ব্যাংক খাতে দিন দিন বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এসব ঋণ আদায়ে এক পর্যায়ে অর্থঋণ আদালতে যেতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। কিন্তু পরিসংখ্যানে বলছে, মামলা করেও অর্থ উদ্ধারে খুব একটা সুবিধা করা যাচ্ছে না। উল্টো অর্থঋণ আদালতে ব্যাংকগুলোর মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্যাংকের আটকে থাকা টাকার পরিমাণও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ৫৪০টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে আছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। ছয় মাস আগে ডিসেম্বর শেষে ৭২ হাজার ১৮৯টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা।

অর্থাৎ ছয় মাসের ব্যবধানে বিচারাধীন মামলা বেড়েছে ৩৭১টি। আর আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ১১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালের জুন শেষে ৬৯ হাজার ৩৬৯টি মামলার বিপরীতে ঝুলে ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে ৪৪ হাজার ৬০৫টি মামলার বিপরিতে আটকে আছে ৯৫ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে ১১ হাজার ১৬৬টি মামলায় ঝুলছে ৭৫ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকে ৮ হাজার ৫২২টি মামলায় আটকে আছে ৩ হাজার ৯১৯ কোটি এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ৪ হাজার ৯৩৩টি মামলায় আটকে আছে ২ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের জুন শেষে অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের করা মামলার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪২৮টি। এর বিপরীতে দেশের বিভিন্ন ঋণখেলাপি থেকে ব্যাংগুলোর পাওনা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। মোট আদায় হওয়া টাকার পরিমাণ মাত্র ২৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা।

ছয় মাস আগে ২০২২ সাল শেষে মামলার স্থিতি ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩৪৮টি। এর বিপরীতে পাওনা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। সে সময় মোট আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছয় মাসের ব্যবাধানে নতুন করে মামলা বেড়েছে ৬ হাজার ৮০টি, দাবিকৃত টাকার পরিমাণ বেড়েছে ২১ হাজার ৩০৫ কোটি এবং তার বিপরিতে আদায় বেড়েছে মাত্র ২ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।