জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসে যুক্তরাষ্ট্রের নানা পদক্ষেপ

ছবি: ভয়েস অব আমেরিকা
নিউ ইয়র্ক সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২২ | ২২:৩১ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ | ২২:৩১
জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক ও উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন প্রশাসনের ব্যাপক অনুরোধ-উপরোধ সত্ত্বেও উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয়। ওপেক-প্লাস নামে পরিচিত জোটটির মধ্যে ওপেক সদস্য দেশগুলো এবং রাশিয়াসহ এর মিত্ররা রয়েছে। ওপেক-প্লাস এই সপ্তাহের শুরুর দিকে জানায়, তারা আগামী মাস থেকে দৈনিক উৎপাদন ২০ লাখ ব্যারেল হ্রাস করবে। এর ফলে জ্বালানি পাম্পে উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি জোটটির এমন সিদ্ধান্তে হতাশ এবং সিদ্ধান্তটিকে ‘অদূরদর্শী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর দিকে মনোনিবেশ করছি। এর মধ্য দিয়ে বাইডেন প্রশাসন ভেনেজুয়েলার স্বৈরাচারী সমাজতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যেতে পারে- এমন খবরগুলোকে নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার ওই সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেনেজুয়েলা ও ইরানের মতো দেশগুলোর ওপর থেকে অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে, তা বাজারে তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি করবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই দেশগুলো তেল রপ্তানি করতে পারে না।
সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বাইডেন প্রশাসন এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম মজুদ থেকে ১৭ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল অবমুক্ত করেছে। আগামী মাসে আরও অতিরিক্ত ১ কোটি ব্যারেল ছাড় করার কথা রয়েছে। একদিকে আমেরিকানরা যখন জ্বালানির জন্য সংগ্রাম করছে, তখন তেল কোম্পানিগুলোর রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা অর্জনের বিষয়টির দিকেও আঙুল তুলেছে প্রশাসন।
হোয়াইট হাউজ এমন বিষয় নিশ্চিত করেনি যে তারা আমেরিকার তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে। তবে তেল শিল্পখাত এমন ধারণার সমালোচনা করে বলেছে যে, এটি জ্বালানির বৈশ্বিক বাজারকে ব্যাহত করবে।
এ ছাড়াও জ্বালানি মূল্যের ওপর থেকে ওপেকের নিয়ন্ত্রণ হ্রাসে বাড়তি কৌশল ও কর্তৃত্বের বিষয়ও বিবেচনাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এমন একটি আইন, যা অ্যান্টিট্রাস্ট বিধি (ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বিরোধী এক অবস্থা) লঙ্ঘনের জন্য, তেল সংঘগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সুযোগ করে দেবে।