
উঠান বৈঠকে কিশোর-কিশোরী দল
করোনাকালে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। তবে ইদানীং অনেক জায়গায় অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে সচেতন হয়ে রুখে দিচ্ছে বাল্যবিয়ে। তারা শুধু নিজের বিয়েই প্রতিহত করেনি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এমনই প্রতিবাদী কয়েকজনের ফিরে আসার গল্প এখানে তুলে ধরা হলো। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। গ্রন্থনা : শাহেরীন আরাফাত
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিছমত ছৈলাবুনিয়া গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তমা সিকদারের বিয়ে ঠিক করেছিলেন তাঁর মা সবিতা রানী। সংসারে তাদের অভাব লেগেই থাকত। এ কারণে সবিতা রানী মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন গোপনে। এ বিষয়ে জানতে পেরে তমা বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং বিয়েতে তার ইচ্ছা নেই বলে জানায়।
স্থানীয় সংগঠন অনির্বাণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কিশোর দলের সদস্য সোহাগ হাওলাদারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তমা ও তার বান্ধবী। তবে শুধু তাদের কথায় তো কাজ হবে না। সমাজের দৃষ্টিতে তারা যে অপ্রাপ্তবয়স্ক। যে কারণে তমার বিয়ে ঠেকাতে তারা সংগঠিত করে স্থানীয়দের। কিশোররা স্থানীয় নেতা, স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় মুরুব্বিদের সঙ্গে নিয়ে বাল্যবিয়ে আইন, এর ক্ষতি ও শাস্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তমার মা-বাবার কাছে গিয়েছিল। তারা জানত সবাই মিলে কোনো কাজ করলে তা সফল হয়। একপর্যায়ে তমার মা-বাবা বাল্যবিয়ের ক্ষতি বুঝতে পেরে উপস্থিত সবার সামনে মেয়ের বাল্যবিয়ে বন্ধে একমত হন। প্রতিশ্রুতি দেন, তমার ১৮ বছর বয়স পূর্ণ না হলে তাকে বিয়ে দেবেন না।
মন্তব্য করুন