- গোলটেবিল
- তরুণদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে
তরুণদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে
প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং বাল্যবিয়ে, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলকরণসহ তরুণদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দু'দিনব্যাপী ষষ্ঠ জাতীয় যুব পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সিরাক বাংলাদেশের আয়োজনে ২১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে মোট ৫০০ কিশোর-কিশোরী ভার্চুয়ালি অংশ নেয়। সম্মেলনের আয়োজনে সহযোগিতা করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, পিএসটিসি, অপশনস, বাংলাদেশ ইয়ুথ হেলথ অ্যাকশন, ইউকেএইডসহ প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
মনজুন নাহার
তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থ জীবনের লক্ষ্যে আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। করোনা মহামারিতে পুরো বিশ্ব থমকে গেছে। এ সময়ে প্রায় চল্লিশ লাখ মানুষ মারা গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে, নারীর প্রতি সহিংসতা, অর্থনৈতিক সংকট, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, মাতৃমৃত্যু বেড়েছে। বাল্যবিয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থী এখন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারছে না। অর্থাৎ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যাও বেড়েছে। উপর্যুপরি তারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যেও পড়ছে। এক জরিপে বলা হয়েছে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে যাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার খুব কম। ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ। করোনাকালীন বাংলাদেশে অনিরাপদ গর্ভপাতের হার অত্যন্ত বেশি, সেইসঙ্গে মাতৃমৃত্যুও বেড়েছে। তবে এগুলোর প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, অনেকে দাই, কবিরাজ বা বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত করাচ্ছেন। আমাদের সংস্কৃৃতি, সামাজিক ট্যাবু, মিথ, প্রথা যৌন বিষয়ে কোনো আলোচনা বা কথা বলা প্রায় নিষিদ্ধ করে রেখেছে। তাই আমরা সচেতন নই। তরুণদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও চায়, বাল্যবিয়ে ও অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ বন্ধ করা আবশ্যক। পরিবার পরিকল্পনাকে মৌলিক অধিকারের আওতাভুক্ত করতে হবে। আমরা চাই, তরুণদের কাছে পরিবার পরিকল্পনা এবং প্রজনন স্বাস্থ্য (সেক্সুয়াল রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ) বিষয়ক তথ্য যেন পর্যাপ্ত এবং সহজলভ্য থাকে। পরিবার এবং সমাজ যেন এ বিষয়ে সচেতন ও দায়িত্ববান হয়। সাধারণত পরিবার পরিকল্পনা একটা সম্পূর্ণ জীবনযাপনের বিষয়। এ মুহূর্তে যেসব কন্যাশিশুকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না বা যারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে, অন্তত তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ও তথ্যসেবা পৌঁছানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সরকার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব, সরকার এ বিষয়ে ডিজিটাল অ্যাপ তৈরি করবে। এ ক্ষেত্রে সবার যৌথ অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে সিভিল সোসাইটি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংস্থা ও তরুণরা সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মের সুযোগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে জেন্ডার বৈষম্য অনেকখানি কমে আসবে এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ তরুণ ভবিষ্যতে সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাহিদ মালেক, এমপি
তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থতাই দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্বাস্থ্য খাতে এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানসহ বাংলাদেশ সরকার দেশের তরুণদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাল্যবিয়ে কমিয়ে আনা, মাদকাসক্তি হ্রাস, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক পরামর্শ, প্রতিবন্ধী ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য হাসপাতালগুলোয় আলাদা কর্নার করা আছে; যেখানে গেলে তারা চিকিৎসা, তথ্য ও পরামর্শ পেয়ে থাকেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এমডিজি গোল অর্জন করেছে। ফলে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। একই সঙ্গে এসডিজি গোল অর্জনে ধাপে ধাপে কাজ করে যাচ্ছে। একটি সুস্থ জাতি গঠনের জন্য প্রয়োজন একটি সুস্থ তরুণ প্রজন্ম। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য তরুণদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা ব্যতিরেকে অন্য কোনো বিকল্প নেই।
শাহান আরা বানু, এনডিসি
কিশোর-কিশোরীদের জন্য জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য কৌশলপত্র, যেটি ২০১৭-২০৩০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তার অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমপক্ষে দুটি ইউনিয়নে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে এ পর্যন্ত এক হাজার ১০৩টি কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ২৪/৭ সার্বক্ষণিক মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রসূতিদের সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের সেবা প্রদানের সময়সীমা বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৃদ্ধির বিষয়টিও সরকারের বিবেচনাধীন। বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের কাউন্সেলিং বৃদ্ধি করা হবে। পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকারা (ঋডঠ) ও ঝঅঈগঙ কেন্দ্রে থাকেন। তাই কিশোর-কিশোরীরা যেন তাদের স্কুল সময়ের পরও জরুরি সেবা নিতে যেতে পারে, সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনাধীন। এসব সেবাকেন্দ্রে যৌন প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ সমস্যা, মাসিক-সংক্রান্ত সেবা, স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, রক্তের সমস্যায় আয়রন, ফলিক অ্যাসিড বিতরণ এবং কিশোরী মায়েদের প্রজনন সমস্যা, বাল্যবিয়ে রোধে পরামর্শ সেবা দেওয়া হয়। শিল্প এলাকাগুলোতে, গার্মেন্টে স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে তরুণদের কেন্দ্রে গিয়ে সেবা গ্রহণের ব্যাপারে মানসিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
মো. আব্দুস সালাম খান
সবার জন্য উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবা জোরদার করার নিমিত্তে সরকারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের কর্মসূচি, যার মেয়াদ ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হলেও তা বাড়িয়ে ২০২৩ পর্যন্ত করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে 'সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতা বৃদ্ধি' এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা। আরেকটি হচ্ছে, ২০১২ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়নের কৌশলপত্র। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ব্যক্তি খাতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার খরচ ২০৩২ সালের মধ্যে ৩২ শতাংশে কমিয়ে আনা এবং ২০৩২ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য বাজেট জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশে উন্নীত করা। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, দরিদ্র মানুষের অবস্থার উন্নয়ন, আয়ের বৈষম্য দূরীকরণ ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার মতো তারুণ্যকেন্দ্রিক বিষয়গুলোতে বিভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এসব লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সময়ে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য একটি বহুল আলোচিত বিষয়। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিষদ মনোযোগ দেওয়া দরকার। সেইসঙ্গে তরুণদের মাঝে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এসব বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।
ডা. মোহাম্মদ শরীফ
২০১৭ সালে শুরু ২০৩টি কৈশোরবান্ধব সেবাকেন্দ্র বর্তমানে এক হাজার ১০৩-এ পৌঁছেছে। যেখানে ২০টি সেন্টারে সিরাকের পক্ষ থেকে দু'জন করে প্রতি সেন্টারে ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার সুফল আমরা দেখতে পারব। একই সঙ্গে কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, শিগগির তা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যায়। এই কৈশোরবান্ধব সেবাকেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীদের কাউন্সেলিং, প্রজনন স্বাস্থ্য, মাসিক স্বাস্থ্যসহ সব ধরনের পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে কৈশোরবান্ধব সেবাকেন্দ্র আরও বেশি বেশি স্থাপন করে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে, যাতে এসডিজি গোলের লক্ষ্য পূরণে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।
ডা. নুরুন নাহার বেগম
কৈশোরবান্ধব কেন্দ্রের সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবটি খুব ভালো। সেবাকেন্দ্রগুলোতে ভিন্নভাবে সেবা দেওয়ার বিষয়গুলোও ভাবতে হবে। সেটি হতে পারে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বা ছুটির দিনগুলোতে দুই ঘণ্টা অথবা সন্ধ্যার দিকে এক ঘণ্টা কেন্দ্র খোলা রাখা। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ বা উঠোন বৈঠকের মতো বিভিন্ন মাধ্যমে 'সেক্সুয়াল ও রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ'-এর প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো কিশোর-কিশোরী বা তরুণ-তরুণীদের জানানো যেতে পারে। করোনাকালীন, অর্থাৎ প্রতিকূল অবস্থা অতিক্রম করে আমাদের সব সার্ভিস সেন্টার চালু করতে পেরেছি। এর বাইরে আমাদের টেলিমেডিসিন ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সুখী পরিবার কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা চালু রয়েছে। তথ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে আমরা ডিজিটাল অ্যাপ চালু করেছি। এ সম্পর্কিত কোনো ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো উপায় যদি চালু করা হয়, তাহলে এটি সবাইকে তথ্য জানার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। দুর্গম অঞ্চলে অনেক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের সমপর্যায়ের সঙ্গীদের এসব বিষয়ে সহায়তা করতে পারে। ডিজি হেলথের কার্যালয়ের 'স্কুল হেলথ' বলে একটা ইউনিট আছে, তারা স্কুলের বাচ্চাদের সেবা দিয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকদেরও এসব বিষয়ে সচেতন হয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।
Dr. Asa Torkelson
COVID-19 pandemic has a profound effect on sexual and reproductive health all over the globe. This crisis put unprecedented pressure on the health sector and made it more challenging to deliver sexual and health services.
In this context, we should consider the young people of Bangladesh as an active partners for development. It is our duty and privilege to collaborate with policymakers in the country to ensure that the voice of the youth is reflected in program and policies.
The National Youth Conference on FP is a great example of a venture through which we can listen to the views of young people and integrate this into the work that is being carried out across the country. According to our discussion with the youth in Bangladesh, we have found that sexual and reproductive rights (SRHR) are linked to quality employment and education. Nutritional and psycho-social support are also critically important as we aim to assert every young person’s right to bodily autonomy. Furthermore, the aim of gender equality is to eliminate gender-based violence, child marriages, and pregnancy.
UNFPA will continue to look for holistic approaches that will enable us to deal the various challenges that have impacted the overall wellbeing of young people. Through collective actions of working together, I know we can achieve the unfinished agenda of zero preventable maternal death, zero unmet need for FP, and zero incidence of gender-based violence and harmful practices against women and gender.
Marvyn Christian
Young people have been bearing the brunt of this pandemic. They are suffering from all aspects like education, health, and employment. Globally, we have learnt from our colleagues and partners that the pandemic response greatly affected the SRHR programs. Specially, young people are facing to get acces to the SRHR services. Now we must give more focus for youth wellbeing. Our recommendation for the young people is to continue to advocate your needs and priorities become a national priority. Continue to advocate because the other lessons that we have learned are that if the youth succeed, we all succeed. People have a lot of power in their hands, and the power comes with knowledge and information. By using knowledge and power, young people can make their own decisions. It is a time to think critically. It is also our responsibility, to ensure that young people have accurate and truthful information to lead and create a better tomorrow, an enabling environment for adolescents and youths. A collaborative effort is needed to collect evidence on sexual and reproductive health programs and guard against those stigmatizing to exclude the youth. I want to end by saying that let us trust young people’s knowledge. They also know what they need. Increasing options for young people to advocate for and protect their health will ensure that we can institute a policy for funding to access quality and non-judgmental contraceptive information. Lastly, I believe that young people are ready to take challenges and lead. One of the prime examples is this conference and the conferences held during the last six years. We should provide space so that the youth can move forward. They are the present, and the future belongs to them.
কিশওয়ার ইমদাদ
সম্প্রতি আমি মেরী স্টোপস বাংলাদেশে যোগদান করেছি। সরকারের পাশাপাশি মেরী স্টোপস বাংলাদেশও নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে। ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে মেরী স্টোপস। আমরা যদি দুই দশক আগের দিকে তাকাই, সে অনুযায়ী বাংলাদেশের উন্নতি ঘটেছে। যেমন- মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সালে প্রতি লাখে ৫৩৪ জন মায়ের মৃত্যু হতো, এখন তা কমে ১৭৩-এ চলে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে মেরী স্টোপস, সহযোগী সংগঠন এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ সালে প্রতি এক হাজারে ৯০টি শিশু মারা যেত। এখন তা কমে ২৫-এ এসেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতে মেরী স্টোপস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আমাদের দেশে সেবাগ্রহীতার গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় না। হাসপাতালে অন্যান্য লোকজন, রোগী এবং নার্সকে ডাক্তারের পাশে হইচই করতে দেখা যায়। তাতে সেবাগ্রহীতা তার প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারেন না। মিথ এবং ট্যাবু ভাঙার জন্য সেবাগ্রহীতার অধিকার রক্ষায়ও গুরুত্বারোপ করতে হবে। সুস্বাস্থ্য এবং যৌন শিক্ষা নিয়ে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে একটা অধ্যায় রয়েছে। কিন্তু তার কোনো প্রয়োগ নেই। শিক্ষকরা এ বিষয়ে সচেতন নন বা কীভাবে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে- তা তারা জানেন না। শিক্ষকরা মনে করেন, এটা 'ক্লোজ চ্যাপ্টার'। এটা শিক্ষার্থীরা বাড়িতেই পড়তে পারবে। আমাদের এই ট্যাবুটা ভাঙার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে মা-বাবাকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৈশোরবান্ধব কর্নার রাখতে হবে, যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারী বা নার্স থাকবেন। কোনো প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রী উভয়েই নার্সের (সেবাদানকারী) সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে পারে। মেয়েদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও জোর দিতে হবে। সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে তার মতামত গ্রহণের অধিকার দিতে হবে। মেয়েরা ঘরে কাজ করুক বা বাইরে, মাঠে বা গার্মেন্টে যেখানেই কাজ করুক- সে তার নিজের মতামত অনুযায়ী সন্তান ধারণ করবে। সবাইকে বুঝতে হবে যে, পরিবার পরিকল্পনা শুধু মেয়েদের বিষয় নয়। এটা রাষ্ট্রের ইস্যু, পুরুষের ইস্যু। পরিবার পরিকল্পনা এবং কিশোর-কিশোরীবান্ধব সেবাগুলো আরও কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি ডিজিইএফপির যেসব ভালো উদ্যোগ রয়েছে, সেগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম
এর আগে তরুণদের সেবা প্রদান নিয়ে আলাদা করে ভাবা হয়নি, বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনা সেক্টরে। তবে বর্তমানে সরকার ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় তরুণদের প্রতি আলাদা মনোযোগ দেওয়ার ফলস্বরূপ কৈশোরবান্ধব সেবাকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। কিশোর-কিশোরী এই বয়সে যেসব শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন ও সমস্যার সম্মুখীন হয়; এগুলো তারা কৈশোরবান্ধব সেবাকেন্দ্রে গিয়ে বলতে পারে। বাংলাদেশ মেন্টাল হেলথ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী কভিডের কারণে তরুণদের মধ্যে ৭০ শতাংশের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইউনিসেফের জরিপ অনুযায়ী ৪৬ শতাংশের বেশি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। ফলে কাজের ক্ষেত্রে অনাগ্রহী ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছে। সুতরাং আমরা যে কার্যক্রম পরিচালনা করি না কেন, সেখানে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে তরুণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন- আইটি, কৃষি, কম্পিউটার, লাইভস্টক, রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ, সেক্সুয়াল হেলথ, মাতৃমৃত্যু ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশ গঠনে সহায়ক করে তুলতে হবে।
অধ্যাপক ডা. সেহেরীন এফ. সিদ্দিকা
এক জরিপে বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশের অধিক বাংলাদেশের নারী, যাদের বয়স এখন ২০-এর মাঝামাঝি তাদের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের নিচে। বাল্যবিয়ের কারণে মেয়েরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করে অনেকেই। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর বাল্যবিয়ের শিকার অনেক মেয়ের রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়, এ রোগের নাম প্রি-একলাম্পসিয়া। পরে সমস্যাটি গর্ভাবস্থার খিঁচুনি হিসেবেও দেখা দিতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে খিঁচুনি বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের যে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে, সেটি না বললেই নয়। যেমন- ২০১৭ সালে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৪ জনে দাঁড়ায়, যা ২০০৫ সালে ছিল ৫০ জন। পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার ২০০৫ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬৮ জন, যেটি ২০১৭ সালে কমে দাঁড়ায় ৩১ জনে। আর ২০১৭ সালে প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত কমে দাঁড়ায় ১৭২ জনে, যা ২০০৫ সালে ছিল ৩৪৮ জন। টিকাদানের পরিধি এবং গর্ভনিরোধক সামগ্রী ব্যবহারের হার বাড়ানো, ডায়রিয়া ও যক্ষ্ণা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে কয়েকটি। তবে করোনা মহামারিতে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক সামগ্রী ব্যবহারের অপ্রতুলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। করোনাকালে বাজারে গর্ভনিরোধক সামগ্রী পর্যাপ্ত ছিল না। করোনাকাল শুরুর প্রথম সাত মাসে বাল্যবিয়ের শিকার ১৩ হাজার ৮৮৬ জনকে যদি পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো যেত বা তাদের মধ্যে গর্ভনিরোধক সামগ্রী সরবরাহ করা যেত, তাহলেও মাতৃমৃত্যুর হার কিছুটা কমানোর সম্ভাবনা থাকত।
মো. মনজুর হোসেন
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে ২০১৭ সালে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য, তাদের প্রতি সহিংসতা, তাদের পুষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আমরা কাজ করছি। তার পরও তিন কোটি ৬০ লাখ কিশোর-কিশোরীর কাছে হয়তো স্বাস্থ্যকর্মীদের পৌঁছানো সম্ভব নয়। কমিউনিটি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলি, তাহলে কিছুটা হলেও তাদের মাঝে পৌঁছানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থাকে একত্রে কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে যত ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম আছে, তার মধ্যে কাউন্সেলিং সবচেয়ে কঠিন। কারণ, একটা মানুষকে কাউন্সেলিং করে এক ধ্যান-ধারণা থেকে অন্য ধ্যান-ধারণায় আনা অনেক প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার। আমরা ইতোমধ্যে নতুন ৪০ জন 'পেয়ার ভলান্টিয়ার' মোতায়েন করেছি। তরুণরা যেসব কাজ করছে, তা যদি আমাদের কাজকে ত্বরান্বিত করে, তাহলে আমরা আরও 'ভলান্টিয়ার' নিয়োগ করব। নীরবতা ভাঙার জন্য সরকারের সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য (ডিজিএইচএস), এমআইএস (ডিজিএফপি) দুটো পক্ষই কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিএইচএস স্কুলে 'অ্যাডোলেসেন্স হেলথ প্রোগ্রাম' চালু করেছে। সেখানে শিক্ষক কীভাবে ক্লাসগুলো নেবেন, তা শেখানো হচ্ছে। আমরা এখনও দেশের সব স্কুলে না পারলেও অনেক জেলার স্কুলেই কার্যক্রমটি শুরু করেছি। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য নিয়ে ডিজিএফপির তরফ থেকে একটি ওয়েবসাইট খেলা হয়েছে। যেখানে ১০ থেকে ২৪ বছরের কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেওয়া আছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো- adomyinfo.DGFP.Gov.BD|
এস এম সৈকত
দেশের উন্নয়নে তরুণদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয়তা, করোনাকালে যেসব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয় এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য যেসব কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলো নিয়ে তাদের নানা চাহিদার কথা তুলে ধরা প্রয়োজন। এ সেবাকেন্দ্রগুলো বর্তমানে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রম পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই এই সেবাকেন্দ্র্রগুলো যদি বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে তাহলে আশা করি, কিশোর-কিশোরীরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি এই পরিবার পরিকল্পনা ও কৈশোর স্বাস্থ্যসেবার মান ও পরিধি সম্প্রসারণ, বাজেট বরাদ্দ এবং সেবা প্রদানকারীর সংখ্যা ও দক্ষতা উন্নয়নে তরুণদের জন্য পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশাবাদ করছি।
কাকলি আক্তার সূচি
স্বাস্থ্যসেবা নিতে স্বামী কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কিশোরী মা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আসেন। 'কন্ট্রাসেপশন কাউন্সেলিং'-এর ক্ষেত্রে দেখা যায়, সে তার নিজের মতামত দিচ্ছে না। ববং তার অভিভাবকের কথা শুনছে। এক জরিপে দেখা গেছে, মেয়েরা জানেই না যে গর্ভনিরোধক সামগ্রী কোথায় পাওয়া যায়। কারণ, ওই সব সামগ্রী তার স্বামী বহন করে। আমার বোনের যখন প্রথম পিরিয়ড হয়, তখন আমি এবং আম্মু কেউই বাড়িতে ছিলাম না। আমার বোন আব্বুর সঙ্গে বাড়িতে ছিল। তার পিরিয়ড শুরু হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর আমি বাড়িতে আসি এবং তারপর সে আমার কাছে বিষয়টা খুলে বলে। ততক্ষণ সে আব্বুর কাছে কিছুই বলেনি। এই কথাগুলো বলার একমাত্র কারণ হলো, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেসব সেবাদানকারী থাকেন, তারা আমাদের বাবার বয়সী। এ ক্ষেত্রে একটা বয়সের ব্যবধান চলেই আসে এবং গোপন করার প্রবণতা বাড়ে। কোনোভাবে যদি এই ব্যবধানটা কমানো যেত, তাহলে তরুণীদের সেবা দিতে আমাদের অনেক সুবিধা হতো।
সুপারিশ
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক তথ্য প্রদান নিশ্চিত করতে হবে, সরকারি কার্যক্রমে বা পরিকল্পনায় যুবসমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, কৈশোরবান্ধব কেন্দ্রে সেবা প্রদানকারীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংবেদনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, সহজেই যেন গর্ভনিরোধক সামগ্রী পাওয়া যায়; নিরাপদ গর্ভপাত নিশ্চিতকরণের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, অবিবাহিত-বিবাহিতসহ সব বয়সী মানুষের যৌন ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে তথ্য সেবা দিতে হবে; প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রজনন স্বাস্থ্য কর্নার তৈরি ও কেন্দ্রে 'কাউন্সেলিং'-এর ব্যবস্থা করতে হবে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাড়াতে হবে, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পার্টনারশিপ জোরদার করতে হবে, বাল্যবিয়ে বন্ধে তরুণদের নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা থাকতে হবে, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও সরকারি কার্যক্রম বাড়াতে হবে এবং 'প্রজনন স্বাস্থ্য' বিষয়ে পাঠদান বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
সঞ্চালক
মনজুন নাহার
লিড অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন, মেরী স্টোপস
প্রধান অতিথি
জাহিদ মালেক, এমপি
মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়
প্যানেল আলোচক
শাহান আরা বানু, এনডিসি
মহাপরিচালক (গ্রেড-১), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর
মো. আব্দুস সালাম খান
যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ
ডা. মোহাম্মদ শরীফ
পরিচালক, এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর
ডা. নুরুন নাহার বেগম
লাইন ডাইরেক্টর (ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর
Dr. Asa Torkelson
Chief of UNFPA, Bangladesh
Marvyn Christian
Bill & Melinda Getes Institute for Population and Reproductive Health
কিশওয়ার ইমদাদ
কান্ট্রি ডিরেক্টর, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ
কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম
সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর
অধ্যাপক ডা. সেহেরীন এফ. সিদ্দিকা
বিভাগীয় প্রধান, গাইনোকোলজি বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মো. মনজুর হোসেন
সহকারী পরিচালক (এমসিএইচ), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর
এস এম সৈকত
নির্বাহী পরিচালক
সিরাক-বাংলাদেশ ও সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ষষ্ঠ জাতীয় যুব পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলন ২০২১
মুক্ত আলোচক
কাকলি আক্তার সূচি
তরুণ স্বেচ্ছাসেবক
অনুলিখন
সাজিদা ইসলাম পারুল
স্টাফ রিপোর্টার, সমকাল
মন্তব্য করুন