দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশে বিনিয়োগ করেছে জাপানি বহুজাতিক কোম্পানি সফট ব্যাংক ভিশন ফান্ড ২। বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আরও সমৃদ্ধ করতে এই বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিকাশের গ্রাহকবান্ধব প্ল্যাটফর্মকে আরও শক্তিশালী করবে এই বিনিয়োগ। বৃহস্পতিবার বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক ও মানি ইন মোশন এলএলসির যৌথ অংশীদারিত্বে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে বিকাশ। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকের জন্য সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি এজেন্ট ও তার পরিবারের জীবনমান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটি ৬০ লাখ। গত এক দশকের যাত্রায় বিকাশে ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন, ২০১৪ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ২০১৮ সালে অ্যান্ট গ্রুপ বিকাশে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়।

এদিকে ঢাকা স্টক এপচেঞ্জকে ব্র্যাক ব্যাংক জানিয়েছে, প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি বিনিয়োগের ফলে সফট ব্যাংক বিকাশের ২০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে। এর ফলে বিকাশে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারসংখ্যার কোনো পরিবর্তন হবে না। ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিকাশ এবং তার বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি ও সাবস্ট্ক্রিপশনের চুক্তি অনুমোদন করেছে।

জানা গেছে, বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের কেউ পুরো শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে না। তবে শেয়ারহোল্ডাররা কিছু শেয়ার ছেড়ে জাপানি সফট ব্যাংককে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন সংশ্নিষ্টরা।

বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, গত ১০ বছরের নিরন্তর প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকসহ সংশ্নিষ্ট সবার আস্থা অর্জন করেছে। এই বিনিয়োগ তারই এক স্বীকৃতি। বিকাশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে যা আস্থার নিদর্শন। বিনিয়োগটি অর্থনীতির সফল ডিজিটাল রূপান্তরেরই একটি উদাহরণ।

সফট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজারসের ম্যানেজিং পার্টনার গ্রেগ মুন বলেন, শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য আর্থিক সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। একটি নিরাপদ, সুবিধাজনক ডিজিটাল পরিশোধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে বিকাশ বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। তিনি বলেন, 'কামাল কাদীর এবং বিকাশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমরা আনন্দিত। সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য পরিষেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের বৃহত্তর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বিকাশের লক্ষ্যের সহযোগী হিসেবে থাকতে পারা আনন্দের।'