উড়তে না পারা পায়রা আর হাঁটতে না পারা কুকুরছানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ০৪:৪২ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ০৫:১২
স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এক বছর ধরে হারমান নামের পায়রাটা উড়তে পারছিল না। অন্যদিকে জন্মের পর থেকে পেছনের পায়ে সমস্যা থাকায় হাঁটতে পারে না লুন্ডি নামের কুকুরছানাটি।
কিন্তু শারীরিক সমস্যা এতটা প্রকট হওয়া সত্ত্বেও ভিন্ন জাতের এ দুই প্রাণীর মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে দেরী হয়নি। একই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার কারণে তাদের মধ্যে ভালোবাসার এমন এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে যা নেটিজেনের আপ্লুত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রচেস্টোরে মিয়া ফাউন্ডেশন নামের অসুস্থ প্রাণীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে বাস করে এ দুই প্রাণী।
জানা গেছে, পায়রা আর কুকুরছানার ভালোবাসা দেখে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে এ সংস্থায় অনুদান দিতে শুরু করেছেন।
ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানায়, হারমানকে এক বছর আগে একটি গাড়ি ডিলারশিপ পার্কিং লটে পাওয়া যায়।ওখানে তিনদিন ধরে পায়রাটি একভাবে বসে ছিল। পরে অবশ্য জানা যায়, অসহায় ওই পায়টি উড়তে পারে না।
স্থানীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্তারা তখন জানান, পায়রাটির পুনর্বাসন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে মিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রজার্স নিজেই পায়রাটি তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যান।
অন্যদিকে দক্ষিণ ক্যারোলাইনার ব্রিডারার পায়ের সমস্যার কারণে সদ্যজাত লুন্ডিকে রজার্সের কাছে পাঠিয়েছিল।
দুইজন দুই জায়গা থেকে এলেও হারমান আর লুন্ডির দেখা হয় ওই সংস্থায়। রজার্স তাদের কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা করেন। ধীরে ধীরে পায়রা আর কুকুরছানার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
রজার্স তাদের গাঢ় আলিঙ্গনের কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে রজার্সের ইনবক্সে অনুদান এবং তাদেরকে সাহায্য করার জন্য মেসেজ আসতে থাকে।
মাত্র দুইদিনের মধ্যে ওই সংস্থায় ৬ হাজার ডলার অনুদান জমা হয়। রজার্স জানান, ওই টাকা অনেক প্রাণীর সার্জারির জন্য যথেষ্ট।
রজার্স বলেন, ‘হারমান সবসময় আমার কাছেই থাকবে। লুন্ডি হয়তো সার্জারির পর সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।’
রজার্স জানান, হারমান আর লুন্ডির ভালোবাসা মানুষকে এতই আপ্লুত করেছে যে তাদের যাতে আলাদা না করা হয় এজন্য এরই মধ্যে হাজারো মানুষ তাদেরকে ইমেইল করেছে।
- বিষয় :
- আন্তর্জাতিক
- যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা