দলীয় নেতাদের সঙ্গে নওয়াজ শরিফের বৈঠক, আগাম নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত
ছবি: জিওটিভি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২২ | ০১:২০ | আপডেট: ১২ মে ২০২২ | ০১:২৭
পাকিস্তানে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে সে ব্যাপারে বর্তমান জোট সরকারে মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি আছে। তবে সরকারের প্রধান শরীক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এর শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সরকারে থাকে দলের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও নেতাদের বৈঠক থেকে আগাম নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার লন্ডনের অজ্ঞাত একটি স্থানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ছয় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দলের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন ছাড়াও দেশের অর্থনৈতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন নওয়াজ শরিফ। বৃহস্পতিবার দ্য নিউজের বরাতে এই খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের জিওটিভি।
বৈঠকে থাকা কয়েকজন বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণকে অর্থনৈতিক স্বস্তি দেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগ দেবে এবং বড় কিছু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে যা দেশকে দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা দেবে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে নওয়াজ শরিফ আগাম নির্বাচন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে নেতাদের পরামর্শ চান। প্রত্যেকে অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নকে প্রথম প্রাধান্য দেওয়ায় মত দেন। তারপরে জোটের শরীকদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় মত দেন।
বৈঠক শেষে দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার প্রতিনিধি দলের মন্ত্রীরা নওয়াজ শরিফের কাছে পাকিস্তানের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এ ছাড়া দলীয় প্রধানকে সকারের অ্যাজেন্ডা এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে লন্ডনস্থ নওয়াজ শরিফের ছেলে হাসান নওয়াজ শরিফের কার্যালয়ের সামনে পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এর আগে পিটিআই যুক্তরাজ্য শাখা শাহবাজের এই সফরকে নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দেয়। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দলের নেতাকর্মীরা শাহবাজকে স্বাগত জানাতে সেখানে অবস্থান নেয়। দুই দলের নেতাকর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা মুখোমুখি অবস্থানে থাকে এবং নিজ নিজ দলের নেতাদের পক্ষে স্লোগান দেয়। পাশাপাশি দুই দলের নেতাকর্মীই প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে স্লোগান দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।