ইউক্রেন সংকট
পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত বাইডেন
ভ্লাদিমির পুতিন ও জো বাইডেন। ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:২৩ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আগ্রহ থাকলে তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন। তবে তিনি একা কিছু করবেন না। ন্যাটো মিত্রদের নিয়েই তিনি আলোচনায় বসতে চান। অবশ্য রুশ নেতা এখনও সেরকম কিছু করেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাইডেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন এ কথা বলেন। সম্মেলনে দুই নেতাই রাশিয়ার যুদ্ধের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থানে অটল থাকবেন বলে সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। ইউক্রেনকে অগ্রহণযোগ্য কোনো কিছুতে আপস করার জন্য কখনও তাঁরা আহ্বান জানাবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন মাখোঁ ও বাইডেন দু'জনই। হোয়াইট হাউসে এ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, 'আমার পুতিনের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।'
রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনের বড় মিত্রশক্তিতে পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধ শেষ করার দায়িত্ব পুতিনের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, 'এ যুদ্ধ শেষ করার একটি উপায় আছে; যুক্তিসংগত উপায়। আর তা হলো, পুতিন প্রথমেই ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনী সরিয়ে আনতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করবেন বলে মনে হয় না। আর তা করতে না পারার জন্য পুতিন চরম মূল্য দিচ্ছেন।'
এদিকে বাইডেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে আলোচনার দ্বার খোলা রেখেছেন। তবে আলোচনায় বসার জন্য বাইডেন যেসব শর্ত দিয়েছেন, তা মস্কো কোনোভাবেই মেনে নিতে প্রস্তুত নয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন আসলে কী বলেছেন? তিনি বলেছেন, পুতিন ইউক্রেন ছাড়ার পরই কেবল আলোচনা হওয়া সম্ভব।' তিনি বলেন, 'আমাদের স্বার্থ পূরণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কূটনীতি।' তবে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আসলে বলেছেন, পুতিন ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরই আলোচনা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং একে অবৈধ বলে দাবি করেছিল।