- শিল্প-বাণিজ্য
- প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানি খাতের জন্য তেমন কিছু নেই: এফবিসিসিআই
প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানি খাতের জন্য তেমন কিছু নেই: এফবিসিসিআই

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্র, রপ্তানি ও এসএমই খাতের জন্য তেমন কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তাই মেন মেইড ফাইবার থেকে ভ্যাটসহ সব ধরনের কর প্রত্যাহার, রপ্তানিতে উৎসে কর শুন্য দশমিক পাঁচ (০.৫০) শতাংশ নির্ধারণ এবং আমদানি করা কাঁচামালে তিন শতাংশ আগাম কর রহিত করার অনুরোধ করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় সংগঠনটির সিনিয়ার সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরি বাবু, সহ-সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন, আমিন হেলালী ও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডলার সংকট ও বিশ্বপরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ সবকিছুই এখন নিম্নমুখী। তাই রাজস্ব আয়ের বিশাল ল্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জ হবে মন্তব্য করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাজেটের আকার বিবেচনায় নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের ল্যমাত্রা নির্ধারণ না করে বরং দেশে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসার ত্রে বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্প সংরণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে অর্থনীতির গতি সঞ্চার করতে হবে। প্রাক্কলিত টার্নওভার ও প্রবৃদ্ধির আলোকে বাস্তবভিত্তিক রাজস্ব আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। এতে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য মাত্রারিক্ত করভার এবং ভোক্তারা মূল্যস্ফীতি থেকে রেহাই পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। রাজস্ব নীতিতে ধারাবাহিকতা রাখা জরুরি। যাতে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। এ জন্যও মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সুসমন্বয় রাখতে হবে।’
শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আর্থিক বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কল-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের জন্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে যাতায়াত খাতের বরাদ্দ অর্থ থেকে কিছুটা কাটছাট করে হলেও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। প্রয়োজনে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে এর কাঁচামালের ওপর ভ্যাট ট্যাপ প্রত্যাহার করতে হবে।’
মন্তব্য করুন