবুর সঙ্গে সে যে
থাকবে পাকাপাকি।

ইশকুল বা খেলার মাঠেও
সে হয়ে যায় সাথী–
তাকে ছাড়া ঠিক মতো কি
লাগবে বলে লাথি!

তাকে ছাড়া রাস্তা-ঘাটে
খুব মসিবত হাঁটা
খেতে গেলে গলাতে ঠিক
ফুটবে মাছের কাঁটা!

সবকিছুতে লাগছে, তবু
তার চাওয়া নেই কিছু–
সর্বদা সে সামনে থাকে
খোকা যে তার পিছু!

নাকের উপর চেপে বসে
দুই পা দিয়ে কানে
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যারাতেও
সে থাকে ওই খানে।

কে বলো তো সঙ্গী এমন
স্বার্থ ছাড়াই চলে–
পারছো নাতো? বলছি শোনো
‘চশমা’ তাকে বলে।  

 

 

উৎপলকান্তি বড়ুয়া 
মায়ের হাসি

খোকন পড়ে ছড়াটা তো
ছন্দে সুরে ভরা তা-তো।
খাতার পাতা রোল টানা
পুতুলের মুখ গোলটা না?
দাদুর ছাতা বড়োটা না
নদীর পারে ঘর ওটা না?

জায়গার নাম-দারোটানা
এখন দুপুর বারোটা না?
ঘুঘু ডাকে– কা কা তো না!
কেউ কি ফিরে তাকাতো না?
কই–পড়া কর মুখস্থ তো
আড়ালে তুই লুকস্ ততো!

‘না না, তা না! এই তো আসি
আঁকছি মায়ের মুখের হাসি।’
 

 

মজনু মিয়া 
ভূত দেখেছি

মামার বাড়ির বট গাছে এক ভূত থাকে
মধ্য রাতে যায় না থাকা হাঁক-ডাকে!
জাগনা পেয়ে যেই উঠেছি ঘোর রাতে
চেয়ে দেখি বট গাছে সেই ভূত ‘মাতে’!
মাথা ভরা লম্বা লম্বা চুলে
তাকিয়ে থাকে বুকে থাকা চোখগুলো সে খুলে
হাঁ-করতেই মুখ দিয়ে বের হয় আগুন
পা দুটো তার মাটির সাথে দেখতে যেন ফাগুন!
চেঁচিয়ে উঠে–মা মা ডেকে যেই না গেলাম ঘরে 
বিকট আওয়াজ করলো ভূতে; যাচ্ছি আমি মরে! 
তড়িঘড়ি মা এসে কয়– আমার কাছে আয়
ডাকলি না কেন্ আমায় রে বাপ ভূত দেখেছিস; হায়!

 

কামাল হোসাইন  
ভালো থাকার রসদ

ডাকছে পাখি কিচিরমিচির ফুটছে কতো ফুল
ভোর হয়েছে সবাই ওঠো, নাচছে নদীর কূল
আঁধার কেটে আলোর পরশ দূরে দেখা যায়
মন জুড়োবে প্রাণ জুড়োবে মইঠালি হাওয়ায়।

শাদা শাদা শিশিরদানা শরীর ছুঁয়ে যাবে
ঠান্ডা হাওয়ায় নতুন করে শক্তি খুঁজে পাবে।
দূরে তাকাও, ফরসা আকাশ দেখো আপনমনে 
ভালো লাগায় নাচবে হৃদয় বুঝবে ক্ষণে ক্ষণে। 

ঝিরিঝিরি বাতাস লেগে গাছের পাতা জাগে
হয়তো তুমি আর দেখোনি এমনটা এর আগে।
করবে আকুল ফুলগুলো তার ব্যাকুল করা বাসে
খালি পায়ে হাঁটতে থাকো নরম কোমল ঘাসে।

সারাটাদিন ভালো থাকার রসদ পাবে খুঁজে 
তাই থেকো না ঘরের কোণে মুখটা তোমার গুঁজে।

 

রুবেল হাবিব 
ছড়ার কথা

একটি ছেলে ছড়ায় খেলে
ছড়ায় ভাসায় নাও
ঢেউয়ের তালে নায়ের পালে
দিচ্ছে ছড়ায় বাও।
 
ঘুরছে ছড়ায় বসুন্ধরায়
সবুজ শ্যামল বনে
ছড়ায় দেখে ছড়ায় লেখে
ছড়ায় থাকে রণে।

আকাশ জুড়ে চাঁদ ও তারায়
ছন্দ ছড়ায় পথ যে মাড়ায়
তালের তালে সুরে
গাছের সাথে ছড়ার কথা
লতায় পাথায় ছন্দ পোতা
বন বাদাড় সব জুড়ে।

সেই ছেলেটির ঘরের ভিতর
আওয়াজ উঠে খাবার কি তোর,
ছড়ায় এনে দেয়?
বলছে সে তো– একটি ছড়া
মিটায় ক্ষুধা জীর্ণজরা
দুঃখটা কেড়ে নেয়।
 
ছড়া চলে ছড়ার বেগে
ছড়া বলে ধরার থেকে
অসংগতির ব্যথা,
ছড়া গড়ে স্বপ্ন দেখার
ছড়া লড়ে রত্ন আঁকার
ভীষণ গতির কথা।

আরও পড়ুন

×