ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আল-জাজিরার প্রতিবেদন

মিয়ানমারের যুবসমাজ হুমকির মুখে

মিয়ানমারের যুবসমাজ হুমকির মুখে

ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা। রয়টার্সের ফাইল ছবি।

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ২২:৫৩

মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাওয়েত শহরে শান্তিতে বাস করছিলেন হনিন সি। গত বছর অভ্যুত্থানের পর হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে দেশজুড়ে নেমে আসে অশান্তি। এতে মিয়ানমারে আর দশজনের মতো হনিনেরও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি অফিসে যেতেন, সপ্তাহান্তে ঘুরতে বের হতেন, বাইসাইকেলে চারপাশের প্রকৃতি দেখতেন অথবা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে যেতেন আন্দামান সাগরের সৌন্দর্য দেখার জন্য। কিন্তু সেসব দিন এখন আর নেই।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাশাসনের বিরুদ্ধে যারাই গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দমনপীড়ন শুরু করেছে তারা। বিশেষ করে তাদের বড় প্রতিপক্ষ হলো যুবসমাজ। তারাই বেশি প্রতিবাদমুখর হয়েছে। কিন্তু এই যুবসমাজের ওপর যখন দেশের অর্থনীতির ভার থাকার কথা, তখন তাদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ছে।

তারা শিক্ষা গ্রহণ করে যে স্বপ্ন রচনা করেছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের জয়েন্ট সেক্রেটারি কো বো চি বলেন, প্রত্যেক যুবককে দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে দেখছে সামরিক জান্তা। অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো যেসব ডকুমেন্টারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের দমনপীড়নে ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী কমপক্ষে ৯০০ যুবককে হত্যা করেছে। একই বয়সসীমার কমপক্ষে ২৮০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যুবসমাজের হওয়া উচিত দেশের ভবিষ্যৎ। কিন্তু আটক, নির্যাতন ও হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দেশ ও ভবিষ্যৎ সমাজ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় তানিনথারিয়ির এলাকার যুবকরা জানায়, শহরগুলোতে যুবশ্রেণির মানুষ নেই বললেই চলে। তাদের বেশিরভাগই পালিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে অথবা প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। যারা এখনও এলাকায় আছে, তাদের মধ্যে সর্বক্ষণ ভয়, হতাশা কাজ করছে।

আরও পড়ুন

×