ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফ্লয়েড হত্যায় সেই পুলিশ কর্মকর্তার আরও ২০ বছরের জেল

ফ্লয়েড হত্যায় সেই পুলিশ কর্মকর্তার আরও ২০ বছরের জেল

ডেরেক চাওভিন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২ | ২২:২৭ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ | ২২:২৯

জর্জ ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করায় যুক্তরাষ্ট্রের মিনেপোলিসের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনকে ২০ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

৪৬ বছর বয়সি চাওভিন ডিসেম্বরে নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আলাদা একটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। খবর বিবিসির।

৪৬ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় হত্যা করেন চাওভিন। সেজন্য তিনি বর্তমানে ২২ বছরের কারদণ্ডের একটি সাজা ভোগ করছেন। দুটি সাজাই একই সঙ্গে চলবে এবং তাকে এখন ফেডারেল জেলে হস্তান্তর করা হবে।

জর্জের ভাই ফিলোনিজ বৃহস্পতিবার আদালতে বলেন, ‘জর্জের জীবন গুরুত্বপূর্ণ’। এ জন্য তিনি বিচারকের কাছে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ সাজা ২৫ বছরের জেল দেওয়ার অনুরোধ করেন।

শুনানি চলাকালে শেতাঙ্গ ওই পুলিশ কর্মকর্তার যেন ২০ বছরের জেল দেওয়া হয় সেজন্য আইনজীবী বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন। তার যুক্তি, চাওভিন শুনানি চলাকালে আইন প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর ঝুঁকি নেই।

আদালত কক্ষে উপস্থিত ফ্লয়েডের সন্তানদের উদ্দেশ্য করে চাওভিন বলেন, আমি তোমাদের জীবনে সাফল্য কামনা করছি। তবে তিনি ক্ষমা চাননি।

সাজা ঘোষণার আগে বিচারক পল ম্যাগনুসন বলেন, ‘আপনার কাজের জন্য অবশ্যই আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে’।

বিচারক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চাওভিনের ‘ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা’ জানিয়ে ৩৫ মিনিটের শুনানি শেষ করেন।

গত বছরের ২৫ মে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা ফ্লয়েডের (৪৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, তিনি ২০ ডলারের একটি জাল নোট দিয়ে দোকান থেকে সিগারেট কেনার চেষ্টা করছিলেন। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ তাকে আটক করে। গ্রেপ্তারের সময় সড়কে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন টানা নয় মিনিট তার ঘাড়ের পিছনে হাটু দিয়ে চেপে বসলে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ফুঁসে উঠে আমেরিকাসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ। পৃথিবীজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

ফ্লয়েডের পরিবার শহর কর্তৃপক্ষ, চাওভিন এবং ফেডারেল আদালতের সাথে জড়িত আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় বলা হয়, গ্রেপ্তারের পরপরই নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ফ্লয়েডের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন এই  কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

×