- গোলটেবিল
- ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য নিরসন, বিশেষ করে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে এর নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মাধ্যমকে বাদ দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা অসম্ভব। তাই এ প্ল্যাটফর্মকে কীভাবে সমতাভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা যায়, সেটিকে কেন্দ্র করে নীতি নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গত ২০ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দৈনিক সমকালের সভাকক্ষে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় তাঁরা এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল সমকাল।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা ধারণ করেন এবং সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন ধর্মগুরুদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। নারীরাও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়েন, তাঁরা কেন ওয়াজ করতে পারবেন না? তাঁরাও ওয়াজ করবেন। তাঁদেরকেও তাঁদের বক্তব্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে হবে। তাঁদেরকেও আমাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। ধর্মগুরুদের সচেতন করার মাধ্যমে আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিশাল হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। অনুরূপভাবে নারীদের কর্মক্ষেত্রে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য ধর্মগুরুদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁরা যেন মেয়েদের হাতে প্রযুক্তি তুলে দেওয়া যাবে না, এটা প্রচার না করেন– এ ধরনের একটা ক্যাম্পেইন চালানো যেতে পারে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে সম্ভব হয়, এ জন্য ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত সবার জন্য বিজ্ঞান, গণিত, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক শিক্ষা সামনে কারিকুলামে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সুতরাং কেউই বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে বাদ পড়বে না– এই বিষয়টা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিজ্ঞান শিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করা হচ্ছে– এই বিষয়ে আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের পুরো জীবনব্যবস্থাকেই ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমাদের ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তনের কারণে দেখা যাচ্ছে যে, অনেক পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু মানুষের কাজের পরিমাণ বেড়েছে। কাজের পরিমাণ বাড়লেও প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই আমরা কাজগুলো করে ফেলতে পারছি। একটা বিশাল ইন্ডাস্ট্রিতে আগে যেখানে এক হাজার লোক প্রয়োজন হতো, সেখানে প্রযুক্তির কল্যাণে মাত্র ১০ জন দিয়ে সেই কাজ করে ফেলতে পারছি। এই যে প্রযুক্তির সুবিধা, এটা যদি আমরা না নিই, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাব। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সময় ইন্টারনেটের আবির্ভাব হয়েছে। এ ইন্টারনেট বা সাইবার স্পেসে অর্থাৎ ‘ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে’ সারা পৃথিবী যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকবে? প্রযুক্তির এই বিশাল সম্ভাবনা কেন বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না? এ ছাড়া আমাদের নারী সমাজ নানা ধরনের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এত প্রতিকূলতা জয় করে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। এ অবস্থায়, প্রযুক্তিতে নারীর নিরাপদ অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে পারলে একদিকে যেমন নারীর ক্ষমতায়ন হবে অন্যদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই অবস্থানে পৌঁছাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিগম্যতা। সেই অভিগম্যতা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মোজাম্মেল হোসেন
১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ নারী দিবসের স্বীকৃতি দিলেও এই দিবসের ইতিহাস অনেক দিনের। নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, সমাজে তাঁদের উপযুক্ত স্থান দেওয়ার জন্য যে কাজ এবং সংগ্রাম রয়েছে, সেটিকে যেন আমরা মনে রাখি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস যেন কিছু ব্যবসায়ী করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি এবং শুধু এক দিন শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। নর-নারীর সামাজিক অবস্থান এবং সাম্য-বৈষম্য বহু শতাব্দীর প্রসঙ্গ, এক দিনের নয়। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, সম্পত্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থার নিরিখে এর তারতম্য ঘটেছে। এক সময় তো নারীপ্রধান সমাজও ছিল। পরবর্তীকালে আমাদের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার কারণে বিরাট বৈষম্য তৈরি হয়েছে। আবার আমরা আনন্দিত যে, এ দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নারীদের শিক্ষা বিস্তারের দিক দিয়ে আমরা আঞ্চলিকভাবে অনেক ভালো অবস্থানে আছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান রয়ে গেছে। নারীর অভিগম্যতা কম হলে সার্বিকভাবে আমাদের সমাজের প্রগতি ব্যাহত হবে। সেই জায়গাটায় কী করণীয় এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নীতি ব্যবহারের কৌশল, প্রসার ও ব্যবধান ঘুচিয়ে আনার জন্য যা করা উচিত, তা নীতিনির্ধারকদের করতে হবে।
মো. সেলিম রেজা
ডিজিটাল ক্ষেত্রে এখনও নারীরা অনেক পিছিয়ে আছেন। তবে নারীদের এগিয়ে আনতে সরকার আগে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই মডেলটা এ ক্ষেত্রেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমি অনেক দিন দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছি। মেয়েরা তখনই টেকনোলজি নিয়ে পড়বে, যখন কিনা এটিকে কর্মসংস্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণের সাথে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলে এ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন আমরা জাপানে কিছু নারী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যখন আমরা নারীদের জাপান যেতে বলি, তখন তাঁরা আকাশ থেকে পড়েন। তাঁরা বলেন, জাপানে মেয়েরা যাবে, এটা তো চিন্তাই করা যায় না। যখন আমরা প্রথম একজন মেয়েকে পাঠালাম এবং সে বিনা খরচে জাপানে গিয়ে ভালো করল, তখন তার দেখাদেখি মেয়েদের জাপানে যাওয়ার জন্য লাইন পড়ে গেল। এই মেয়েরা আজ জাপানে গিয়ে খুব সুন্দরভাবে কাজ করছে। আমাদের মেয়েরা অনেক কিছু পারে। তাদের সামনে আনতে হবে। মেয়েদের জন্য এ দেশে অনেক বৃত্তি রয়েছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যদি আমরা তাদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে এখানে মেয়েদের অংশগ্রহণ অনেক বাড়বে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে।
ড. তানিয়া হক
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নারীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে কিছু বৈষম্য এবং চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে। আর এ বৈষম্য শুধু জেন্ডারের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না বরং জেন্ডারের পাশাপাশি বিভিন্ন মানদণ্ড– যেমন: শ্রেণি, পেশা, ভৌগোলিক অবস্থান, বয়স, Disability, শিক্ষা, ভাষা, ট্রান্সজেন্ডার, বৈবাহিক অবস্থা; প্রতিটি নারীকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে থাকে। Digital Illiteracy, ইন্টারনেটের অপ্রাপ্যতা, গতির অসম বণ্টনের ফলে একজন শহুরে নারী যেভাবে ইন্টারনেটের উপযোগিতা লাভ করেন, একজন গ্রামীণ নারী তা পারেন না। তাই সকল নারীর পৃথক অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবতার প্রেক্ষিতে Need Based Approach এর মাধ্যমে আইসিটিতে নারীর অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভার্চুয়াল জগতের Male Face কে Human Face এ রূপান্তরিত করে একে Male-stream থেকে Main-stream এ পরিণত করতে হবে। এজন্য পরিবর্তনের শুরু হতে হবে আমাদের পরিবার থেকেই। ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান সুযোগ ও অধিকার দিতে হবে। পরিবার থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে, শিক্ষা ও গবেষণায় মেয়েসন্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না। দেশের ‘ডিজিটাল জেন্ডার গ্যাপ’ সম্পর্কিত গবেষণার পরিমাণ বাড়াতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অংশগ্রহণ এবং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে টিকে থাকার জন্য সব নারীকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে মেধাবী ও দক্ষ করে তুলতে হবে। অনলাইনে নিরাপদ বিচরণের জন্য জাতীয় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আইনের যথাযথ প্রচার, প্রসার ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে নারীদেরও নিজের আইনি অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মাধ্যমকে বাদ দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা অসম্ভব। তাই এ প্ল্যাটফর্ম কীভাবে সমতাভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা যায়, সেটিকে কেন্দ্র করে নীতি নির্ধারণ করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রিমাত্রিক সমন্বয়ে জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে প্রতিষ্ঠাপূর্বক নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে হবে।
আরমা দত্ত
সরকারের পলিসিতে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী-পুরুষের মধ্যে এমনিতেই একটা বৈষম্য রয়েছে। এর মধ্যে আবার তথ্যপ্রযুক্তি এ বৈষম্য আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ক্ষেত্রটাতে নারীদের সুরক্ষিতভাবে ক্ষমতায়ন কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে নারীদের এ ক্ষেত্রে অনেক বাধা পেরোতে হবে। কারণ, ডিজিটাল পৃথিবীটা এখনও পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। এ ক্ষেত্রে সবার মানসিক পরিবর্তন জরুরি। কেননা, আমরা ভাবতেই পারি না, নারীরাও প্রযুক্তিতে আসতে পারে। পৃথিবীটা এখন একটি বিশ্বগ্রাম। বাংলাদেশও এই গ্রামের সদস্য। এ কারণে আমাদেরও সবার সঙ্গে এগোতে হবে। আমাদের মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে কীভাবে ইতিবাচকভাবে এগোতে পারে এবং ক্ষমতায়িত করা যেতে পারে– সেটি আমাদের দেখতে হবে। আমার কথা হলো, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান প্রবেশগম্যতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছাটা থাকতে হবে।
খুশী কবির
টেলিভিশন কিংবা ইন্টারনেট খুললেই বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন দেখা যায়, যাতে নারীদের পণ্য হিসেবে দেখানো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলো সম্পূর্ণ আলাদা একটা বার্তা দিচ্ছে। ওয়াজ মাহফিল কিংবা সাইবার বুলিংয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরাও এই বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজের চিন্তাধারা বদলাতে হবে। আমি মনে করি, এটা সম্ভব। আমি মূলত প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে কাজ করি। গ্রামের নবম-দশম শ্রেণির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, তারা খুবই সম্ভাবনাময়। কিন্তু একটা ভয়াবহ বিষয় আমি জানতে পেরেছি। আমি জেনেছি যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ছাত্রীদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেলেদেরও যৌন নিপীড়ন করে থাকেন। এটি শুধু একটি বিদ্যালয়ে নয়, বরং বিভিন্ন জায়গায় চলছে। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে যেন এ ধরনের কিছু ঘটলে মেয়েরা এটা বলতে দ্বিধা না করে এবং অভিভাবকরাও যেন তাদের চুপ না করান। পাশাপাশি একটি ওয়ানস্টপ সার্ভিসও চালু করা যেতে পারে।
নারীরা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে নারীরা প্রযুক্তিকে অনেক ভয় পান। এই মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। মেয়েরা গণিত-বিজ্ঞান অনেক ভালো পারে। কিন্তু দেখা যায়, বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা এখনও কম। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বৈষম্য দূর করতে নারীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল ক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মো. মুহিবুজ্জামান
সাবধানতা অবলম্বন করার পরও দেশে অনিবন্ধিত সিমের ছড়াছড়ি। কেউ চাইলে এখন একটা পানের দোকান থেকেও এসব অনিবন্ধিত সিম কিনতে পারেন। যদি এসব সিমের ছড়াছড়ি বন্ধ করা না যায়, তাহলে ডিজিটাল ক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। আমার নাম নিয়েই বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছে। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য যেসব নিরাপত্তা বিধি রয়েছে, সেগুলো মেনে চললে আমরা অনেক ক্ষেত্রে সুরক্ষিত থাকব।
আমার হাতে দুটি ফোন থাকার পরও যদি আমি আমার মেয়েকে একটা ফোন না দেই, তাহলে সেটি বৈষম্য হবে। অনেকে সক্ষমতা থাকার পরও মেয়েকে ফোন দেন না– মেয়ে নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে। আমাদের রাষ্ট্রের অনেক বড় বড় পদে নারীরা রয়েছেন। কিন্তু আমরা কি হলফ করে বলতে পারি, আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পেরেছি? অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁরা কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারছেন, এর ওপর নির্ভর করছে নারীদের ক্ষমতায়ন কতটুকু হয়েছে। সমাজের এ চিত্র পাল্টাতে হবে।
কাওসার আহমেদ
আমাদের সংবিধানের ২৭ ও ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে সমতা ও বৈষম্য নিরসনের কথা বলা আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আরও বেশি করে বলা আছে যে, সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা বিধান করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বৈষম্য এখন বাস্তবতা হিসেবে ধরা দিয়েছে। ইন্টারনেট এরই মধ্যে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে। করোনার মধ্যে আমরা দেখেছি, এই প্ল্যাটফর্মে নারীদের জন্য নতুন পেশাগত ক্ষেত্র উন্মোচন হয়েছে। তাঁরা ঘরে বসেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছেন, ঘরে বসেই বিভিন্ন সেবা দিয়ে আয় করতে পারছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেকের সফল হওয়ার গল্প আমরা শুনেছি। আবার এটাও দেখতে পাই, ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে যদি আমরা জেন্ডার বৈষম্য নিরসন করতে চাই, তাহলে প্রযুক্তিতে নারীদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল সহিংসতা যেন না হয়, এটিও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের প্রাইভেসি নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেক ধরনের প্রতারণা হয়। এটি বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বশেষ ডিজিটাল প্রশিক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
আমেনা বেগম
সাইবার অপরাধ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ধারণা কতটুকু আছে, এটা আরেকটা চ্যালেঞ্জ। সাইবার অপরাধ খুবই সাম্প্রতিক একটা বিষয়। একই সঙ্গে এটি প্রযুক্তিগত বিষয়। ডিজিটাল অপরাধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের আলাদা একটা সাইবার ইউনিটই লাগবে, যেখানে সাইবার ট্রেনিং দেওয়া হবে। একটি সাইবার অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর থানা পর্যায়ে একজন রিপোর্টিং অফিসারের ভূমিকা কী হবে, সেটা জানতে হবে। আমরা পুলিশে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ডিউটি অফিসারের ধারণা না থাকার কারণে ভুক্তভোগীকে অন্য জায়গায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি সব সময় তাঁর দায়িত্বটা অন্যের ঘাড়ে চাপান।
এর কারণ হচ্ছে ওই বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণা নেই। যার কারণে আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসেছি যে, আলাদা একটা সাইবার ক্রাইম ইউনিট হওয়া উচিত। যেখানে এ ধরনের অপরাধ পুলিশ কীভাবে মোকাবিলা করবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ডিএমপি ও সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট আছে। এই দুটি ইউনিটই এ বিষয়ে কাজ করে মূলত। তারা শুধু খুব বড় সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের প্রাত্যহিক সাইবার অপরাধ দমনের সক্ষমতা এখনও বাংলাদেশ পুলিশের হয়নি। এ সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বৈষম্য দূর করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও বেশি ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন।
ড. লাফিফা জামাল
আমি যখন ডিজিটাল জীবনের কথা বলছি, তখন অভিভাবক হিসেবে আমি নিজেই জানি না এখানে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। তাহলে আমি আমার সন্তানকে শেখাব কোথা থেকে। সেইখানে সেই শিক্ষাটা কে দেবে? এই ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ডিজিটাল এবং সামাজিক জীবনকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক ব্যবহারের শিষ্টাচার আমাদের জানতে হবে এবং বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে। একই সঙ্গে এর নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। নিরাপদ ব্যবহারটা যখন আমরা জানি না, তখন মা-বাবারা ভয় পেয়ে মেয়েকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেন না। কাজেই নিরাপদ ব্যবহারটা জানলে আমরা বুঝতে পারব, ডিজিটাল পৃথিবী অতটা ভয়ের জায়গা নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে নতুন যে শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, সেখানে এই বছর থেকে এই বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি মনে করি গণমাধ্যমের একটা ভূমিকা রয়েছে।
মালেকা বানু
বৈষম্যহীনভাবে প্রযুক্তিতে নারীর অভিগম্যতা, সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। এই জায়গায় কোনো বৈষম্য রাখা যাবে না। প্রযুক্তি অনেক সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারী কীভাবে অংশগ্রহণ করবে– এই জায়গায় একটা সংকট ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই হয়তো কর্ম হারাবেন। অটোমেশনের ফলে এ দেশের লাখ লাখ নারী শ্রমিক কর্ম হারাবেন, এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমরা এটাও জানি, প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেই জায়গায় নারীরা কীভাবে যাবেন? সেই নতুন শ্রমবাজারে নারীরা কীভাবে অংশগ্রহণ করবেন, এটা একটা বিষয়। আরেকটা বিষয় হলো, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীরা যেসব সহিংসতার শিকার হন, তার প্রতিরোধ কীভাবে করবেন– এই বিষয়গুলো জরুরি। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়েও কিন্তু আমরা একটা প্রতিকূল অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। এই বিষয়টিও আমাদের খেয়াল করতে হবে।
কভিড আমাদের দুটি শিক্ষা দিয়েছে। একটি হলো জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে আমাদের অর্জনগুলোর পশ্চাদপসরণ হয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভরতা কাজে লাগিয়ে কীভাবে জেন্ডার বৈষম্য নিরসন করা যায়, আমাদের তা নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিম
আইটি এমন একটা পেশা, যেখানে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ থাকার সুযোগ নেই। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আইটিতে নারীদের অংশগ্রহণ নগণ্য। কল সেন্টারে কিছু বেশি নারী কাজ করেন। কিন্তু সেখানে আরও নারী সম্পৃক্ত করার সুযোগ আছে। আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে হলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানেও আমরা দেখছি, গত ২৫ বছরে নারীর অংশগ্রহণ বাড়েনি, বরং কমে গেছে। এই বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। পরিবার থেকেই বিষয়টি শুরু করতে হবে। ‘জেন্ডার নিউট্রাল প্যারেন্টিং’ নিশ্চিত করতে পারলে আমরা এ বিষয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারব বলে আমি মনে করি। কিন্তু আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই কম। বেসিসে আমাদের দুই হাজারের অধিক সদস্য। এর মধ্যে নারী সদস্য ৩ শতাংশের কম। আইটি সেক্টরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ থাকলেও এখানে আমরা নারীদের অংশগ্রহণ সেভাবে দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভূমিকা রাখতে পারে।
নাহিদ শারমিন
নারীদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে না দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেক সামাজিক নিয়মের বাধা। এ ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল লিটারেসি’ এবং সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারে। একটি ছেলেশিশু যখন বড় হয়, তখন নারী-পুরুষের ভেদাভেদের বিষয়টি অনেকটা শিক্ষার মাধ্যমেই তার মধ্যে গড়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে আমাদের মানবিক পরিবর্তনটা দরকার। বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে মানসিক পরিবর্তনটা প্রয়োজন। নারীদেরও মানসিক পরিবর্তনটা দরকার। আমরা যদি ‘স্মার্ট সিটিজেন’ চাই, তাহলে নারী-পুরুষ উভয়কেই স্মার্ট হতে হবে। কেন নারীরা এগোতে পারছেন না এবং এর জন্য কী কী বাধা আছে– সে বিষয়ে আমরা সবাই জানি। সেই বাধাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের এটুআই থেকে অনেক ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি পদক্ষেপ হলো ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
ওয়াহিদা বানু
যুব সমাজের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে আমরা ‘তারুণ্যের জয়ধ্বনি’ একটা অ্যাপ বানিয়েছি। সেই অ্যাপে শিশু অধিকার, নারী অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষার বিষয়ে নানা ধরনের কোর্স রয়েছে। কোর্স শেষে তাদের অনলাইনেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন হাজার যুবক-যুবতী এই অ্যাপ থেকে অনলাইন কোর্স করছে। ফান্ডিংয়ের কারণে আমরা অনেক কিছু করতে না পারলেও তিনটি জায়গায় আমরা কোনো আপস করি না। এগুলো হলো– সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আইনি সহায়তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। এসব ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহায়তা দেই। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।
সুমাইয়া ইসলাম
আমাদের যেসব নারী শ্রমিক বিদেশে কাজ করেন, তাঁদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিটা দরকার। সে ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কারণ, অনেক নারী শ্রমিক ডিজিটাল দুনিয়ায় হয়রানির শিকার হন এবং তাঁদের কাছ থেকে প্রতারকরা অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। বিদেশে কর্মরত এসব ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে হবে। গালফে মালিকপক্ষ কোনোভাবেই নারী শ্রমিকদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেয় না। এই ডিভাইসের সহায়তায় আমরা হয়তো তাঁদের সহযোগিতা করতে পারতাম। এই বিষয়টা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের কাজ করতে হবে।
সাদাত রহমান
আমাদের ডিজিটাল লিটারেসি বাড়ানো উচিত। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে কোনো কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ ছাড়া ওয়ার্কশপ, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, গোলটেবিল আলোচনা– এসবই ঢাকাকেন্দ্রিক। ইন্টারনেট ব্যবহার শুধু ঢাকাতেই হয় না, প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এ বিষয়ে ধারণা কম থাকায় সেখানকার কোনো কিশোর-কিশোরী বিপদে পড়লেও তারা সহযোগিতা পাচ্ছে না। পাশাপাশি ভুক্তভোগীরা সামাজিকভাবেও তেমন সহযোগিতা পান না। তাই আমার মনে হয় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে কিশোর-কিশোরীরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার শিকার না হয়, সে বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতি
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
স্বাগত বক্তব্য
মোজাম্মেল হোসেন
সম্পাদক, দৈনিক সমকাল
প্রধান অতিথি
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
শিক্ষা উপমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি
মো. সেলিম রেজা
সার্বক্ষণিক সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মূল প্রবন্ধ
ড. তানিয়া হক
সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
প্যানেল আলোচক
আরমা দত্ত
সংসদ সদস্য
খুশী কবির
মানবাধিকার কর্মী ও কো-অর্ডিনেটর, নিজেরা করি
মো. মুহিবুজ্জামান
অতিরিক্ত সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
কাওসার আহমেদ
সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
আমেনা বেগম
উপমহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ
ড. লাফিফা জামাল
অধ্যাপক, রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মালেকা বানু
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিম
পরিচালক, বেসিস
নাহিদ শারমিন
জেন্ডার বিশেষজ্ঞ, এটুআই প্রোগ্রাম
ওয়াহিদা বানু
নির্বাহী পরিচালক, অপরাজেয় বাংলাদেশ
সুমাইয়া ইসলাম
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে)
সাদাত রহমান
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাইবার টিনস ফাউন্ডেশন
অনুলিখন
মাজহারুল ইসলাম রবিন
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক সমকাল
মন্তব্য করুন